মো: নাজিম উদ্দিনঃ
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় সালিশী-বিচারের জন কন্যে পক্ষের লোকজনের স্বামীর বাড়ীতে ডেকে এনে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে । এ ঘটনায় ১৫ জনসহ দুই মহিলা ইউপি সদস্য লাঞ্চিত করেছে হামলাকারীরা।
শনিবার বিকেলে উপজেলার সদর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, সাতমোড়া গ্রামের নুরুজ্জামান বেগম (২৫), লিয়াকত আলী (২৬), ইব্রাহীম(২০), খোকন মিয়া, স্বপন মিয়া, আ: মতিন, সুমন, রুবেল ও গৃহবধূ জেসমিন আক্তার প্রমুখ। আহদের মধ্যে ৪জনকে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের লিয়াকত আলীকে আশংকাজনক অবস্থায় কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। অন্যদের বিভিন্ন স্থানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
লাঞ্চিত ইউপি সদস্যরা হলেন, জাহাপুর ইউনিয়নের মহিলা ইউপি সদস্য মমতাজ বেগম ও সাবেক মেম্বার আবুল হাসেমক।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৫বছর পূর্বে উপজেলার জাহাপুর ইউনিয়নের সাতমোড়া গ্রামের ছন্দু মিয়ার মেয়ে জেসমিন আক্তারের (২৫) সাথে সদর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের হানিফ মিয়ার ছেলে পারভেজ এর সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর জেসমিন জানতে পারে তার স্বামী পারভেজ মাদকাসক্ত। সে প্রায়ই তার স্ত্রীকে মারধর করত। গত ২০শে নভেম্বর তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে পারভেজ তার স্ত্রী জেসমিনকে বেদম মারধর করে একপর্যায়ে তাকে মৌখিক ভাবে তালাক দিয়ে তাকে কোন প্রকার খাবার ও পানি দেয়া ছাড়াই আলাদা একটি ঘরে আটকে রাখে। এদিকে মেয়েকে মারধর ও তালাকের বিষয়টি শুনে ছন্দু মিয়া মেয়ের স্বামীর বাড়ীর লোকজনদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা সোনাপুর এসে সালিশ করে মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন। এর প্রেক্ষিতে ছন্দু মিয়া তার গ্রামের মহিলা ইউপি সদস্য মমতাজ বেগম ও সাবেক মেম্বার আবুল হাশেম ১০/১২ জন সালিশের জন্য শনিবার দুপুরে সোনাপুর গ্রামে আসেন এবং সেখানকার ইউপি সদস্য গিয়াস উদ্দিনের উপস্থিতিতে তার বাড়ীতে সালিশে বসলেও এক পর্যায়ে হানিফ মিয়া ও তার ছেলে পারভেজ এর নেতৃত্বে ১৫/২০ জনের একদল সন্ত্রাসী অতর্কিত হামলা চালিয়ে ৯ জনকে আহত এবং জাহাপুর ইউনিয়নের দুই ইউপি সদস্যকে লাঞ্চিত করে। এদেিক শনিবার রাতেই জাহাপুর ইউপি চেয়ারম্যান একেএম সফিকুল ইসলাম আহতদের দেখতে হাসপাতালে আসেন এবং ঘটনার ন্যায় বিচারের আশ^াস প্রদান করেন।
এব্যাপারে হানিফ মিয়ার কছে জানতে চাইলে তার পুত্রবধূকে তালাকের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, উভয় পক্ষেই মারামারি হয়েছে আমি আমার দুই ছেলেসহ আমাদের ৪জন আহত হয়েছেন।
এব্যাপারে মুরাদনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো: হাবীবুর রহমান বলেন, আমরা বিষয়টি শুনেছি আহতরা হাসপাতালে ভর্তি আছে, লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।