ঢাকা ০৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ওবায়দুল কাদেরের মা আর নেই

জাতীয় ডেস্কঃ

বাবাকে হারানোর দুই যুগ পর মাকেও হারিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সোমবার রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৯২ বছর বয়সী বেগম ফজিলাতুন্নেসা পৃথিবী ছেড়ে চলে যান। ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন।

ছেলে সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী হলেও ফজিলাতুন্নেসা নোয়ালাখীর কোম্পানিগঞ্জের রাজাপুর গ্রামে নিজের বাড়িতে থাকতেই পছন্দ করতেন। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন ওবায়দুল কাদেরের মা।

২৩ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে আটটায় কোম্পানীগঞ্জে গ্রামের বাড়ি স্ট্রোক করেন ফজিলাতুন্নেসা। সেদিন বিকাল ৩টার দিকে তাকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। গতকাল সন্ধ্যায় হাসপাতালে গিয়ে মায়ের পাশে সময় কাটান ওবায়দুল কাদের। এ সময় তিনি মায়ের সুস্থতা কামনা করে দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।

বেগম ফজিলাতুন্নেসার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক শোকবার্তায় তিনি মৃতের আত্মার শান্তি কামনা করেন বলেন, এই মহীয়সী নারীর মৃত্যুতে গভীর শূন্যতার সৃষ্টি হলো, যা অপূরণীয়। আওয়ামী লীগ হারালো একজন অভিভাবককে। রত্নগর্ভা এই মা সবসময় অনুপ্রেরণা যুগিয়েগেছেন।

ওবায়দুল কাদেরসহ চার ছেলে এবং ছয় মেয়ে রেখে গেছেন ফজিলাতুন্নেছা। একক পরিবারের এই যুগে সন্তানদের একসঙ্গে বেঁধে রেখেছিলেন তিনি। ফজিলাতুন্নেছার এক ছেলে আবদুল কাদের মির্জা নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র। তার আরেক সন্তান শিক্ষকতার সঙ্গে জড়িত।

মঙ্গলবার কোম্পানিগঞ্জে জোহর নামাজের পর সরকারি মুজিব কলেজ মাঠে মরহুমার জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। ওবায়দুল কাদেরের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক বিভাগের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা আবু নাছের এ তথ্য জানিয়েছেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রবাসীর বাড়ি ঘরে হামলা, নারীসহ আহত ৩

ওবায়দুল কাদেরের মা আর নেই

আপডেট সময় ০২:২১:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
জাতীয় ডেস্কঃ

বাবাকে হারানোর দুই যুগ পর মাকেও হারিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সোমবার রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৯২ বছর বয়সী বেগম ফজিলাতুন্নেসা পৃথিবী ছেড়ে চলে যান। ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন।

ছেলে সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী হলেও ফজিলাতুন্নেসা নোয়ালাখীর কোম্পানিগঞ্জের রাজাপুর গ্রামে নিজের বাড়িতে থাকতেই পছন্দ করতেন। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন ওবায়দুল কাদেরের মা।

২৩ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে আটটায় কোম্পানীগঞ্জে গ্রামের বাড়ি স্ট্রোক করেন ফজিলাতুন্নেসা। সেদিন বিকাল ৩টার দিকে তাকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। গতকাল সন্ধ্যায় হাসপাতালে গিয়ে মায়ের পাশে সময় কাটান ওবায়দুল কাদের। এ সময় তিনি মায়ের সুস্থতা কামনা করে দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।

বেগম ফজিলাতুন্নেসার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক শোকবার্তায় তিনি মৃতের আত্মার শান্তি কামনা করেন বলেন, এই মহীয়সী নারীর মৃত্যুতে গভীর শূন্যতার সৃষ্টি হলো, যা অপূরণীয়। আওয়ামী লীগ হারালো একজন অভিভাবককে। রত্নগর্ভা এই মা সবসময় অনুপ্রেরণা যুগিয়েগেছেন।

ওবায়দুল কাদেরসহ চার ছেলে এবং ছয় মেয়ে রেখে গেছেন ফজিলাতুন্নেছা। একক পরিবারের এই যুগে সন্তানদের একসঙ্গে বেঁধে রেখেছিলেন তিনি। ফজিলাতুন্নেছার এক ছেলে আবদুল কাদের মির্জা নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র। তার আরেক সন্তান শিক্ষকতার সঙ্গে জড়িত।

মঙ্গলবার কোম্পানিগঞ্জে জোহর নামাজের পর সরকারি মুজিব কলেজ মাঠে মরহুমার জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। ওবায়দুল কাদেরের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক বিভাগের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা আবু নাছের এ তথ্য জানিয়েছেন।