মোঃ মোশাররফ হোসেন মনিরঃ
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা আওয়মীলীগ বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক বিষয় ঘিরে আলোচিত-সমালোচিত । আবারও সেই সমালোচনায় ফিরে এসেছে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আ’লীগে দেখা দিয়েছে চরম বিভক্তি। মুরাদনগরের ইউপি নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা না হলেও উপজেলায় নির্বাচন নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে আ’লীগের রাজনৈতিক মাঠ।
দলীয় কোন্দল ও বিভক্তির কারনে উপজেলা আওয়ামীলীগ ২২ টি ইউনিয়ন থেকে ২নেতার পাল্টা-পাল্টি তালিকায় ৪৪ জনের সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশি চেয়ারম্যান প্রার্থী নাম কেন্দ্রে প্রেরন করা হয়েছে বলে জানা যায়। পাশা পাশি দু’গ্রুপের বিরুদ্ধে পাল্টা-পাল্টি অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগও উঠেছে।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে নেতা কর্মীদের তুমুল লড়াই। মনোনয়ন বাণিজ্যের প্রতিবাদে চলছে পাল্টা-পাল্টি বিক্ষোভ মিছিল, সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন।
জানা যায়, উপজেলা আ’লীগেরে মধ্যে একদিকে হলো প্রভাবশালী ও ত্যাগী নেতা কুমিল্লা উত্তর জেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকারের নেতৃত্বে উপজেলা আ’লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা, অপরদিকে আ’লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক অর্থ-বিষয়ক সম্পাদক ও বর্তমান স্বতন্ত্র এমপি ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুনের নেতৃত্বে আ’লীগ ও বিভিন্ন দলছুট নেতারা।
দু’গ্রুপের নেতারা দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশিদের কাছে ফরম বিক্রি করে, উপজেলা ২২টি ইউনিয়নের জন্য পাল্টা-পাল্টি ৪৪ জনের নামের তালিকা কেন্দ্রে প্রেরন করেন তারা। মনোনয়ন দেওয়ার আশ্বাসে অর্থের বিনিময়ে নামের তালিকা তৈরী ও টাকা নিয়ে তালিকায় নাম না দেয়ার অভিযোগ উঠে দু’গ্রুপের বিরুদ্ধে। দু’গ্রুপের এ ধরনের কার্যকলাপে তৃনমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ও চরম হতাশা বিরাজ করছে।
এদিকে মনোনয়ন তালিকায় নাম না থাকায় অনেক নেতাকর্মী গ্রুপ পরিবর্তন করেছেন বলে সুত্রে জানা যায়। সব মিলিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উপজেলা আ’লীগে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে কুমিল্লা জেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকার বাণিজ্যের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, তৃনমূলের মনোনীত প্রার্থীদের তালিকা কেন্দ্রে প্রেরন করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ন ভাবে মিথা ও বানোয়াট। যারা মনোনয়ন না পাওয়ার সম্ভাবনা তারাই এ ধরনের অভিযোগ করছে।
এ ব্যাপারে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও আ’লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক অর্থ-বিষয়ক সম্পাদক ও বর্তমান স্বতন্ত্র এমপি ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুনের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।