মানববন্ধন অংশ নেন, নিহত মেহেদী হাসান মা জোছনা বেগম ভাই মাহবুব হাসান ও পল্লী চিকিৎসক আবু কাউছার, শাকিল আহমেদ, আবু ছাত্তার, উসমানসহ আরও অনেক। মেহেদী হাসান হত্যাকারী হেলাল ও খায়রুল নামে দুইজন গ্রেফতার হয়েছে পুলিশ। তাদের সাথে আরও অনেকে জড়িত থাকতে পারে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে। নিহত মেহেদী হাসান উপজেলা দীঘিরপাড় গ্রামের মৃতঃ মোঃ মোস্তফা ও জোছনা বেগম বড় ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বাঙ্গরা বাজার থানার মামলার এজাহারে ভিকটিম মেহেদী হাসানকে অপহরণের পর হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ উঠে। গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মুরাদনগর উপজেলার নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের উত্তর ত্রিশ এলাকায় মক্কা ব্রিকফিল্ড সংলগ্ন বেড়িবাঁধের পাশে আকাশি গাছের ঝোপে মাটি খুঁড়ে মাথার খুলি ও হাড়গোর উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত লাশটি পচে গিয়ে কঙ্কাল হয়ে যাওয়ায় মৃতদেহের সাথে থাকা কাপড়চোপড়ের মাধ্যমে পরিবারের সদস্যরা মেহেদী হাসানকে শনাক্ত করেন। এসময় পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম মেহেদী হাসানের কঙ্কাল দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের সদস্যরা দ্রুত বিচার ও আসামীর কঠিন শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্যঃ গত সোমবার (১১ আগস্ট) রাতে মেহেদী হাসান বাঙ্গরা বাজার থেকে তার অটোরিকশায় ভাড়া নিয়ে কোম্পানীগঞ্জ যাওয়ার সময় অটোরিক্সাসহ নিখোঁজ হন। নিখোঁজের পর দিন পরিবারের পক্ষ থেকে বাঙ্গরা বাজার থানায় একটি জিডি করা হয়। মুরাদনগরে নিখোঁজের ২০ দিন পর মাটি খুঁড়ে মেহেদী হাসান (১৮) নামে এক যুবকের কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশ।