ঢাকা ১১:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুক্তিযোদ্ধারা কালের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান -রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক

মোর্শেদুল ইসলাম শাজু, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের অসামান্য অবদানের কথা স্মরণ করে রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধারা কালের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান। দুনিয়া যতদিন থাকবে এ স্বাধীনতা অর্জনে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধাদের নাম বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

শনিবার কুমিল্লার হোমনায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রমে মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, পাকিস্তানীরা জোর করে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে দখল করে রেখেছিল। বঙ্গবন্ধুর ডাকে দখলদার পাকবাহিনী-পাঞ্জাবীদের প্রতিহত করার জন্য বাঙালীরা জীবন-মরণ সংগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গণে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন। পশ্চিম পাকিস্তানীরা ত্রিশ লাখ বাঙালীকে হত্যা করলো। আমরা ত্রিশ লাখ লোককে হারালাম। দুই লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে নয় মাস যুদ্ধ করে আমরা জয়লাভ করলাম। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি স্বাধীন করলাম।

উপজেলা শিল্পকলা একাডেমিতে  আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইকালে পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য  মো. আমির হোসেন ভূঁইয়া, সদস্য সচিব ইউএনও কাজী শহিদুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের প্রতিনিধি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার আবুল কাশেম প্রধান, জেলা কমান্ডের প্রতিনিধি মো. শাহজাহান, উপজেলা কমান্ডার মো. মোশাররফ হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি ফরিদ উদ্দিন প্রধান, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের প্রতিনিধি মনিরুল হক। উপস্থাপনায় ছিলেন সহকারি পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা সাহিদুল হক দেওয়ান।

এসময় রেলপথমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলার স্বাধীনতায় এই মুক্তিযোদ্ধাদের অসামান্য অবদান রয়েছে। বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করলো। গঠিত হলো মুজিবনগর সরকার, বিপ্লবী সরকার। সেই সরকারের রাষ্ট্রপতি হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজবুর রহমান। শেখ মুজবুর রহমানকে গ্রেফতার করা হলো। তার অবর্তমানে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হলো সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ। মন্ত্রীসভার সদস্য ছিলেন ক্যপটেন মনসুর আলী, কামরুজ্জামান এবং মুক্তিবাহিনীর প্রধান ছিলেন জেনারেল এম এ জি ওসমানী।

এদিন ২১০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাইয়ে অংশ নেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দীর্ঘ ১৩ বছর পর দেশে ফিরছেন কায়কোবাদ: স্বাগত জানাতে মুরাদনগরে ব্যাপক প্রস্ততি

মুক্তিযোদ্ধারা কালের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান -রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক

আপডেট সময় ০৩:১৫:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
মোর্শেদুল ইসলাম শাজু, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের অসামান্য অবদানের কথা স্মরণ করে রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধারা কালের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান। দুনিয়া যতদিন থাকবে এ স্বাধীনতা অর্জনে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধাদের নাম বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

শনিবার কুমিল্লার হোমনায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রমে মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, পাকিস্তানীরা জোর করে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে দখল করে রেখেছিল। বঙ্গবন্ধুর ডাকে দখলদার পাকবাহিনী-পাঞ্জাবীদের প্রতিহত করার জন্য বাঙালীরা জীবন-মরণ সংগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গণে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন। পশ্চিম পাকিস্তানীরা ত্রিশ লাখ বাঙালীকে হত্যা করলো। আমরা ত্রিশ লাখ লোককে হারালাম। দুই লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে নয় মাস যুদ্ধ করে আমরা জয়লাভ করলাম। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি স্বাধীন করলাম।

উপজেলা শিল্পকলা একাডেমিতে  আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইকালে পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য  মো. আমির হোসেন ভূঁইয়া, সদস্য সচিব ইউএনও কাজী শহিদুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের প্রতিনিধি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার আবুল কাশেম প্রধান, জেলা কমান্ডের প্রতিনিধি মো. শাহজাহান, উপজেলা কমান্ডার মো. মোশাররফ হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি ফরিদ উদ্দিন প্রধান, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের প্রতিনিধি মনিরুল হক। উপস্থাপনায় ছিলেন সহকারি পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা সাহিদুল হক দেওয়ান।

এসময় রেলপথমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলার স্বাধীনতায় এই মুক্তিযোদ্ধাদের অসামান্য অবদান রয়েছে। বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করলো। গঠিত হলো মুজিবনগর সরকার, বিপ্লবী সরকার। সেই সরকারের রাষ্ট্রপতি হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজবুর রহমান। শেখ মুজবুর রহমানকে গ্রেফতার করা হলো। তার অবর্তমানে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হলো সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ। মন্ত্রীসভার সদস্য ছিলেন ক্যপটেন মনসুর আলী, কামরুজ্জামান এবং মুক্তিবাহিনীর প্রধান ছিলেন জেনারেল এম এ জি ওসমানী।

এদিন ২১০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাইয়ে অংশ নেন।