ঢাকা ১০:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে ঈদের আগে বেতন-বোনাস নিয়ে শঙ্কায় মাদ্রাসা শিক্ষকরা

সুমন সরকার/মোশাররফ হোসেন মনিরঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ২৯টি মাদ্রাসার প্রায় ৮শত শিক্ষক-কর্মচারীরা ঈদুল ফিতরের আগে বেতন-বোনাসের চেক পাওয়া অনিশ্চয়তায় দেখা দিয়েছে। এত ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হওয়ার আঙ্কায় করছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। শিক্ষক নেতাদের অভিযোগ অর্থ মন্ত্রনালয় থেকে বেতন বোনাস ছাড় হলেও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বেতন না ছাড়ায় ঈদুল ফিতরের আগে টাকা হাতে না পাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। অথচ ঈদুল ফিতরের আগে সোমবার মাত্র এক কর্মদিবস রয়েছে। এখনও মাদ্ররাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের মে মাসের বেতন ও ঈদুল ফিতরের বোনাস না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মাদ্ররাসার শিক্ষক-কর্মচারীরা।

উপজেলার মাদ্রাসা শিক্ষক-কর্মচারী সমিতির সভাপতি তাজুল ইসলাম ও সাধারন সম্পাদক আবদুর রহিম অভিযোগ করে বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে আমরা উপজেলার এমপিওভুক্ত ২৯টি মাদ্রাসার বেতন ও বোনাসের কপি জমা দিতে জনতা ব্যাংক কোম্পানীগঞ্জ শাখায় যাই। তখন আমরা আমাদের বেতন বোনাসের কপি জমা নিতে বলি। যখন বেতন বোনাস আসবে তখন আমরা উত্তেলন করবো। তখন শাখা ব্যবস্থাপক আবদুল লতিফ আমাদের কাগজ জমা না নিয়ে উল্টো আমাদের সাথে খারাপ আচরন করেন। আশেপাশের উপজেলার মাদ্রাসার শিক্ষকরা বেতন বোনাস পেয়ে গেলেও রহস্যজনক কারনে আমরা পাচ্ছিনা। ব্যাংক কর্মকর্তাদের উদাসীনতার কারণে ভোগান্তিতে পড়ে ঈদ আনন্দ ম্লান হতে চলছে মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের।

এ ব্যাপারে জনতা ব্যাংকের কোম্পানীগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক আবদুল লতিফ বলেন, শিক্ষকরা যখন ব্যাংকে এসেছিলো তখন তাদের বেতন বোনাসের অর্থ আমাদের কাছে আসেনি। তাই তাদের বলেছি পরে আসতে।

এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিউল আলম তালুকদার বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। শিক্ষকরা এই বিষয়ে কেউ আমাকে কিছু জানায় নি। ঈদের আগে শিক্ষকদের বেতন বোনাস দেয়ার জন্য উর্দ্ধতন কতৃপক্ষ ও ব্যাংক কর্মকর্তার সাথে কথা বলবো।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

ছাত্র আন্দেলনে আহতদের হাসপাতালে দেখে উপদেষ্টারা প্রতিদিন অফিসে যাওয়া উচিত –কায়কোবাদ

মুরাদনগরে ঈদের আগে বেতন-বোনাস নিয়ে শঙ্কায় মাদ্রাসা শিক্ষকরা

আপডেট সময় ১০:৩৭:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০১৯
সুমন সরকার/মোশাররফ হোসেন মনিরঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ২৯টি মাদ্রাসার প্রায় ৮শত শিক্ষক-কর্মচারীরা ঈদুল ফিতরের আগে বেতন-বোনাসের চেক পাওয়া অনিশ্চয়তায় দেখা দিয়েছে। এত ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হওয়ার আঙ্কায় করছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। শিক্ষক নেতাদের অভিযোগ অর্থ মন্ত্রনালয় থেকে বেতন বোনাস ছাড় হলেও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বেতন না ছাড়ায় ঈদুল ফিতরের আগে টাকা হাতে না পাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। অথচ ঈদুল ফিতরের আগে সোমবার মাত্র এক কর্মদিবস রয়েছে। এখনও মাদ্ররাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের মে মাসের বেতন ও ঈদুল ফিতরের বোনাস না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মাদ্ররাসার শিক্ষক-কর্মচারীরা।

উপজেলার মাদ্রাসা শিক্ষক-কর্মচারী সমিতির সভাপতি তাজুল ইসলাম ও সাধারন সম্পাদক আবদুর রহিম অভিযোগ করে বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে আমরা উপজেলার এমপিওভুক্ত ২৯টি মাদ্রাসার বেতন ও বোনাসের কপি জমা দিতে জনতা ব্যাংক কোম্পানীগঞ্জ শাখায় যাই। তখন আমরা আমাদের বেতন বোনাসের কপি জমা নিতে বলি। যখন বেতন বোনাস আসবে তখন আমরা উত্তেলন করবো। তখন শাখা ব্যবস্থাপক আবদুল লতিফ আমাদের কাগজ জমা না নিয়ে উল্টো আমাদের সাথে খারাপ আচরন করেন। আশেপাশের উপজেলার মাদ্রাসার শিক্ষকরা বেতন বোনাস পেয়ে গেলেও রহস্যজনক কারনে আমরা পাচ্ছিনা। ব্যাংক কর্মকর্তাদের উদাসীনতার কারণে ভোগান্তিতে পড়ে ঈদ আনন্দ ম্লান হতে চলছে মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের।

এ ব্যাপারে জনতা ব্যাংকের কোম্পানীগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক আবদুল লতিফ বলেন, শিক্ষকরা যখন ব্যাংকে এসেছিলো তখন তাদের বেতন বোনাসের অর্থ আমাদের কাছে আসেনি। তাই তাদের বলেছি পরে আসতে।

এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিউল আলম তালুকদার বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। শিক্ষকরা এই বিষয়ে কেউ আমাকে কিছু জানায় নি। ঈদের আগে শিক্ষকদের বেতন বোনাস দেয়ার জন্য উর্দ্ধতন কতৃপক্ষ ও ব্যাংক কর্মকর্তার সাথে কথা বলবো।