মো. তপন সরকার, হোমনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
কুমিল্লার হোমনায় দিনের বেলায় রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে নবম শ্রেণীর এক মাদ্রাসার ছাত্রীকে ধর্ষণকারী ৮ মামলার আসামী সুমন সরকার(২৯) কে গ্রেফতার করেছে হোমনা থানা পুলিশ। সুমন সরকার উপজেলা ১নং মাথাভাঙ্গা ইউনিয়নের দ্বাড়িগাও গ্রামের রেজাউল করিম ওরফে রাজা মিয়ার ছেলে।
শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে জেলার মেঘনা উপজেলার মুগারচর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। হোমনা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ মোঃ ফজলে রাব্বী জানান, ৩ মে হোমনা ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে এলাকার এক কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী গণ ধর্ষণ সহ ৮ মামলার আসামী জমিতে তার বাবাকে খাবার দিয়ে ফেরার পথে সকাল ১১ টায় রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে পাশের কাঠ বাগানে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
এঘটনায় সুমন সরকারকে আসামী করে হোমনা থানায় মামলা দায়ের করেন নির্যাতিতা ছাত্রীর পিতা। ঘটনার পর থেকেই সে পলাতক ছিলো।
গোপন খবরের ভিত্তিতে শুক্রবার সকাল ৯ টার দিকে অভিযান চালিয়ে সুমনকে গ্রেফতার করা হয়। আজ শনিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়। এদিকে সুমন সরকার গ্রেফতারের খবরে এলাকায় স্বস্তি ফিরে আসে। সবাই তার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবী করছে।
জানাগেছে আলোচিত মাদ্রাসা ছাত্রীর ধর্ষণ মামলার আসামীর রাজনৈনিক পরিচয় নিয়ে ,সোস্যাল মিডিয়ায় নেতিবাচক সংবাদ প্রচারিত হলে স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিমা আহমাদ মেরী পবিত্র মক্কা শরীফ থেকে এক ভিডিও বার্তায় ধর্ষক যে দলের হউক না কেন তাকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য আইনশৃংখলা বাহিনীকে নির্দেশ দেন। কিন্তু ৪ দিনেও আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় এলাকার জনগনের মাঝে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করে । পরবর্তীতে ধর্ষক সুমনের ফাঁসির দাবীতে মানববন্ধন করে এলাকাবাসি। এ মানববন্ধনে একত্বা ঘোষনা করে বক্তব্য রাখেন নব নির্বাচিত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেহানা বেগস, ভাইস চেয়ারম্যান মহাসিন সরকার ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাছিমা আক্তার রীনা সহ দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ।কিন্ত ধর্ষক সুমনের ছোট ভাই ৭ মামলার আসামী সোহেলকে গ্রেফতারের পর মানববন্ধনে অংশগ্রহনকারী কয়েকজন নেতার তদবিরে থানা থেকে সোহেল ছাড়া পেয়েছে এমন অভিযোগে দলের মধ্যে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে। পরে স্থানীয় সংসদ সদস্যের জিরোট্রলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন করতে আসামীকে গ্রেফতার করছে পুলিশ।