নাজমুল করিম ফারুক, তিতাস (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার তিতাসে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেলেন অষ্টম শ্রেণিতে পড়–য়া খাদিজা আক্তার।
বুধবার গভীর রাতে উপজেলার কেশবপুর চকের বাড়িতে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মকিমা বেগম অভিযান চালিয়ে এ বাল্যবিবাহ বন্ধ করেন। খাদিজা আক্তার উপজেলার কেশবপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কেশবপুর গ্রামের চকের বাড়ির মহসিন মিয়ার মেয়ে খাদিজা আক্তারের বিয়ে ঠিক হয় পার্শ্ববতী মাছিমপুর গ্রামের মতি মিয়ার ছেলের সাথে। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসলে বুধবার গভীর রাতে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মকিমা বেগম, উপজেলা সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল গণিসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর একটি সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালান। এসময় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা লক্ষ্য করা যায়। সেখান থেকে খাদিজা আক্তারের চাচীকে আটক করা হয়। এদিকে মেয়ের বিয়ের বয়স না হলে এবং আগামী এসএসসি পরীক্ষার আগে বিয়ে দেবে না বলে অভিভাবকগণ লিখিত অঙ্গীকারনামা দিলে চাচীকে ছেড়ে দেয়া হয়।
কেশবপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী গোফরান খান বলেন, মোসাঃ খাদিজা আক্তার এ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। তার রোল নং-৪৮। আজ (বৃহস্পতিবার) সাময়িক সময়ের জন্য সে বিদ্যালয় আসে এবং পরে বাড়িতে চলে যায়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মকিমা বেগম বলেন, বাল্যবিবাহ বন্ধে প্রশাসনের যে অভিযান চলমান আছে তা অব্যাহত থাকবে। তবে বাল্যবিবাহ বন্ধে তিনি এলাকার সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।