বিশেষ প্রতিনিধি, কুমিল্লাঃ
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট মানছুরা আক্তার (২৮) নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার মক্রবপুর ইউনিয়নের তুলাগাঁও গ্রামে স্বামীর ঘর থেকে ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মানছুরা নাঙ্গলকোট পৌরসভার হরিপুর গ্রামের মৃত জাকির হোসেনের মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১০ বছর আগে উপজেলার তুলাগাঁও গ্রামের আবদুল মতিনের ছেলে সালাহ উদ্দিনের সঙ্গে হরিপুর গ্রামের মৃত জাকির হোসেনের মেয়ে মানছুরা আক্তারের বিয়ে হয়। বর্তমানে তাদের সংসারে আট বছর বয়সী ছেলে ও চার বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। প্রায় দুই বছর আগে সালাহ উদ্দিন স্থানীয় এক যুবতীর সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে বিষয়টি তার স্ত্রী মানছুরা জানতে পারেন। এরপর থেকেই বিষয়টি নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে সালাহ উদ্দিনের পারিবারিক কলহ চলছিল। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার রাতেও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রচণ্ড ঝগড়া হয়।
আজ শুক্রবার সকালে মানছুরা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রতিবেশীদের কাছে প্রচার করতে থাকেন সালাহ উদ্দিন ও তার পরিবারের লোকজন। পরে এলাকার লোকজন এসে ঘরের সিলিংয়ের সঙ্গে মানছুরার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য তা কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এদিকে, সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর থেকেই মানছুরার স্বামী সালাহ উদ্দিন এলাকা থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রে খবর পাওয়া গেছে। ঘটনা প্রসঙ্গে জানতে সালাহ উদ্দিনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে নাঙ্গলকোট থানার ওসি মোহাম্মদ আইয়ূব বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যার ঘটনা বলে মনে হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ও পুলিশের তদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।