মো: দেলোয়ার হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
০৪ এপ্রিল ২০১৫ ইং (মুরাদনগর বার্তা ডটকম):
কুমিল্লার তিতাসে মিজানুর রহমান(৪৮) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার সাতানি ইউনিয়নের নয়াকান্দি গ্রামের জামে মসজিদের ঈমাম রাখাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
নিহত মিজানুর রহমান তিতাস উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, সাতানি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগর সাবেক সভাপতি ও নয়াকান্দি গ্রামের সওদাগর মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার বিকেলে নয়াকান্দি জামে মসজিদের ঈমাম রাখাকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের রাজ্জাক মিয়ার ছেলে হাতেম আলী, রৌওশন আলীর ছেলে আবুল বাসার ও আলাউদ্দিনের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমানের তর্কাতর্কি হয়। তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে তারা অস্ত্র বের করে মিজানুর রহমানকে গুলি করতে চাইলে
তিনি(মিজানুর রহমান) ভয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে মিজানুর রহমানের লোকজন তাকে একটি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ নিয়ে মিজানের লোকজন উত্তেজনা বিরাজ করলে সংঘর্ষে রুপ নেয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ব্যাপারে নিহত আওয়ামী লীগ নেতার ভাই মোঃ শাহজাহান মিয়া দাবি করেন, মসজিদের ঈমাম নিয়ে এলাকায় বিতর্কিত ছিল। মসজিদের ঈমাম মাওলানা জয়নাল আবেদীন জামায়াতের সমর্থক বিধায় আওয়ামী লীগ নেতা মিজান তাকে বাঁদ দিয়ে অন্য ঈমাম রাখার প্রস্তুাব দেয়। এ নিয়ে হাতেম আলী, আবুল বাসার ও আলাউদ্দিন বর্তমান ইমামকে রাখার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। পরে এলাকাবাসী বর্তমান ঈমাম মাওলানা জয়নাল আবেদীনকে বাদ দিয়ে অন্য ঈমাম রাখার ব্যাপারে বসলে ওই সন্ত্রাসী বাহিনী মেরে ফেলার উদ্দেশে অস্ত্র তাক করলে তার ভাই ভয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। আমার ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই।
এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তিতাস থানার ওসি তারেক মোঃ আবদুল হান্নান বলেন, নিহত আওয়ামী লীগ নেতা মিজানের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। নিহতের ভাই শাহজাহান মিয়া বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ব্যাপারে হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।