তথ্য প্রযোক্তি ডেস্কঃ
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৪০ হাজার শূন্যপদে নিয়োগের জন্য সুপারিশকৃতদের তালিকা প্রকাশ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।
এই নিয়োগে কোনো চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে অবৈধ অর্থ লেনদেনের সুযোগ ছিল না। শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা আবেদন করেছেন। তার আগে প্রকাশ হয়েছে জাতীয় মেধাতালিকা। আবেদন করার পর মেধাতালিকা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এই ধরনের নিয়োগ এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো হলো। তবে এত বড় আকারে এই প্রথম।
এই পদ্ধতি চালু হওয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ক্ষেত্রে ঘুষ, দুর্নীতির অবসানের পথে বড় অগ্রগতি হয়েছে। এর আগে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ হতো স্থানীয় পর্যায়ে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তই ছিল চূড়ান্ত। আর সেখানে নানা ধরনের অভিযোগ উঠত। তবে এই পদ্ধতিতে নিয়োগে অভিযোগ থাকার সুযোগ নেই।
গতকাল সন্ধ্যায় সিলেটে অনুষ্ঠিত এক গণশুনানিতে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি যা করেছি, তা আপনাদের ভেতরের কান্না অনুধাবন করেই করেছি। আপনাদের বাবা-মারা আপনাদের দুঃখ যতটুকু না বুঝেন এর চেয়ে বেশি আমি বুঝি। আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যতদিন আছি, শুধু আপনাদের স্বার্থই দেখে যাব।’
‘আল্লাহর নাম নিয়ে বলছি-নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো লেনদেন হয়নি, হবেও না। এনটিআরসিএর কেউ ঘুষ নিয়েছে প্রমাণ করলে আমি চাকরি ছেড়ে দেব।’
চলতি বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আরো এক লাখ নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করা হবে বলেও জানান এনটিআরসি প্রধান। ন্যূনতম ৮০ হাজার নিয়োগ হবে বলেও নিশ্চিত করেন তিনি।
গত ১৯ ডিসেম্বর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩৯ হাজার ৫৩৫টি শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ।
কর্মকর্তারা জানান, সুপারিশকৃত প্রার্থীদের তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। এরপর সুপারিশপত্র প্রকাশ করা হবে। সুপারিশকৃত প্রার্থীরা নিজ নিজ পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে সুপারিশপত্রটি ডাউনলোড করে নিবেন।
কোনও প্রতিষ্ঠান সুপারিশকৃতদের নিয়োগে বাধা দিলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ সংক্রান্ত অভিযোগ পেলে এনটিআরসি থেকে শিক্ষা বোর্ডকে বিষয়টি জানানো হবে। বোর্ড প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটি ভেঙ্গে দেবে।
গত ১৮ ডিসেম্বর বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৪০ হাজার শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ দিতে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এ বিজ্ঞপ্তি অনুসারে শিক্ষক পদে ৩১ লাখ আবেদন জমা পড়ে।