জাতীয় ডেস্কঃ
ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্প বাতিলের প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ফোরলেন মহাসড়ক আরও সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অর্থনৈতিক ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
রবিববার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অর্থনৈতিক সংক্রান্ত এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে অতিরিক্ত সচিব সামসুল আরেফিন সংবাদ সম্মেলনে জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্প বাতিলের প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারির এ প্রকল্প আর বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এর পরিবর্তে বর্তমানের ফোরলেন মহাসড়ককে আরও সম্প্রসারণ করা হবে। যা সরকার নিজে করবে।
তিনি বলেন, সারাদেশে মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করা হবে পাশাপাশি সার্ভিস লাইন নির্মাণ করা হবে। সরকারকের এটাই মূল সিদ্ধান্ত। একশ কোটি টাকা খরচ হয়ে যাওয়ার পর এটি বাতিল হলো কেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওটা একটা ফিজিবিলিটি স্টাডি ছিল। সেজন্য টাকাটা গচ্ছা যায়নি।
জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি পিপিপি পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের প্রস্তাব ২০১৩ সালের ১৩ মার্চ সিসিইএ সভায় নীতিগত অনুমোদন হয়। এরপর সমীক্ষা পরিচালনা এবং বিশদ নকশা প্রণয়ন করা হয়।
প্রত্যাহার হওয়া প্রস্তাবে বলা হয়, রামপুরা-আমুলিয়া-ডেমরা মহাসড়ক চার লেনে উন্নতকরণ প্রকল্পটি পিপিপি ভিত্তিতে বাস্তবায়নে ২০১৬ সালের ২৭ জানুয়ারি সিসিইএ সভায় নীতিগতভাবে অনুমোদিত হয়। পিপিপি ভিত্তিতে বিনিয়োগকারী চায়না কমিউনিকেশনস কন্সট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড এবং চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ করপোরেশনকে (সিআরবিসি) নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য ২০২০ সালের ৯ ডিসেম্বর সিসিইএ সভায় উপস্থাপন করা হলে আরও কিছু তথ্য-উপাত্তসহ স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রস্তাব প্রেরণের সুপারিশ করা হয়।
সে অনুসারে চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি সিসিইএ সভায় চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হলে পিপিপি চুক্তিটি কর্তৃপক্ষকে অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়। পিপিপি কর্তৃপক্ষের মতামত এবং সার্বিক দিক বিবেচনায় প্রকল্পে বিনিয়োগকারী হিসেবে সিসিসিসিএল এবং সিআরবিসিকে নিয়োগের চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়।