ঢাকা ০৬:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১৬ জুলাই থেকে মিলবে সর্বনিম্ন মূল্যে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ

তথ্যপ্রযুক্তি:

ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে সাশ্রয়ী মূল্যে ইন্টারনেট ব্যবহার নিশ্চিত করতে বিটিসিএল এর এডিএসএল এবং জিপন এর ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের দাম অর্থেকেরও বেশি কমানো হয়েছে। বিটিসিএল ল্যান্ড ফোনে এডিএসএল ও জিপন ব্যবহারকারী গ্রাহকগণ ১৬ জুলাই থেকে এ সুবিধা পাবেন।

 

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বিটিসিএল এর সম্পদ, নেটওয়ার্ক এবং বিদ্যমান মানবসম্পদ যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কাজে লাগিয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে সেরা প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের জন্য লাগসই কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ প্রদান করেন। তিনি বলেন, ‘বিটিসিএলকে প্রশংসনীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা সম্ভব, এটা স্বপ্ন নয়- কল্পনা নয়।’ মন্ত্রী এডিএসএল এবং জিপন ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ সার্ভিসকে আরো জনপ্রিয় করতে এর নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। তিনি আরো বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে একটি ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত-বৈষম্যহীন উন্নত বাংলাদেশের ঠিকানায় স্থাপন করতে চান। ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা করে জননেত্রী শেখ হাসিনা সারা দুনিয়ার কাছেই একটি সার্বজনীন লক্ষ্য তুলে ধরেছেন। লক্ষ্য অর্জনে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ কর্মসূচি, পাশাপাশি এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের এই অগ্রগতি বিশ্বে এখন উন্নয়নের রোল মডেল।’

বৈঠকে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের মূল্যহ্রাস বিষয়ে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের মানুষ যাতে সাশ্রয়ী খরচে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন সেই লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার এর আগে ২০০৯ সালের আগস্ট মাসে প্রতি এমবিপিএস ইন্টারনেটের মূল্য ২৭ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৮ হাজার টাকায় নির্ধারণ করে। পরবর্তীতে ২০১১ সালের এপ্রিলে ১২ হাজার টাকা, ২০১২ সালের এপ্রিলে ৮ হাজার টাকা, ২০১৪ সালের এপ্রিলে ২ হাজার ৮০০ টাকা এবং ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে সর্বোচ্চ ৯৬০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ৩৬০ টাকায় কমিয়ে আনা হয়। সর্বশেষ এ বছর ২৭ জুন এক এমবিপিএএস ব্যান্ডউইথের সর্বনিম্ন চার্জ ৩৬০ টাকা থেকে ১৮০ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।’

১৯৯৬ থেকে ২০০১ এবং ২০০৯ সাল থেকে অদ্যাবধি তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি বিকাশে দেশে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হয়েছে। ২০০৮ সালেও দেশে সাড়ে সাত জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করা হতো। বর্তমানে তা ১১শ জিবিপিএসে উন্নীত হয়েছে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে এডিএসএল এবং জিপন ব্যান্ডউইথের পুনর্নির্ধারিত মূল্য তালিকা

এডিএসএল : ১ এমবিপিএস এডিএসএল ব্যান্ডউইথ মূল্য ৫০০ টাকা+ভ্যাট থেকে কমিয়ে ভ্যাটসহ ২৫০ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে। ১ দশমিক ৫ এমবিপিএস এডিএসএল ব্যান্ডউইথ ৭০০ টাকা+ভ্যাট থেকে হ্রাস করে ভ্যাটসহ ৩৫০ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।

জিপন : ২ এমবিপিএস জিপন ব্যান্ডউইথ মূল্য ৭৫০ টাকা + ভ্যাট থেকে কমিয়ে ভ্যাটসহ ৩৫০ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে। ৪ এমবিপিএস ব্যান্ডউইথ মূল্য ১ হাজার ১০০ টাকা + ভ্যাট থেকে কমিয়ে ভ্যাটসহ ৫ এমবিপিএস এর দাম ভ্যাটসহ ৫০০ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে। অনুরূপ ১০ এমবিপিএস এর দাম ২ হাজার টাকা + ভ্যাট থেকে কমিয়ে ভ্যাটসহ ৭৫০ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে এবং ২০ এমবিপিএস ব্যান্ডউইথের দাম ভ্যাটসহ ১ হাজার ২০০ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

১৬ জুলাই থেকে মিলবে সর্বনিম্ন মূল্যে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ

আপডেট সময় ০২:২৮:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০১৯
তথ্যপ্রযুক্তি:

ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে সাশ্রয়ী মূল্যে ইন্টারনেট ব্যবহার নিশ্চিত করতে বিটিসিএল এর এডিএসএল এবং জিপন এর ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের দাম অর্থেকেরও বেশি কমানো হয়েছে। বিটিসিএল ল্যান্ড ফোনে এডিএসএল ও জিপন ব্যবহারকারী গ্রাহকগণ ১৬ জুলাই থেকে এ সুবিধা পাবেন।

 

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বিটিসিএল এর সম্পদ, নেটওয়ার্ক এবং বিদ্যমান মানবসম্পদ যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কাজে লাগিয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে সেরা প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের জন্য লাগসই কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ প্রদান করেন। তিনি বলেন, ‘বিটিসিএলকে প্রশংসনীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা সম্ভব, এটা স্বপ্ন নয়- কল্পনা নয়।’ মন্ত্রী এডিএসএল এবং জিপন ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ সার্ভিসকে আরো জনপ্রিয় করতে এর নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। তিনি আরো বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে একটি ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত-বৈষম্যহীন উন্নত বাংলাদেশের ঠিকানায় স্থাপন করতে চান। ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা করে জননেত্রী শেখ হাসিনা সারা দুনিয়ার কাছেই একটি সার্বজনীন লক্ষ্য তুলে ধরেছেন। লক্ষ্য অর্জনে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ কর্মসূচি, পাশাপাশি এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের এই অগ্রগতি বিশ্বে এখন উন্নয়নের রোল মডেল।’

বৈঠকে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের মূল্যহ্রাস বিষয়ে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের মানুষ যাতে সাশ্রয়ী খরচে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন সেই লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার এর আগে ২০০৯ সালের আগস্ট মাসে প্রতি এমবিপিএস ইন্টারনেটের মূল্য ২৭ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৮ হাজার টাকায় নির্ধারণ করে। পরবর্তীতে ২০১১ সালের এপ্রিলে ১২ হাজার টাকা, ২০১২ সালের এপ্রিলে ৮ হাজার টাকা, ২০১৪ সালের এপ্রিলে ২ হাজার ৮০০ টাকা এবং ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে সর্বোচ্চ ৯৬০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ৩৬০ টাকায় কমিয়ে আনা হয়। সর্বশেষ এ বছর ২৭ জুন এক এমবিপিএএস ব্যান্ডউইথের সর্বনিম্ন চার্জ ৩৬০ টাকা থেকে ১৮০ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।’

১৯৯৬ থেকে ২০০১ এবং ২০০৯ সাল থেকে অদ্যাবধি তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি বিকাশে দেশে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হয়েছে। ২০০৮ সালেও দেশে সাড়ে সাত জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করা হতো। বর্তমানে তা ১১শ জিবিপিএসে উন্নীত হয়েছে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে এডিএসএল এবং জিপন ব্যান্ডউইথের পুনর্নির্ধারিত মূল্য তালিকা

এডিএসএল : ১ এমবিপিএস এডিএসএল ব্যান্ডউইথ মূল্য ৫০০ টাকা+ভ্যাট থেকে কমিয়ে ভ্যাটসহ ২৫০ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে। ১ দশমিক ৫ এমবিপিএস এডিএসএল ব্যান্ডউইথ ৭০০ টাকা+ভ্যাট থেকে হ্রাস করে ভ্যাটসহ ৩৫০ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।

জিপন : ২ এমবিপিএস জিপন ব্যান্ডউইথ মূল্য ৭৫০ টাকা + ভ্যাট থেকে কমিয়ে ভ্যাটসহ ৩৫০ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে। ৪ এমবিপিএস ব্যান্ডউইথ মূল্য ১ হাজার ১০০ টাকা + ভ্যাট থেকে কমিয়ে ভ্যাটসহ ৫ এমবিপিএস এর দাম ভ্যাটসহ ৫০০ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে। অনুরূপ ১০ এমবিপিএস এর দাম ২ হাজার টাকা + ভ্যাট থেকে কমিয়ে ভ্যাটসহ ৭৫০ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে এবং ২০ এমবিপিএস ব্যান্ডউইথের দাম ভ্যাটসহ ১ হাজার ২০০ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।