আবুল কালাম আজাদ ভূইয়াঃ
কুমিল্লা মুরাদনগরে উপবৃত্তির ব্যাংক একাউন্ট খোলা নামে মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে অর্ধলক্ষ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে সুপারের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগ করেছেন শামীম আহম্মেদ নামে এক অভিভাবক। এছারাও এ ঘটনার বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও এলাকাবাসী।
উপজেলার ধামঘর ইউনিয়নের পরমতলা ইদ্রিসিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আবদুল হাই এর বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাৎতের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ ও সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার পরমতলা ইদ্রিসিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আবদুল হাই পরিচালনা পরষদের কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই উপবৃত্তির জন্য ব্যাংকে একাউন্ট খোলার নামে কোন প্রকার রশিদ ছাড়াই ৩শ’টাকা করে প্রায় ৫০ হাজার টাকা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নিয়েছেন।
মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদকালে অভিযোগটির সত্যতা পাওয়া গেছে।
এব্যাপারে মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আবদুল হাই টাকা উত্তলনের কথা স্বীকার করে জানান, ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে ৩শ’ টাকা রশিদ বইয়ের মাধ্যেমে মাদ্রাসার উন্নায়ন কাজের জন্য উত্তোলন করা হয়েছে। আমি উপবৃত্তির ব্যাংক একাউন্ট খোলার নামে কোন টাকা উত্তোলন করি নাই। তিনি আরো বলেন, আমার আর তিন বছর চাকুরীর বয়স রয়েছে। চাকুরীর সময় ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকরা আমার বিরুদ্ধে শিক্ষা অফিসে অভিযোগ দিয়ে আমাকে কলঙ্কে দাগ দিয়েছেন।
মাদ্রাসা পরিচালনা পরষদের সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম খুরশেদ জানায়, প্রতিবছর এ মাদ্রাসার প্রথম শ্রেনী থেকে ফাজিল পর্যন্ত সকল ছাত্রছাত্রীদের বই, কাগজ, কলম আমি ফ্রি দিয়ে থাকি। প্রতিমাসে আড়াই লাখ টাকা বিভিন্ন উন্নায়নের জন্য দিয়ে থাকি। সুপার মাদ্রাসা উন্নায়নের জন্য ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করবেন কেন?
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রতন কুমার সাহা জানান, প্রথমিক তদন্তে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে তিনশত টাকা করে নেওয়ার সত্যতা পাওয়া গেছে। সুপার মাদ্রাসার পরিচালনা পরষদের কোন প্রকার অনুমতি ছারাই তা করেছেন। তদন্ত শেষে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।