ঢাকা ০২:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘আমেরিকার মৃত্যু চেয়ে’ লাখো মানুষের বিক্ষোভ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ইরানি জেনারেল কাশেম সোলাইমানির জানাজায় লাখ লাখ মানুষ অংশ নিয়েছে। জানাজা শেষে শোক মিছিলে আমেরিকার মৃত্যু চেয়ে স্লোগান দেয় জনতা। শনিবার ইরাকের রাজধানী বাগদাদে জানাজা হয় সোলাইমানির।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, বাগদাদে শোক মিছিলে অংশ নেওয়া মানুষ ইরাকি এবং মিলিশিয়া বাহিনীর পতাকা বহন করে শ্লোগান দেয়। তারা বলতে থাকে ‘আমেরিকার মৃত্যু চাই’। শহরের অনেকগুলো রাস্তা জুড়ে মিছিল চলে। তাদের অনেকের হাতে ছিল সোলেইমানি এবং ইরানের ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির ছবি। তার মৃত্যুতে কয়েকদিন ধরে শোক পালন করতে যাচ্ছে ইরান ও ইরাকের সমর্থকরা।

রেডিও তেহরানের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাগদাদে অবস্থিত ইরানের দূতাবাস জানিয়েছে, ইরাকি জনগণের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সোলাইমানির মৃতদেহ কারবালা এবং নাজাফে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে ইরাকি জনগণ তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে এবং ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী শোক পালন করবে। এরপর তার মৃতদেহ ইরানে পৌঁছার কথা রয়েছে। মঙ্গলবার নিজ প্রদেশ কেরমানে সোলাইমানি দাফন করা হবে।

বৃহস্পতিবার মার্কিন হামলায় কাশেম সোলেইমানিসহ মোট ছয়জন নিহত হন। তাদের মধ্যে রয়েছেন আবু মাহদি আল-মুহানদিস, যিনি ইরানের সমর্থনপুষ্ট খাতিব হেজবুল্লাহ গ্রুপের কমান্ডার এবং ইরাকি মিলিশিয়াদের একটি জোট পপুলার মোবিলাইজেশন ইউনিটের নেতা ছিলেন। সোলেইমানি ইরানের এলিট কুদস বাহিনীর প্রধান ছিলেন। ট্রাম্পের নির্দেশেই এই হামলা করা হয়।

এ ঘটনার পর ইরান কঠিন প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দেয়। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামিনি বলেন, ‘অপরাধীদের জন্য ভয়াবহ প্রতিশোধ অপেক্ষা করছে।’

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে কৃষক ও উদ্যোক্তাদের দিনব্যাপী কর্মশালা

‘আমেরিকার মৃত্যু চেয়ে’ লাখো মানুষের বিক্ষোভ

আপডেট সময় ০৩:১৯:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ইরানি জেনারেল কাশেম সোলাইমানির জানাজায় লাখ লাখ মানুষ অংশ নিয়েছে। জানাজা শেষে শোক মিছিলে আমেরিকার মৃত্যু চেয়ে স্লোগান দেয় জনতা। শনিবার ইরাকের রাজধানী বাগদাদে জানাজা হয় সোলাইমানির।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, বাগদাদে শোক মিছিলে অংশ নেওয়া মানুষ ইরাকি এবং মিলিশিয়া বাহিনীর পতাকা বহন করে শ্লোগান দেয়। তারা বলতে থাকে ‘আমেরিকার মৃত্যু চাই’। শহরের অনেকগুলো রাস্তা জুড়ে মিছিল চলে। তাদের অনেকের হাতে ছিল সোলেইমানি এবং ইরানের ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির ছবি। তার মৃত্যুতে কয়েকদিন ধরে শোক পালন করতে যাচ্ছে ইরান ও ইরাকের সমর্থকরা।

রেডিও তেহরানের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাগদাদে অবস্থিত ইরানের দূতাবাস জানিয়েছে, ইরাকি জনগণের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সোলাইমানির মৃতদেহ কারবালা এবং নাজাফে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে ইরাকি জনগণ তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে এবং ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী শোক পালন করবে। এরপর তার মৃতদেহ ইরানে পৌঁছার কথা রয়েছে। মঙ্গলবার নিজ প্রদেশ কেরমানে সোলাইমানি দাফন করা হবে।

বৃহস্পতিবার মার্কিন হামলায় কাশেম সোলেইমানিসহ মোট ছয়জন নিহত হন। তাদের মধ্যে রয়েছেন আবু মাহদি আল-মুহানদিস, যিনি ইরানের সমর্থনপুষ্ট খাতিব হেজবুল্লাহ গ্রুপের কমান্ডার এবং ইরাকি মিলিশিয়াদের একটি জোট পপুলার মোবিলাইজেশন ইউনিটের নেতা ছিলেন। সোলেইমানি ইরানের এলিট কুদস বাহিনীর প্রধান ছিলেন। ট্রাম্পের নির্দেশেই এই হামলা করা হয়।

এ ঘটনার পর ইরান কঠিন প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দেয়। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামিনি বলেন, ‘অপরাধীদের জন্য ভয়াবহ প্রতিশোধ অপেক্ষা করছে।’