দেবিদ্বার (কুমিল্লা) সংবাদদাতা ঃ
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড নির্দ্দেশনা অনুযায়ি নিয়মিত বিজ্ঞান বিভাগে ১৭৯৫ টাকা, মানবিক ও বানিজ্য বিভাগে ১৬৯৫ টাকা ধার্য করা হয়েছে। তবে কুমিল্লা দেবিদ্বার উপজেলার প্রায় অধিকাংশ স্কুল বোর্ডের সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের মাধ্যমে ফরম পূরণ করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
স্থানীয় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা অভিযোগে বলেন, উপজেলার ৪৯টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধিকাংশ স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সদস্যদের বানিজ্যিক মনোভাবের কারণে ফরম পূরণে বোর্ডের সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছেন। বাড়তি টাকা নেয়া স্কুলগুলো নোটিশবোর্ডে শুধুমাত্র বোর্ড ফি’র কথা উল্লেখ করে নোটিশ টানালেও মৌখিকভাবে অতিরিক্ত টাকার কথা জানিয়ে দিচ্ছেন শিক্ষকরা। কোন কোন স্কুলগুলোতে কোচিং ফি’সহ ৩০০০ থেকে ৪৫০০ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অতিরিক্ত ক্লাশের নাম দিয়ে দেবীদ্বার রেয়াজ উদ্দিন পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ৩৭০০ থেকে ৪০০০টাকা, দেবীদ্বার মফিজ উদ্দিন আহম্মদ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ৩০০০ থেকে ৩২০০টাকা, ভিরাল্লা এস কে উচ্চ বিদ্যালয় ৩৭০০ থেকে ৩৯০০টাকা ও বাকসার উচ্চ বিদ্যালয় ২৮০০ থেকে ৩০০০ টাকা করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করছে। তারা ‘কোচিং ফি’র পরিবর্তে ‘অতিরিক্ত ক্লাশ’ আখ্যা দিয়ে এই টাকা নিচ্ছে।
অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিষয়ে একাধিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, ফরম পূরণের সময় অতিরিক্ত ক্লাশের জন্য টাকা চাইলেও শিক্ষার্থীরা শুধু বোর্ড ফি দিয়েই ফরম পূরণ করছে।
এব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও দেবীদ্বার রেয়াজ উদ্দিন পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, আমার স্কুলে বোর্ড ফি’র বাহিরে কোন টাকা নেওয়াহচ্ছেনা। তবে অতিরিক্ত ক্লাশের জন্য টাকা নিচ্ছি, যা সরকার অনুমোদিত। অন্যান্য স্কুলের ব্যাপারে আমি জানিনা।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবু তালেব বলেন, কোন অভিভাবক আমার কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করে নাই, তাই অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিষয়েটি আমার জানা নেই।