ঢাকা ০৯:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী সাত মাসের অন্ত:সত্ত্বা:দামাচাঁপা দেয়ার চেষ্টার অভিযোগ

মোঃ রায়হান চৌধুরী, স্টাফ রির্পোটার, মুরাদনগরঃ

কুমিল্লা মুরাদনগরে উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিন ইউনিযনের বাহেরচর গ্রামের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রীকে (১২) ধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি ধামাঁচাপা দেওয়ার জন্য হুমকিসহ স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল বিভিন্ন ভাবে চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় স্থানীদের মাঝে চড়ম ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

ঘটনার শিকার ওই স্কুল ছাত্রী বাহেরচর গ্রামের জহিরুল ইসলামের মেয়ে।

ধর্ষক একই গ্রামের মৃত আবুল কাশের ছেলে হেলাল উদ্দিন।

ধর্ষীতার মা মনোয়ারা বেগম অভিযোগ করে বলেন, হঠাৎ করে যখন আমার মেয়ের শারিরিক পরির্তন আমাদের চোঁখে পরে তখন তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে তাকে সাত মাসের গর্ভবতী বলে জানান। এই খবর পেয়ে আমরা হতভম্ব হয়ে মেয়ের কাছে ঘটনার বিষয়ে জানি। প্রায় সাত মাস পূর্বে পাশের বিয়ে বাড়ি থেকে রাতে আমার মেয়ে আসার পথে হেলাল মুখ বেধেঁ অন্য স্থানে নেয়ে জোড় করে ধর্ষন করে।

ধর্ষীতা জানায়, তাকে মুখ বেধেঁ ধর্ষন করে এবং এই ঘটনা প্রকাশ করলে হেলাল আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। তাই ভয়ে আমি তা প্রকাশ করিনি।

ধর্ষীতার দাদা মাওলা মিয়া বলেন, প্রায় দশ দিন পূর্বে এ বিষয়ে থানায় মামলা করতে বাড়ি থেকে বের হলে স্থানীয় রব মেম্বার ও রবিউল আমাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসে এবং স্থানীয় ভাবে বিষটি সমাধা করার কথাবলে। কিন্ত অনেক দিন হয়ে গেলেও কোন কিছু না করে বিষয়টি বিভিন্ন ভাবে দামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে।

ধর্ষক হেলাল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মেয়ের পেটের সন্তানের বাবা আমি। স্থানীয় ভাবে যে সিদ্ধান্ত গ্রহন করবে তা আমি মেনে নেব।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ধর্ষক হেলাল দুই সন্তানের জনক। সে তার প্রথম স্ত্রীর সাথে বিবাহের আগে অপর্কের সাথে জরিয়ে গেলে স্থানীয়রা জোর পূর্বক তাকে বিবাহ করায়। এবং স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় বিভিন্ন সময় ধর্ষনসহ একের পর এক অপকর্ম করেযাচ্ছে।

এ বিষয়ে রামচন্দ্রপুর দক্ষিন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ সরকার বলেন, ঘটনাটি আমি লোক মুখে শুনেছি, এবং বিষয়টি দামাচাপা দেয়ার জন্য এলাকায় একাদিবার শালিশ করেছেন বলে শুনেছি। ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি হোক সেটাই আমি চাই।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

দীর্ঘ ১৩ বছর পর দেশে ফিরছেন কায়কোবাদ: স্বাগত জানাতে মুরাদনগরে ব্যাপক প্রস্ততি

মুরাদনগরে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী সাত মাসের অন্ত:সত্ত্বা:দামাচাঁপা দেয়ার চেষ্টার অভিযোগ

আপডেট সময় ০১:৪৩:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৬
মোঃ রায়হান চৌধুরী, স্টাফ রির্পোটার, মুরাদনগরঃ

কুমিল্লা মুরাদনগরে উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিন ইউনিযনের বাহেরচর গ্রামের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রীকে (১২) ধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি ধামাঁচাপা দেওয়ার জন্য হুমকিসহ স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল বিভিন্ন ভাবে চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় স্থানীদের মাঝে চড়ম ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

ঘটনার শিকার ওই স্কুল ছাত্রী বাহেরচর গ্রামের জহিরুল ইসলামের মেয়ে।

ধর্ষক একই গ্রামের মৃত আবুল কাশের ছেলে হেলাল উদ্দিন।

ধর্ষীতার মা মনোয়ারা বেগম অভিযোগ করে বলেন, হঠাৎ করে যখন আমার মেয়ের শারিরিক পরির্তন আমাদের চোঁখে পরে তখন তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে তাকে সাত মাসের গর্ভবতী বলে জানান। এই খবর পেয়ে আমরা হতভম্ব হয়ে মেয়ের কাছে ঘটনার বিষয়ে জানি। প্রায় সাত মাস পূর্বে পাশের বিয়ে বাড়ি থেকে রাতে আমার মেয়ে আসার পথে হেলাল মুখ বেধেঁ অন্য স্থানে নেয়ে জোড় করে ধর্ষন করে।

ধর্ষীতা জানায়, তাকে মুখ বেধেঁ ধর্ষন করে এবং এই ঘটনা প্রকাশ করলে হেলাল আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। তাই ভয়ে আমি তা প্রকাশ করিনি।

ধর্ষীতার দাদা মাওলা মিয়া বলেন, প্রায় দশ দিন পূর্বে এ বিষয়ে থানায় মামলা করতে বাড়ি থেকে বের হলে স্থানীয় রব মেম্বার ও রবিউল আমাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসে এবং স্থানীয় ভাবে বিষটি সমাধা করার কথাবলে। কিন্ত অনেক দিন হয়ে গেলেও কোন কিছু না করে বিষয়টি বিভিন্ন ভাবে দামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে।

ধর্ষক হেলাল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মেয়ের পেটের সন্তানের বাবা আমি। স্থানীয় ভাবে যে সিদ্ধান্ত গ্রহন করবে তা আমি মেনে নেব।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ধর্ষক হেলাল দুই সন্তানের জনক। সে তার প্রথম স্ত্রীর সাথে বিবাহের আগে অপর্কের সাথে জরিয়ে গেলে স্থানীয়রা জোর পূর্বক তাকে বিবাহ করায়। এবং স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় বিভিন্ন সময় ধর্ষনসহ একের পর এক অপকর্ম করেযাচ্ছে।

এ বিষয়ে রামচন্দ্রপুর দক্ষিন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ সরকার বলেন, ঘটনাটি আমি লোক মুখে শুনেছি, এবং বিষয়টি দামাচাপা দেয়ার জন্য এলাকায় একাদিবার শালিশ করেছেন বলে শুনেছি। ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি হোক সেটাই আমি চাই।