ঢাকা ০৭:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তিতাসে সওজের কোটি টাকার জমি দখল করে রাতের আঁধারে বালু দিয়া ভরাট-নিশ্চুপ প্রশাসন

মোঃ সাকিব হোসেইন, তিতাস (কুমিল্লা) প্রতিনিধি :

কুমিল্লার তিতাসে উপজেলায় ছাত্রদল-যুবদল নেতা ও তাদের দলবলের নেতৃত্বে সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের কোটি টাকার জমি রাতের আঁধারে বালু দিয়ে ভরাট করে দখল করে নিলেও নিশ্চুপ রয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।

স্থানীয় প্রশাসনের নাকের ডগায় এসব অপকর্ম বাস্তবায়নে স্থানীয় বিএনপি কতিপয় নেতাসহ এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল জড়িত থাকলেও প্রশাসনকে নিরব ভূমিকায় থাকতে দেখা গেছে বলেও জানান স্থানীয়রা।

জানা যায়, তিতাস উপজেলার গৌরীপুর-হোমনা আঞ্চলিক সড়কের কড়িকান্দি বাজার সংলগ্ন রাস্তার পশ্চিম অংশে সওজের এ জায়গাটি বালু দিয়ে ভরাট করে ফেলে।
ভরাটকৃত জমিটির সাথেই আঞ্চলিক সড়ক এবং দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ স্থাপনা ও দোকানপাট গড়ে ব্যবসা চালিয়ে ফায়দা নিচ্ছে একটা প্রভাবশালী মহল।

এছাড়াও প্রতিনিয়ত উপজেলার গৌরিপুর-হোমনা আঞ্চলিক সড়কের জিয়ারকান্দি এলাকা থেকে বাতাকান্দি এলাকা পর্যন্ত সওজের জমি অবৈধভাবে দখল করার মাধ্যমে গড়ে তোলা হচ্ছে নতুন নতুন স্থাপনা।

বৃহস্পতিবার (১১সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে গেলে এমন চিত্র দেখা যায়। সওজের কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে গাফিলতি ও অবৈধ উৎকোচের মাধ্যমে সমোঝোতার কারণে, উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালিত না হওয়ায় এসকল জমি দখলমুক্ত করতে অনেকটাই ব্যর্থ হচ্ছে সওজ কর্মকর্তাগণ- এমন অভিযোগ এলাকার সচেতন মহল ও সুশিল সমাজের।

অপরদিকে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল জমি দখলের পর মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে হাত বদলে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা আর এমন অভিযোগ গুলো যেনো এখন নিয়মে পরিণত হয়ে উঠেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় অনেক জানায়, দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর জমিটি দখলে নিতে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আল-আমিন হক বাবু, কড়িকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক বাদশা মোল্লা ও তাদের দলীয় লোকজনের নেতৃত্বে কড়িকান্দি ইউনিয়নের করৈয়াকান্দি মৌজায় জে.এল.নং- সি.এস/এস.এ- ২২১ নং খতিয়ান নং- সি.এস- ১২৭ নং, এস.এ- ১৪২ নং খতিয়ানভূক্ত সড়ক ও জনপদ বিভাগের রেকডভুক্ত প্রায় ২৫ শতক নাল ভূমি বালু দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে। ১৯৫১ সালে দলিল মূলে আশ্রাব আলীর পুত্র মোঃ সোনা মিয়া এ জমিটির মালিক ও দখলকার ছিলেন। তিনি পরলোক গমন করিলে তাহার পুত্র, কণ্যা ও স্ত্রী মতি মিয়া গং পিতা ও স্বামীর ওয়ারিশ সূত্রে মালিকগন ভোগ দখলে ছিলেন।

এছাড়াও আ’লীগ সরকারের আমলে সওজ’র এ জমিটি স্থানীয় আ’লীগ নেতাদের শেল্টারে বিভিন্ন লোকজনের কাছে স্ট্যাম্প’র মাধ্যমে বেচা-বিক্রিও করা হয়েছে। টাকা দিয়ে এসকল জমি কিনে ক্রেতারা এখন দখলদারিত্ব নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বলেও জানান স্থানীয় লোকজন।

বাংলাদেশ সড়ক ও মহাসড়ক আইন অনুযায়ী, কোনো সড়ক বা মহাসড়কের ৩০ ফুটের মধ্যে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। কিন্তু সে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে জিয়ারকান্দি থেকে কড়িকান্দি বাজার, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকা ও বাতাকান্দি বাজার এলাকার সড়ক ও জনপথের (সওজ) জায়গায় প্রায় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলে জায়গাগুলো দখলের মহোউৎসব চলছে।

উপজেলার বেশকিছু স্থানে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমি অবৈধভাবে দখলের পর হাত বদলে গড়ে তোলা হয়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ঘর-বাড়িসহ নানা ধরনের অবৈধ স্থাপনা। এসব স্থানে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা বছরের পর বছর দখল করে থাকলেও উচ্ছেদে কার্যত পদক্ষেপ নেই সড়ক ও জনপথ বিভাগের। এতে সংকুচিত হয়ে পরছে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সম্পত্তি।

কড়িকান্দি বাজার এলাকায় সওজ বিভাগের জায়গাটি বালু দিয়ে ভরাটের ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রদলের সদস্য সচিব আল-আমিন হক বাবু মুঠোফোনে বলেন, আমার ফুফুদের ওয়ারিশের জায়গা এটি। পূর্বে তারাই মালিক ছিলেন। আমার বাবার মামাতো ভাই জায়গাটি বালু দিয়ে ভরাট করছেন, আমি এ কাজে জড়িত নই৷ যেহেতু বর্তমানে জায়গাটি সওজ বিভাগের অধীনে সেক্ষেত্রে জায়গাটি ভরাটের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের থেকে লিখিত কোন অনুমতি নিয়েছে কিনা- ওনার চাচা? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এইটা আমি জানি না আপনি আমার চাচার সাথে কথা বললেই সব জানতে পারবেন। তখন তার চাচার সাথে যোগাযোগের জন্য মোবাইল নাম্বারটি চাইলে তার কাছে নাম্বার নেই, জানিয়ে সংগ্রহ করে দিচ্ছি বলে জানান। পরে চাচার নাম্বার না দিলেও এ জায়গার ওয়ারিশ সূত্রে মালিক পরিচয় জানিয়ে ওনার এক ফুফুর নাম্বার দেন, যাকে একাধিকার ফোন দিলেও তিনি কলটি না ধরায় এবিষয়ে কিছু জানা যায়নি।

এঘটনায় আরেক অভিযুক্ত কড়িকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক বাদশা মোল্লা বলেন, কে বলেছে আমি এ জায়গাটি ভরাট করেছি? বালু ভরাটের ঘটনায় আমি জড়িত নই। যারা এ জায়গার ওয়ারিশ মূলে পূর্বে মালিক ছিলেন, তারা নিজেরাই জায়গাটি ভরাট করেছেন। তাদের নাম কি জানতে চাইলে? তিনি ইনিয়ে বিনিয়ে বলেন আপনি সরাসরি আসেন সব বলবো।

এবিষয়ে তিতাস উপজেলার দায়িত্বরত গৌরিপুর শাখার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মনির বলেন, জায়গাটি ভরাটের বিষয়ে আমরা অবগত নই। আমি শীঘ্রই লোক পাঠানোর ব্যবস্থা করছি, যদি সওজের জায়গা হয়ে থাকে। বালু ভরাটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কড়িকান্দি বাজারের সওজের অনেক জায়গাই দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা আছে। দখল মুক্ত করতে একসাথে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে হবে। আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি আপনারাও জেলা কর্মকর্তাদের সাথে বিষয়টি নিরসনে কথা বলবেন। আর উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় সওজের দখলকৃত জমি গুলোও উদ্ধারসহ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ফিউচার মুরাদনগর মিনিবার ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত

তিতাসে সওজের কোটি টাকার জমি দখল করে রাতের আঁধারে বালু দিয়া ভরাট-নিশ্চুপ প্রশাসন

আপডেট সময় ১১:২৮:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মোঃ সাকিব হোসেইন, তিতাস (কুমিল্লা) প্রতিনিধি :

কুমিল্লার তিতাসে উপজেলায় ছাত্রদল-যুবদল নেতা ও তাদের দলবলের নেতৃত্বে সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের কোটি টাকার জমি রাতের আঁধারে বালু দিয়ে ভরাট করে দখল করে নিলেও নিশ্চুপ রয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।

স্থানীয় প্রশাসনের নাকের ডগায় এসব অপকর্ম বাস্তবায়নে স্থানীয় বিএনপি কতিপয় নেতাসহ এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল জড়িত থাকলেও প্রশাসনকে নিরব ভূমিকায় থাকতে দেখা গেছে বলেও জানান স্থানীয়রা।

জানা যায়, তিতাস উপজেলার গৌরীপুর-হোমনা আঞ্চলিক সড়কের কড়িকান্দি বাজার সংলগ্ন রাস্তার পশ্চিম অংশে সওজের এ জায়গাটি বালু দিয়ে ভরাট করে ফেলে।
ভরাটকৃত জমিটির সাথেই আঞ্চলিক সড়ক এবং দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ স্থাপনা ও দোকানপাট গড়ে ব্যবসা চালিয়ে ফায়দা নিচ্ছে একটা প্রভাবশালী মহল।

এছাড়াও প্রতিনিয়ত উপজেলার গৌরিপুর-হোমনা আঞ্চলিক সড়কের জিয়ারকান্দি এলাকা থেকে বাতাকান্দি এলাকা পর্যন্ত সওজের জমি অবৈধভাবে দখল করার মাধ্যমে গড়ে তোলা হচ্ছে নতুন নতুন স্থাপনা।

বৃহস্পতিবার (১১সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে গেলে এমন চিত্র দেখা যায়। সওজের কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে গাফিলতি ও অবৈধ উৎকোচের মাধ্যমে সমোঝোতার কারণে, উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালিত না হওয়ায় এসকল জমি দখলমুক্ত করতে অনেকটাই ব্যর্থ হচ্ছে সওজ কর্মকর্তাগণ- এমন অভিযোগ এলাকার সচেতন মহল ও সুশিল সমাজের।

অপরদিকে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল জমি দখলের পর মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে হাত বদলে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা আর এমন অভিযোগ গুলো যেনো এখন নিয়মে পরিণত হয়ে উঠেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় অনেক জানায়, দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর জমিটি দখলে নিতে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আল-আমিন হক বাবু, কড়িকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক বাদশা মোল্লা ও তাদের দলীয় লোকজনের নেতৃত্বে কড়িকান্দি ইউনিয়নের করৈয়াকান্দি মৌজায় জে.এল.নং- সি.এস/এস.এ- ২২১ নং খতিয়ান নং- সি.এস- ১২৭ নং, এস.এ- ১৪২ নং খতিয়ানভূক্ত সড়ক ও জনপদ বিভাগের রেকডভুক্ত প্রায় ২৫ শতক নাল ভূমি বালু দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে। ১৯৫১ সালে দলিল মূলে আশ্রাব আলীর পুত্র মোঃ সোনা মিয়া এ জমিটির মালিক ও দখলকার ছিলেন। তিনি পরলোক গমন করিলে তাহার পুত্র, কণ্যা ও স্ত্রী মতি মিয়া গং পিতা ও স্বামীর ওয়ারিশ সূত্রে মালিকগন ভোগ দখলে ছিলেন।

এছাড়াও আ’লীগ সরকারের আমলে সওজ’র এ জমিটি স্থানীয় আ’লীগ নেতাদের শেল্টারে বিভিন্ন লোকজনের কাছে স্ট্যাম্প’র মাধ্যমে বেচা-বিক্রিও করা হয়েছে। টাকা দিয়ে এসকল জমি কিনে ক্রেতারা এখন দখলদারিত্ব নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বলেও জানান স্থানীয় লোকজন।

বাংলাদেশ সড়ক ও মহাসড়ক আইন অনুযায়ী, কোনো সড়ক বা মহাসড়কের ৩০ ফুটের মধ্যে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। কিন্তু সে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে জিয়ারকান্দি থেকে কড়িকান্দি বাজার, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকা ও বাতাকান্দি বাজার এলাকার সড়ক ও জনপথের (সওজ) জায়গায় প্রায় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলে জায়গাগুলো দখলের মহোউৎসব চলছে।

উপজেলার বেশকিছু স্থানে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমি অবৈধভাবে দখলের পর হাত বদলে গড়ে তোলা হয়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ঘর-বাড়িসহ নানা ধরনের অবৈধ স্থাপনা। এসব স্থানে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা বছরের পর বছর দখল করে থাকলেও উচ্ছেদে কার্যত পদক্ষেপ নেই সড়ক ও জনপথ বিভাগের। এতে সংকুচিত হয়ে পরছে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সম্পত্তি।

কড়িকান্দি বাজার এলাকায় সওজ বিভাগের জায়গাটি বালু দিয়ে ভরাটের ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রদলের সদস্য সচিব আল-আমিন হক বাবু মুঠোফোনে বলেন, আমার ফুফুদের ওয়ারিশের জায়গা এটি। পূর্বে তারাই মালিক ছিলেন। আমার বাবার মামাতো ভাই জায়গাটি বালু দিয়ে ভরাট করছেন, আমি এ কাজে জড়িত নই৷ যেহেতু বর্তমানে জায়গাটি সওজ বিভাগের অধীনে সেক্ষেত্রে জায়গাটি ভরাটের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের থেকে লিখিত কোন অনুমতি নিয়েছে কিনা- ওনার চাচা? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এইটা আমি জানি না আপনি আমার চাচার সাথে কথা বললেই সব জানতে পারবেন। তখন তার চাচার সাথে যোগাযোগের জন্য মোবাইল নাম্বারটি চাইলে তার কাছে নাম্বার নেই, জানিয়ে সংগ্রহ করে দিচ্ছি বলে জানান। পরে চাচার নাম্বার না দিলেও এ জায়গার ওয়ারিশ সূত্রে মালিক পরিচয় জানিয়ে ওনার এক ফুফুর নাম্বার দেন, যাকে একাধিকার ফোন দিলেও তিনি কলটি না ধরায় এবিষয়ে কিছু জানা যায়নি।

এঘটনায় আরেক অভিযুক্ত কড়িকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক বাদশা মোল্লা বলেন, কে বলেছে আমি এ জায়গাটি ভরাট করেছি? বালু ভরাটের ঘটনায় আমি জড়িত নই। যারা এ জায়গার ওয়ারিশ মূলে পূর্বে মালিক ছিলেন, তারা নিজেরাই জায়গাটি ভরাট করেছেন। তাদের নাম কি জানতে চাইলে? তিনি ইনিয়ে বিনিয়ে বলেন আপনি সরাসরি আসেন সব বলবো।

এবিষয়ে তিতাস উপজেলার দায়িত্বরত গৌরিপুর শাখার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মনির বলেন, জায়গাটি ভরাটের বিষয়ে আমরা অবগত নই। আমি শীঘ্রই লোক পাঠানোর ব্যবস্থা করছি, যদি সওজের জায়গা হয়ে থাকে। বালু ভরাটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কড়িকান্দি বাজারের সওজের অনেক জায়গাই দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা আছে। দখল মুক্ত করতে একসাথে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে হবে। আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি আপনারাও জেলা কর্মকর্তাদের সাথে বিষয়টি নিরসনে কথা বলবেন। আর উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় সওজের দখলকৃত জমি গুলোও উদ্ধারসহ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।