জাতীয় ডেস্কঃ
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজকে যখন সুপ্রিম কোর্ট তাদের রায়ের মধ্য দিয়ে দেশের বর্তমান অবস্থার আসল চেহারা তুলে ধরেছেন, তখন তাদের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন যে এখন তাদের খুব দুঃসময়। দুঃসময় কেনো? বলছে যে এখন নাকী ষড়যন্ত্র শুরু হয়ে গেছে। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে সরকার এখন সবখানে ষড়যন্ত্র খুঁজছে।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যুবদলের উদ্দোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
গত ৮ আগস্ট লন্ডনের মুরফিল্ড চক্ষু হাসপাতালে বেগম জিয়ার ডান চোখে সফল অস্ত্রোপচার হয়। চিকিৎসকদের পরামর্শে তিনি লন্ডনে অবস্থানরত বড় ছেলে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসায় বিশ্রামে রয়েছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সংবিধানের রক্ষক হিসেবে সুপ্রিমকোর্ট ষোড়শ সংশোধনী বাতিল নিয়ে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছেন। রাষ্ট্র যখন ধ্বংসের পথে, তখন দায়িত্ববোধ থেকেই সুপ্রিমকোর্ট মুখ খুলেছেন। রায়ে যে পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়েছে, এরপর বলব সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোনো নৈতিক অধিকার নেই। অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসায় নৈতিকতার ধারে কাছেও নেই আওয়ামী লীগ। তারা এখনও বন্দুক-পিস্তল নিয়ে জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে। বন্দুক-পিস্তল না থাকলে তারা এক সেকেন্ডও রাস্তায় দাঁড়াতে পারবে না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব বলেন, বিএনপিকে নৈতিকতা শেখানোর আগে সড়কে বেহাল দশার দায় নিয়ে পদত্যাগ করুন।
মির্জা ফখরুল বলেন, তোমরা রাষ্ট্র চালাতে পারো না, ব্যর্থ হও। এয়ারপোর্টের মধ্যে তিনতলায় আগুন লাগে, সমস্ত বন্ধ করে দিতে হয়। হজযাত্রীরা যেতেও পারছেন না একটার পর একটা সমস্যা তৈরি হয়ে যাচ্ছে, তারা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। তোমরা ঢাকা শহরের রাস্তা ঠিক করতে পারো না। বাইরের কথা বাদই দেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে উন্মুক্ত আলোচনায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল অংশ নিলে তাদেরকে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন ‘লাঠি-সোঠা-অস্ত্র’ নিয়ে বের করে দেয়ার ঘটনায় কঠোর সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই হচ্ছে আওয়ামী লীগের গণতন্ত্র। আবার বলে কিনা দেশে তো গণতন্ত্র আছে, গণতন্ত্রের ওপর কোনো আকাশ ভেঙে পড়লো যে, আপনাদেরকে সহায়ক সরকার দিতে হবে?
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদেরকে তোমরা সাধারণ সভা করতে দাও না, আমাদেরকে মাঠের মধ্যে জনসভা করতে দাও না। ঢাকার বাইরে গতকালও চাঁদপুর থেকে আমাকে টেলিফোন করেছিলো ম্যাডামের আরোগ্য কামনায় মিলাদ করতে চেয়েছিলো তাদেরকে বাইরে মিলাদ করতে দেয়নি। শেষে মসজিদের ভেতরে গিয়ে তারা মিলাদ করেছে, সব জায়গায় এসব কাজ করছে। এখন সেখানে তাদের ভয় যদি মিলাদ করতে গিয়ে এসে বসে পড়ে, এখান থেকে আবার যদি আন্দোলন শুরু না হয়ে যায়, সেখানে ক্ষমতা চলে যায়।
যুব দলের সিনিয়র সহসভাপতি মোরতাজুল করীম বাদরু’র পরিচালনায় সংক্ষিপ্ত আলোচনায় যুব দলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরব ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা সালাউদ্দিন টুকু বক্তব্য রাখেন।