ঢাকা ১২:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে মন্ত্রীর আগমনে আ’লীগের চাঁপা ক্ষোভ

আজিজুর রহমান রনি, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার শ্রীকাইল কলেজ সরকারী করণ ও ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে হীরক জয়ন্তী অনুষ্ঠানে জেলা ও উপজেলা আ’লীগকে না জানিয়ে রেল মন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে লিখিত আবেদন দিয়েও ডাক না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন জেলা ও উপজেলা আ’লীগ। গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে এগারোটায় শ্রীকাইল কলেজ প্রঙ্গনে ওই অনুষ্ঠান হয়।

অনুষ্ঠানে কুমিল্লা দক্ষিন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রেলমন্ত্রী মজিবুল হককে প্রধান অতিথি, উপজেলার স্বতন্ত্র সাংসদ ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন উদ্ভোধক ও মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য কন্ঠ শিল্পী মমতাজ বেগমকে বিশেষ অতিথি করা হয়।

কুমিল্লা উত্তর জেলার সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকার বলেন, ‘মাননীয় রেল মন্ত্রী দলের প্রবীন নেতা কুমিল্লা দক্ষিন জেলার সাধারণ সম্পাদক আর আমি মুরাদনগর উপজেলার সন্তান ও কুমিল্লা উত্তর জেলার সাধারণ সম্পাদক। তিনি আমার উপজেলায় এসে অনুষ্ঠান করেন অথচ জেলা ও উপজেলা আ’লীগ জানে না এটা দলীয় শৃঙ্খলায় আছে কিনা তিনিই আমার চেয়ে ভালো বলতে পাবেন। তবে তাঁর এমন আগমনে দলীয় নেতা কর্মীর মাঝে চাঁপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

উপজেলা আওয়ালীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আ: আওয়াল বলেন, মাননীয় মন্ত্রী মুরাদনগর উপজেলায় আসবেন এই খবর আমরা লোক মুখে শুনি। পরে খবর নিয়ে জানতে পারি এই উপজেলার বর্তমান স্বতন্ত্র এমপি ইউছুফ আব্দুল্লার আমন্ত্রনে তিনি আসবেন। আমরা লিখিত ভাবে মন্ত্রির কাজে আবেদন জানাই যে, মন্ত্রী মহোদয় আপার আসা কে কেন্দ্র করে আমরা উপজেলা আ’লীগ বিষয়টির সাথে সম্পৃক্ত নাই দয়া করে আমাদেরকে সম্পৃক্ত করলে আমরা আপনাকে আরো বেশি সম্মানিত করার পাশাপাশি দলীয় নেতা কর্মীর মধ্যে বঙ্গবন্ধুর চেতনা আরো গতিশীল হবে। তিনি আমাদেরকে মৌখিক ভাবে বলেছেন বিষয়টি গুরোত ¡সহকারে দেখবেন। কিন্তু অতি দু:খ হয় ওনার মতো দলের এমন প্রবিন নেতার কাছ থেকে আমরা কেউ এমনটা আশা করিনি।

স্থানীয় সূত্র ও একাদিক নেতা কর্মীর সাথে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ মুরাদনগর উপজেলা আওয়ামীলীগ দু’গ্রুপে বিভক্ত হয়ে আছে। ফলে যে যার মতো করে নিজের ক্ষমতা ও আদিপত্য ধরে রাখার জন্য দলের একাংশ নেতা কর্মী রেখেই বিভিন্ন দলীয় প্রোগাম ও পালটা পালটি কর্মসূচি দিয়ে থাকে। গত কালকের মন্ত্রীর প্রোগামে ডাক না পেয়ে উপজেলা আ’লীগের একাংশ
একই জায়গায় একশ গজ অদূরে শ্রীকাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে একই সময় কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে গণসংবর্ধনা দেয়ার লক্ষ্যে আরেকটি সভা আহ্বান করা হয়েছে বলে বিভিন্ন মহলে রটে।
সভায় কুমিল্লা সদরের সংসদ সদস্য হাজী আ, ক, ম বাহার উদ্দিন বাহারকে প্রধান অতিথি, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. আবদুল আউয়াল সরকার, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম সরকার ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) সহসভাপতি ও কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্রী বাদল রায়কে বিশেষ অতিথি করা হয়েছে বলে গত বৃহস্পবার দিন ভর নেতা কর্মীদের মুখে মুখে ছিল এমন খবর। পরে খবর নিয়ে এর কোন ভিত্তি পাওয়া যায়নি।  এতে করে আ’লীগের সাধারণ কর্মীদের মাঝে চাঁপা ক্ষোভ আছে। এবং আগামী সাংসদ নীর্বাচনকে ঘিরে সংগাতের আশঙ্কা করছে উভয় গ্রুপের নেতা কর্মী।

শ্রীকাইল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিয়া মো: গোলাম সারোয়ার’র মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

(কুমিল্লা-০৩) মুরাদনগর উপজেলার স্বতন্ত্র সাংসদ ইউছুফ আব্দুল্লাহ হারুন মুঠো ফোন রিসিভ না করাতে এই বিষয়ে তাঁর কোন বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির ১৭ বছর পর বিজয় দিবস উদযাপন

মুরাদনগরে মন্ত্রীর আগমনে আ’লীগের চাঁপা ক্ষোভ

আপডেট সময় ০১:১২:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ নভেম্বর ২০১৬
আজিজুর রহমান রনি, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার শ্রীকাইল কলেজ সরকারী করণ ও ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে হীরক জয়ন্তী অনুষ্ঠানে জেলা ও উপজেলা আ’লীগকে না জানিয়ে রেল মন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে লিখিত আবেদন দিয়েও ডাক না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন জেলা ও উপজেলা আ’লীগ। গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে এগারোটায় শ্রীকাইল কলেজ প্রঙ্গনে ওই অনুষ্ঠান হয়।

অনুষ্ঠানে কুমিল্লা দক্ষিন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রেলমন্ত্রী মজিবুল হককে প্রধান অতিথি, উপজেলার স্বতন্ত্র সাংসদ ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন উদ্ভোধক ও মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য কন্ঠ শিল্পী মমতাজ বেগমকে বিশেষ অতিথি করা হয়।

কুমিল্লা উত্তর জেলার সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকার বলেন, ‘মাননীয় রেল মন্ত্রী দলের প্রবীন নেতা কুমিল্লা দক্ষিন জেলার সাধারণ সম্পাদক আর আমি মুরাদনগর উপজেলার সন্তান ও কুমিল্লা উত্তর জেলার সাধারণ সম্পাদক। তিনি আমার উপজেলায় এসে অনুষ্ঠান করেন অথচ জেলা ও উপজেলা আ’লীগ জানে না এটা দলীয় শৃঙ্খলায় আছে কিনা তিনিই আমার চেয়ে ভালো বলতে পাবেন। তবে তাঁর এমন আগমনে দলীয় নেতা কর্মীর মাঝে চাঁপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

উপজেলা আওয়ালীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আ: আওয়াল বলেন, মাননীয় মন্ত্রী মুরাদনগর উপজেলায় আসবেন এই খবর আমরা লোক মুখে শুনি। পরে খবর নিয়ে জানতে পারি এই উপজেলার বর্তমান স্বতন্ত্র এমপি ইউছুফ আব্দুল্লার আমন্ত্রনে তিনি আসবেন। আমরা লিখিত ভাবে মন্ত্রির কাজে আবেদন জানাই যে, মন্ত্রী মহোদয় আপার আসা কে কেন্দ্র করে আমরা উপজেলা আ’লীগ বিষয়টির সাথে সম্পৃক্ত নাই দয়া করে আমাদেরকে সম্পৃক্ত করলে আমরা আপনাকে আরো বেশি সম্মানিত করার পাশাপাশি দলীয় নেতা কর্মীর মধ্যে বঙ্গবন্ধুর চেতনা আরো গতিশীল হবে। তিনি আমাদেরকে মৌখিক ভাবে বলেছেন বিষয়টি গুরোত ¡সহকারে দেখবেন। কিন্তু অতি দু:খ হয় ওনার মতো দলের এমন প্রবিন নেতার কাছ থেকে আমরা কেউ এমনটা আশা করিনি।

স্থানীয় সূত্র ও একাদিক নেতা কর্মীর সাথে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ মুরাদনগর উপজেলা আওয়ামীলীগ দু’গ্রুপে বিভক্ত হয়ে আছে। ফলে যে যার মতো করে নিজের ক্ষমতা ও আদিপত্য ধরে রাখার জন্য দলের একাংশ নেতা কর্মী রেখেই বিভিন্ন দলীয় প্রোগাম ও পালটা পালটি কর্মসূচি দিয়ে থাকে। গত কালকের মন্ত্রীর প্রোগামে ডাক না পেয়ে উপজেলা আ’লীগের একাংশ
একই জায়গায় একশ গজ অদূরে শ্রীকাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে একই সময় কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে গণসংবর্ধনা দেয়ার লক্ষ্যে আরেকটি সভা আহ্বান করা হয়েছে বলে বিভিন্ন মহলে রটে।
সভায় কুমিল্লা সদরের সংসদ সদস্য হাজী আ, ক, ম বাহার উদ্দিন বাহারকে প্রধান অতিথি, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. আবদুল আউয়াল সরকার, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম সরকার ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) সহসভাপতি ও কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্রী বাদল রায়কে বিশেষ অতিথি করা হয়েছে বলে গত বৃহস্পবার দিন ভর নেতা কর্মীদের মুখে মুখে ছিল এমন খবর। পরে খবর নিয়ে এর কোন ভিত্তি পাওয়া যায়নি।  এতে করে আ’লীগের সাধারণ কর্মীদের মাঝে চাঁপা ক্ষোভ আছে। এবং আগামী সাংসদ নীর্বাচনকে ঘিরে সংগাতের আশঙ্কা করছে উভয় গ্রুপের নেতা কর্মী।

শ্রীকাইল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিয়া মো: গোলাম সারোয়ার’র মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

(কুমিল্লা-০৩) মুরাদনগর উপজেলার স্বতন্ত্র সাংসদ ইউছুফ আব্দুল্লাহ হারুন মুঠো ফোন রিসিভ না করাতে এই বিষয়ে তাঁর কোন বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।