ঢাকা ০৫:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে নকল প্রতিরোধে ইউএনও’র পদক্ষেপে বিভিন্ন সংগঠনের অভিনন্দন

মো: মোশাররফ হোসেন মনির/ মো: নাজিম উদ্দিনঃ

সারাদেশ ব্যাপী চলমান এসএসসি, দাখিল ও সমমান পরীক্ষার অংশ হিসেবে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় নকল মুক্ত পরিবেশে সম্পন্ন করার লক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেলুল কাদের’র নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপে সম্পূর্ন নকল মুক্ত পরিবেশে চলমান হওয়ায় উপজেলার সুশীলসমাজ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও বিভিন্ন সংগঠন তার এই প্রদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসাসহ অভিনন্দন জানিয়েছেন। নকল প্রতিরোধে ইউএনও’র প্রদক্ষেপের ফলে উপজেলার সর্বস্থানে তার ওপর প্রশংসার বৃষ্টি ঝরছে।

সম্পূর্ন নকল মুক্ত ভাবে পরীক্ষা গ্রহনের জন্য যে পদক্ষেপ গুলো নিয়েছেন তার ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে প্রকৃত মেধাবী শিক্ষার্থীরা বেড়িয়ে আসবে এমনটা প্রত্যাশা উপজেলাবাসীর। নকল মুক্ত পরীক্ষা গ্রহন শুরু হওয়ায় পরীক্ষার্থী অভিভাবক ও বিদ্যালয় পচিালনা পরষদ সদস্যদের মধ্যে ব্যাপক পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে এর ধারাবাহিকতা থাকলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের লেখা পড়ায় মনোযোগী হবে এমনটাই মনে করেন স্থানীয়রা।

নকল প্রতিরোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ অংশের মধ্যে রয়েছে, প্রথমে ৮ হাজার শিক্ষার্থীর কাছে ইউএনও’র লেখা খোলা চিঠি, ১হাজার ৬শত শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠান সভাপতিদের নিয়ে নকল বিরোধী সমাবেশের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে নকলকে না বলে শপথ গ্রহন, উপজেলার ১৩টি মূল পরীক্ষা কেন্দ্রে ৮হাজার পরীক্ষার্থীসহ প্রায় ২৫ হাজার শিক্ষার্থী নকল না করার শপথ গ্রহন, পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্ব প্রাপ্ত সকল শিক্ষকদেরকে পরিচয় পত্র কার্ড তৈরী, উপজেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি হিসেবে প্রতিটি কেন্দ্রে প্রতিদিন নতুন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বভার প্রদান, শিক্ষকদের ক্ষেত্রে যে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যে কেন্দ্রে পরীক্ষা দেবে সে কেন্দ্রে এসব বিদ্যালয়ের কোন শিক্ষকদের দায়িত্ব না দেওয়া, কোন শিক্ষক কোন রুমে দায়িত্ব পালন করবে সেটা পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষন আগে লটারীর মাধ্যমে নির্ধারন করা, পরীক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষকদের মোবাইল ফোন ব্যাবহার সম্পূর্ন ভাবে নিষিদ্ধ করা, উপজেলায় পরীক্ষার সময় প্রথম বারেরমত ৪টি ভিজিলেন্স টিম গঠন, প্রতিদিন বোর্ডের কর্মকর্তারা ও জেলা ম্যাজিসস্ট্রেটরা দায়িত্ব পালন নিশ্চিত করন।

এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেলুল কাদের জানান, আমি মুরাদনগরে দায়িত্ব পালন কালে দুইটি পরীক্ষায় দেখার সুযোগ হয়েছে। পরীক্ষা গুলোতে আমি দেখেছি নকলের ছড়াছড়ি এতে শিক্ষকরাও পিছিয়ে নেই। সে থেকেই আমি শপথ নিয়েছে আগামী পরীক্ষা গুলো নকল মুক্ত করার।

সবার আগে স্থানীয় সাংবাদিকদেরকে ধন্যবাদ জানিয়ে ইউএনও বলেন সাংবাদিকরা সব সময় নকল বন্ধে আমাকে সার্বিক সহযোগিতাই আজ নকল মুক্ত পরিবেশের তৈরী করতে পেরেছি। নকল হলো ফরমালিনের মতো, ফরমালিন দেয়া মাছ, মাংস, সবজি যেমন শরীরের জন্য মারাত্তক ঝুকিপূর্ণ তেমনি নকল করে জিপিএ-৫ এবং পাশ করা শিক্ষার্থীরাও পরিবার সমাজ ও জাতির জন্য মারাত্তক ক্ষতিকর।

নকল করে পরীক্ষায় পাশ করা যায় কিন্তু নিজের ভবিষ্যৎ অন্ধকার থেকে যায়। সেই অন্ধকার জগৎ থেকে ছাত্র সমাজকে বের করে আনা দায়িত্ব সকলের। তবে সবার আগে শ্রেণী শিক্ষকদের নকলে সহযোগিতার মনোভাব পরিহার করতে হবে। নকল মুক্ত পরীক্ষা হলে প্রথমে পাশের হার কমে যেতে পারে তবে এটা কোন ব্যাপার নয়।

ধারাহিকতা বজায় থাকলে শিক্ষার্থীরা ভালভাবে পড়াশুনা করবে তখন পাশের হার বৃদ্ধিও পাশাপাশি প্রকৃত মেধাবীরা পাশ করে বেরিয়ে আসবে।

আমি আশা করব মুরাদনগরবাসী সবাই নকল প্রতিরোধে আমাদেরকে সার্বিক সহযোগিতা করবে। সকলের সহযোগিতা পেলে ও নকলের বিরুদ্ধে সবাই সোচ্চার হলে দেশ থেকে নকলকে বিদায় জানানো সম্ভব হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির ১৭ বছর পর বিজয় দিবস উদযাপন

মুরাদনগরে নকল প্রতিরোধে ইউএনও’র পদক্ষেপে বিভিন্ন সংগঠনের অভিনন্দন

আপডেট সময় ০৪:১২:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
মো: মোশাররফ হোসেন মনির/ মো: নাজিম উদ্দিনঃ

সারাদেশ ব্যাপী চলমান এসএসসি, দাখিল ও সমমান পরীক্ষার অংশ হিসেবে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় নকল মুক্ত পরিবেশে সম্পন্ন করার লক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেলুল কাদের’র নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপে সম্পূর্ন নকল মুক্ত পরিবেশে চলমান হওয়ায় উপজেলার সুশীলসমাজ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও বিভিন্ন সংগঠন তার এই প্রদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসাসহ অভিনন্দন জানিয়েছেন। নকল প্রতিরোধে ইউএনও’র প্রদক্ষেপের ফলে উপজেলার সর্বস্থানে তার ওপর প্রশংসার বৃষ্টি ঝরছে।

সম্পূর্ন নকল মুক্ত ভাবে পরীক্ষা গ্রহনের জন্য যে পদক্ষেপ গুলো নিয়েছেন তার ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে প্রকৃত মেধাবী শিক্ষার্থীরা বেড়িয়ে আসবে এমনটা প্রত্যাশা উপজেলাবাসীর। নকল মুক্ত পরীক্ষা গ্রহন শুরু হওয়ায় পরীক্ষার্থী অভিভাবক ও বিদ্যালয় পচিালনা পরষদ সদস্যদের মধ্যে ব্যাপক পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে এর ধারাবাহিকতা থাকলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের লেখা পড়ায় মনোযোগী হবে এমনটাই মনে করেন স্থানীয়রা।

নকল প্রতিরোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ অংশের মধ্যে রয়েছে, প্রথমে ৮ হাজার শিক্ষার্থীর কাছে ইউএনও’র লেখা খোলা চিঠি, ১হাজার ৬শত শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠান সভাপতিদের নিয়ে নকল বিরোধী সমাবেশের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে নকলকে না বলে শপথ গ্রহন, উপজেলার ১৩টি মূল পরীক্ষা কেন্দ্রে ৮হাজার পরীক্ষার্থীসহ প্রায় ২৫ হাজার শিক্ষার্থী নকল না করার শপথ গ্রহন, পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্ব প্রাপ্ত সকল শিক্ষকদেরকে পরিচয় পত্র কার্ড তৈরী, উপজেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি হিসেবে প্রতিটি কেন্দ্রে প্রতিদিন নতুন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বভার প্রদান, শিক্ষকদের ক্ষেত্রে যে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যে কেন্দ্রে পরীক্ষা দেবে সে কেন্দ্রে এসব বিদ্যালয়ের কোন শিক্ষকদের দায়িত্ব না দেওয়া, কোন শিক্ষক কোন রুমে দায়িত্ব পালন করবে সেটা পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষন আগে লটারীর মাধ্যমে নির্ধারন করা, পরীক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষকদের মোবাইল ফোন ব্যাবহার সম্পূর্ন ভাবে নিষিদ্ধ করা, উপজেলায় পরীক্ষার সময় প্রথম বারেরমত ৪টি ভিজিলেন্স টিম গঠন, প্রতিদিন বোর্ডের কর্মকর্তারা ও জেলা ম্যাজিসস্ট্রেটরা দায়িত্ব পালন নিশ্চিত করন।

এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেলুল কাদের জানান, আমি মুরাদনগরে দায়িত্ব পালন কালে দুইটি পরীক্ষায় দেখার সুযোগ হয়েছে। পরীক্ষা গুলোতে আমি দেখেছি নকলের ছড়াছড়ি এতে শিক্ষকরাও পিছিয়ে নেই। সে থেকেই আমি শপথ নিয়েছে আগামী পরীক্ষা গুলো নকল মুক্ত করার।

সবার আগে স্থানীয় সাংবাদিকদেরকে ধন্যবাদ জানিয়ে ইউএনও বলেন সাংবাদিকরা সব সময় নকল বন্ধে আমাকে সার্বিক সহযোগিতাই আজ নকল মুক্ত পরিবেশের তৈরী করতে পেরেছি। নকল হলো ফরমালিনের মতো, ফরমালিন দেয়া মাছ, মাংস, সবজি যেমন শরীরের জন্য মারাত্তক ঝুকিপূর্ণ তেমনি নকল করে জিপিএ-৫ এবং পাশ করা শিক্ষার্থীরাও পরিবার সমাজ ও জাতির জন্য মারাত্তক ক্ষতিকর।

নকল করে পরীক্ষায় পাশ করা যায় কিন্তু নিজের ভবিষ্যৎ অন্ধকার থেকে যায়। সেই অন্ধকার জগৎ থেকে ছাত্র সমাজকে বের করে আনা দায়িত্ব সকলের। তবে সবার আগে শ্রেণী শিক্ষকদের নকলে সহযোগিতার মনোভাব পরিহার করতে হবে। নকল মুক্ত পরীক্ষা হলে প্রথমে পাশের হার কমে যেতে পারে তবে এটা কোন ব্যাপার নয়।

ধারাহিকতা বজায় থাকলে শিক্ষার্থীরা ভালভাবে পড়াশুনা করবে তখন পাশের হার বৃদ্ধিও পাশাপাশি প্রকৃত মেধাবীরা পাশ করে বেরিয়ে আসবে।

আমি আশা করব মুরাদনগরবাসী সবাই নকল প্রতিরোধে আমাদেরকে সার্বিক সহযোগিতা করবে। সকলের সহযোগিতা পেলে ও নকলের বিরুদ্ধে সবাই সোচ্চার হলে দেশ থেকে নকলকে বিদায় জানানো সম্ভব হবে।