হাবীবুর রহমান, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী গোলাপী বেগমকে (৪৫) আটক করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লার কেন্দ্রিয় কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে উপজেলার মোচাগড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে মুরাদনগর থানার পুলিশ।
গোলাপী বেগম যাত্রাপুর ইউনিয়নের মোচাগড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী।
জানা যায়, মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে খ্যাত গোলাপী বেগম দীর্ঘদিন যাবত মদ, গাঁজা, ফেনসিডিল ও ইয়াবা বিক্রি করে এলাকার যুব সমাজকে ধ্বংস করে আসছে। এ পর্যন্ত সে ১০ বার গ্রেফতার হলেও তাকে মাত্র ৪ বার মাদক আইনে মামলা দিয়ে জেলে পাঠানো হয়। বর্তমানে সে মোচাগড়া, ভবানীপুর, শোলাপুকুরিয়া, ছিলমপুর ও বাখরনগর গ্রামে মহিলা মাদক সম্রাট হিসেবে পরিচিত।
খবর নিয়ে জানা যায়, একটি প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় দীর্ঘদিন যাবত প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকার লোকজন যখনি তার মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করে তখনি তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রাণির করার চেষ্টা করে। ফলে এলাকার মানুষ প্রতিবাদ করাতো দুরের কথা ভয়েও মুখ খুলতে সাহস পায় না। বার বার গ্রেফতার হওয়ার পরও তার বড় ধরণের কোন সাজা না হওয়ার কারণে এলাকায় নতুন নতুন নারী-পুরুষ মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছে। বাধ্য হয়ে এলাকাবাসী মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ওসির নিকট লিখিত অভিযোগ করলে তাদেরকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশকে তৎপর দেখা যায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার এএসআই হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে একদল পুলিশ শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজ বাড়ি থেকে মাদক সম্রাট কুখ্যাত গোলাপী বেগমকে আটক করে। এ সময় তার কাছ থেকে ৫১ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। তার গ্রেফতারের সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী আনন্দিত হয়েছে এবং স্বস্তির নি:স্বাস ফেলেছে।
মুরাদনগর থানার ওসি মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা শিকার করে জানান, কোন মাদক ব্যবসায়ীকে ছাড় দেয়া হবে না। অন্যান্য মাদক ব্যবসায়ীদেরকেও গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।