ঢাকা ০১:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভোলার ঘটনায় সারাদেশে ক্ষোভ

জাতীয় ডেস্ক:

ফেসবুকে মহান আল্লাহ ও মহানবি সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে কটূক্তিমূলক স্ট্যাটাস এবং এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভোলার বোরহানউদ্দিনে হতাহতের ঘটনায় সারাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ক্ষুব্ধ। গতকাল এ ঘটনার প্রতিবাদে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয়েছে। ভোলায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সেখানে সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন।

রবিবারের সংঘর্ষের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৫ হাজার মানুষকে আসামি করে গতকাল বোরহানউদ্দিন থানায় মামলা করেছে পুলিশ। কটূক্তির ঘটনায় আটক বিপ্লব চন্দ্র বৈদ্য শুভ, মোহাম্মদ ইমন ও রাফসান ইসলাম শরীফ ওরফে শাকিলকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শাকিলকে গলাচিপা ও ইমনকে কাঁচিয়া থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। বিজিবি, পুলিশ ও র্যাবের টহল জোরদার করার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এদিকে ভোলার সর্বদলীয় মুসলিম ঐক্য পরিষদ বিপ্লব চন্দ্র শুভর ফাঁসি কার্যকরসহ ছয় দফা দাবিতে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে। তারা আজ মঙ্গলবার ভোলার সব উপজেলায় বিক্ষোভ, বৃহস্পতিবার মানববন্ধন এবং শুক্রবার দোয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। ভোলার ঘটনার প্রতিবাদে হেফাজাতে ইসলাম আজ মঙ্গলবার বাদ জোহর প্রতিটি জেলা শহরে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে। মহানগর হেফাজতের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে সমাবেশ ও বিক্ষোভ হবে। বিএনপি আগামীকাল বুধবার ঢাকা মহানগরীর থানায় থানায় এবং জেলা ও মহানগরীতে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে।

গতকাল চরমোনাইয়ের পিরের নেতৃত্বে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রাজধানীর পুরানা পল্টন এলাকায় বিক্ষোভ করেছে। সেখানে সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি ফয়জুল করিম ভোলার ঘটনায় সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করেন। পরে বিকাল পৌনে ৪টার দিকে সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তারা পল্টন মোড়ে যান।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের টাউন হল সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন মুসল্লিরা। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে টাউন হলের আল্লাহ্ করিম মসজিদ ও মসজিদসংলগ্ন সড়কে এই অবরোধ ও বিক্ষোভ করা হয়। এছাড়া বরিশালে অশ্বিনী কুমার টাউন হল চত্বরে সর্বস্তরের উলামা-মাশায়েখ ও তৌহিদি জনতার ব্যানারে প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে। নেত্রকোনা শহরে একটি বিক্ষোভ হয়েছে।

এদিকে ভোলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোনো স্বার্থান্বেষী চক্র যাতে অনাহূত পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে, সে জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সরকার সারাদেশে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ভোলা ইস্যুতে আর কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ধৈর্য ধারণ ও গুজবে কান না দিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গতকাল বলেছেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ কিংবা অন্য কারো দায়িত্বে অবহেলা আছে কি না, সে বিষয়েও তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তে কারো অবহেলা প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, আইডি হ্যাকড ও মন্তব্যের বিষয়ে জানতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সিঙ্গাপুরে যোগাযোগ করা হয়েছে। দুই-চার দিনের মধ্যে মূল তথ্য সিঙ্গাপুরের ফেসবুক অফিস থেকে চলে আসবে। সে পর্যন্ত সবাইকে অপেক্ষা করতে হবে।

মন্ত্রী আরো বলেন, আপত্তিকর মন্তব্য এবং তা নিয়ে সংঘর্ষের জেরে যে যুবকের আইডি তাকে ও হ্যাকারকে আটক করা হয়েছে। সবাই শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখুন, অপরাধীরা সাজা পাবে।

মন্ত্রী বলেন, ফেসবুকের মন্তব্যটি অনাকাঙ্ক্ষিত। কোনো সুস্থ মানুষ এমন আপত্তিকর লেখা লিখতে পারে না। তিনি বলেন, ‘কার নির্দেশে গুলি চালানো হয়েছে, সে বিষয়ে তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় চার জন নিহত ও এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন । এ ঘটনায় আমরা দুঃখিত। স্থানীয় সংসদ সদস্য নিহতদের বাড়িতে গেছেন, আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয়দের দাবি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যাকে সরিয়ে দিতে হয়,সরিয়ে দেব।’

পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) সোহেল রানা জানান, নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে দেশের প্রতিটি জেলার পুলিশ সুপার বরাবর খুদে বার্তা পাঠানো হয়েছে, যাতে করে এই অজুহাতে কোনো মহল বা গোষ্ঠী ঘোলা পানিতে মাছ শিকার না করতে পারে। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থলসহ সারাদেশে পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, কোস্টগার্ড সদস্য ও গোয়েন্দারা সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।

এদিকে পরিস্থিতি শান্ত রাখার জন্য বিভিন্ন স্থানে আলেমসমাজ ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনার নিরাপত্তায় প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছেন। হাটহাজারীসহ কয়েকটি স্থানে মন্দির পাহারা দিতে দেখা গেছে আলেমদের। হাটহাজারী দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা একটি মন্দির পাহারা দিচ্ছেন এমন ভিডিও ও আলোকচিত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশংসিত হয়েছে।

এদিকে কটূক্তিমূলক মেসেজের স্ক্রিনশট ফেসবুকে স্ট্যাটাস আকারে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা নিয়ে পুলিশের বক্তব্য মানতে রাজি নন ভোলার প্রতিবাদীদের কেউ কেউ। পুলিশ বলছে, ফেসবুক আইডি হ্যাকড করে স্ট্যাটাস দেওয়া হয়েছে। তবে প্রতিবাদকারীদের কারো কারো দাবি, ঐ ফেসবুক আইডি হ্যাকড হয়নি। অবশ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, আইডি হ্যাকড ও মন্তব্যের বিষয়ে জানতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। প্রকৃত তথ্য দুই-চার দিনের মধ্যে জানা যাবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

ভোলার ঘটনায় সারাদেশে ক্ষোভ

আপডেট সময় ০৫:০৪:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০১৯
জাতীয় ডেস্ক:

ফেসবুকে মহান আল্লাহ ও মহানবি সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে কটূক্তিমূলক স্ট্যাটাস এবং এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভোলার বোরহানউদ্দিনে হতাহতের ঘটনায় সারাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ক্ষুব্ধ। গতকাল এ ঘটনার প্রতিবাদে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয়েছে। ভোলায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সেখানে সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন।

রবিবারের সংঘর্ষের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৫ হাজার মানুষকে আসামি করে গতকাল বোরহানউদ্দিন থানায় মামলা করেছে পুলিশ। কটূক্তির ঘটনায় আটক বিপ্লব চন্দ্র বৈদ্য শুভ, মোহাম্মদ ইমন ও রাফসান ইসলাম শরীফ ওরফে শাকিলকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শাকিলকে গলাচিপা ও ইমনকে কাঁচিয়া থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। বিজিবি, পুলিশ ও র্যাবের টহল জোরদার করার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এদিকে ভোলার সর্বদলীয় মুসলিম ঐক্য পরিষদ বিপ্লব চন্দ্র শুভর ফাঁসি কার্যকরসহ ছয় দফা দাবিতে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে। তারা আজ মঙ্গলবার ভোলার সব উপজেলায় বিক্ষোভ, বৃহস্পতিবার মানববন্ধন এবং শুক্রবার দোয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। ভোলার ঘটনার প্রতিবাদে হেফাজাতে ইসলাম আজ মঙ্গলবার বাদ জোহর প্রতিটি জেলা শহরে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে। মহানগর হেফাজতের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে সমাবেশ ও বিক্ষোভ হবে। বিএনপি আগামীকাল বুধবার ঢাকা মহানগরীর থানায় থানায় এবং জেলা ও মহানগরীতে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে।

গতকাল চরমোনাইয়ের পিরের নেতৃত্বে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রাজধানীর পুরানা পল্টন এলাকায় বিক্ষোভ করেছে। সেখানে সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি ফয়জুল করিম ভোলার ঘটনায় সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করেন। পরে বিকাল পৌনে ৪টার দিকে সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তারা পল্টন মোড়ে যান।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের টাউন হল সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন মুসল্লিরা। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে টাউন হলের আল্লাহ্ করিম মসজিদ ও মসজিদসংলগ্ন সড়কে এই অবরোধ ও বিক্ষোভ করা হয়। এছাড়া বরিশালে অশ্বিনী কুমার টাউন হল চত্বরে সর্বস্তরের উলামা-মাশায়েখ ও তৌহিদি জনতার ব্যানারে প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে। নেত্রকোনা শহরে একটি বিক্ষোভ হয়েছে।

এদিকে ভোলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোনো স্বার্থান্বেষী চক্র যাতে অনাহূত পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে, সে জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সরকার সারাদেশে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ভোলা ইস্যুতে আর কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ধৈর্য ধারণ ও গুজবে কান না দিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গতকাল বলেছেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ কিংবা অন্য কারো দায়িত্বে অবহেলা আছে কি না, সে বিষয়েও তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তে কারো অবহেলা প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, আইডি হ্যাকড ও মন্তব্যের বিষয়ে জানতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সিঙ্গাপুরে যোগাযোগ করা হয়েছে। দুই-চার দিনের মধ্যে মূল তথ্য সিঙ্গাপুরের ফেসবুক অফিস থেকে চলে আসবে। সে পর্যন্ত সবাইকে অপেক্ষা করতে হবে।

মন্ত্রী আরো বলেন, আপত্তিকর মন্তব্য এবং তা নিয়ে সংঘর্ষের জেরে যে যুবকের আইডি তাকে ও হ্যাকারকে আটক করা হয়েছে। সবাই শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখুন, অপরাধীরা সাজা পাবে।

মন্ত্রী বলেন, ফেসবুকের মন্তব্যটি অনাকাঙ্ক্ষিত। কোনো সুস্থ মানুষ এমন আপত্তিকর লেখা লিখতে পারে না। তিনি বলেন, ‘কার নির্দেশে গুলি চালানো হয়েছে, সে বিষয়ে তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় চার জন নিহত ও এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন । এ ঘটনায় আমরা দুঃখিত। স্থানীয় সংসদ সদস্য নিহতদের বাড়িতে গেছেন, আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয়দের দাবি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যাকে সরিয়ে দিতে হয়,সরিয়ে দেব।’

পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) সোহেল রানা জানান, নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে দেশের প্রতিটি জেলার পুলিশ সুপার বরাবর খুদে বার্তা পাঠানো হয়েছে, যাতে করে এই অজুহাতে কোনো মহল বা গোষ্ঠী ঘোলা পানিতে মাছ শিকার না করতে পারে। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থলসহ সারাদেশে পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, কোস্টগার্ড সদস্য ও গোয়েন্দারা সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।

এদিকে পরিস্থিতি শান্ত রাখার জন্য বিভিন্ন স্থানে আলেমসমাজ ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনার নিরাপত্তায় প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছেন। হাটহাজারীসহ কয়েকটি স্থানে মন্দির পাহারা দিতে দেখা গেছে আলেমদের। হাটহাজারী দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা একটি মন্দির পাহারা দিচ্ছেন এমন ভিডিও ও আলোকচিত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশংসিত হয়েছে।

এদিকে কটূক্তিমূলক মেসেজের স্ক্রিনশট ফেসবুকে স্ট্যাটাস আকারে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা নিয়ে পুলিশের বক্তব্য মানতে রাজি নন ভোলার প্রতিবাদীদের কেউ কেউ। পুলিশ বলছে, ফেসবুক আইডি হ্যাকড করে স্ট্যাটাস দেওয়া হয়েছে। তবে প্রতিবাদকারীদের কারো কারো দাবি, ঐ ফেসবুক আইডি হ্যাকড হয়নি। অবশ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, আইডি হ্যাকড ও মন্তব্যের বিষয়ে জানতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। প্রকৃত তথ্য দুই-চার দিনের মধ্যে জানা যাবে।