ঢাকা ০৬:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে অপহৃত শিশু উদ্ধার, চাচা, দাদীসহ গ্রেফতার ৪

মাহবুব আলম আরিফ, বিশেষ প্রতিনিধি:

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ধামঘর ইউনিয়নের নহল গ্রামের শিশু তাফসির ইসলাম(৫) অপহরণে তিন ঘন্টাপর পর উদ্ধার করেছে মুরাদনগর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শিশুটির চাচা, দাদিসহ ৪ জনকে আটক করা হয়।

বুধবার দুপুরে বুধবার দুপুরে কুমিল্লার ৮নং আমলী আদালতে দাদিকে ছাড়া ৩ আসামী স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্ধী দিয়েছে। এ সময় চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ইরফানুল হক উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদেরকে কুমিল্লার কেন্দ্রিয় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, উপজেলার নহল গ্রামের মৃত তাজুল ইসলামের ছেলে ও অপহৃত শিশু তাফসিরের বাবার চাচাতো ভাই কবির হোসেন (৩৩), দাদি জোহরা বেগম (৬০), রায়তলা গ্রামের শাহ আলমের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (২৬) ও নাগেরকান্দি গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে রাসেল মিয়া (২২)।

মঙ্গলবার দুপুরে নিজ বাড়ি থেকে শিশুটিকে অপহৃর করা হলে ওইদিন সন্ধ্যায় জাহাপুর ইউনিয়নের শুশুন্ডা এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। সে নহল গ্রামের প্রবাসী আক্তার হোসেনের ছেলে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অপহৃত শিশু তাফসির ইসলামের মা তানিয়া আক্তার (২৭) সাংসারিক খরচের টাকা উত্তোলনের জন্য ৫ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে কোম্পানীগঞ্জ সোনালী ব্যাংকে যাওয়ার পথে ছেলেকে চাচাতো দেবর কবির হোসেনের মোটর সাইকেলে বসে থাকতে দেখে যান। ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে বাড়ী ফেরার পথে কবির হোসেনের স্ত্রী ফোন করে তানিয়া আক্তারকে জানায় শিশু তাফসিরকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। ঘটনার পর অপরিচিত নাম্বার থেকে ফোন করে ৪ লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবি করে। টাকা না দিলে শিশুটিকে খুন করে ফেলা হবে বলে জানায়। পরে তানিয়া আক্তার তার ছেলে অপহরণ ও মুক্তিপনের বিষয়টি আত্বীয় আশ্রাফ মিয়া মেম্বারের মাধ্যমে ওইদিন বিকেলে পুলিশকে জানায়।

পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নাহিদ আহম্মেদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে শিশু তাসফিরের চাচা কবির হোসেন (৩৩), দাদী জোহরা বেগম (৬০), রায়তলা গ্রামের শাহ আলমের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (২৬) ও নাগেরকান্দি গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে রাসেল মিয়াকে (২২) গ্রেফতার করে। তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক সন্ধ্যা ৬টার দিকে শুশুন্ডা কবরস্থান এলাকা থেকে অপহৃত শিশু তাফসিরকে উদ্ধার করে। মুক্তিপণের জন্য তাকে দাদী জোহরা বেগমের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অপহরণ করেছিল বলে জানা গেছে।

বুধবার সকালে ধৃত আসামী অপহৃতা তাফসির ইসলামের দাদী জোহরা বেগম, চাচা কবির হোসেন, দেলোয়ার হোসেন ও রাসেল মিয়াকে ৮নং আমলী আদালতে সোপর্দ করে। এর মধ্যে তিনজন আসামী ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা শিকার করে জবানবন্ধী দেয়।

মুরাদনগর থানার ওসি একেএম মনজুর আলম ঘটনার সত্যতা শিকার করে জানান, এ বিষয়ে মঙ্গলবার রাতে অপহৃত তাফসিরের মা তানিয়া আক্তার বাদী হয়ে দাদী ও চাচাসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু করেছে। অপর আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে ৪৬তম জাতীয় বিজ্ঞান মেলার পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠিত

মুরাদনগরে অপহৃত শিশু উদ্ধার, চাচা, দাদীসহ গ্রেফতার ৪

আপডেট সময় ০৪:৫০:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০১৯

মাহবুব আলম আরিফ, বিশেষ প্রতিনিধি:

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ধামঘর ইউনিয়নের নহল গ্রামের শিশু তাফসির ইসলাম(৫) অপহরণে তিন ঘন্টাপর পর উদ্ধার করেছে মুরাদনগর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শিশুটির চাচা, দাদিসহ ৪ জনকে আটক করা হয়।

বুধবার দুপুরে বুধবার দুপুরে কুমিল্লার ৮নং আমলী আদালতে দাদিকে ছাড়া ৩ আসামী স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্ধী দিয়েছে। এ সময় চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ইরফানুল হক উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদেরকে কুমিল্লার কেন্দ্রিয় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, উপজেলার নহল গ্রামের মৃত তাজুল ইসলামের ছেলে ও অপহৃত শিশু তাফসিরের বাবার চাচাতো ভাই কবির হোসেন (৩৩), দাদি জোহরা বেগম (৬০), রায়তলা গ্রামের শাহ আলমের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (২৬) ও নাগেরকান্দি গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে রাসেল মিয়া (২২)।

মঙ্গলবার দুপুরে নিজ বাড়ি থেকে শিশুটিকে অপহৃর করা হলে ওইদিন সন্ধ্যায় জাহাপুর ইউনিয়নের শুশুন্ডা এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। সে নহল গ্রামের প্রবাসী আক্তার হোসেনের ছেলে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অপহৃত শিশু তাফসির ইসলামের মা তানিয়া আক্তার (২৭) সাংসারিক খরচের টাকা উত্তোলনের জন্য ৫ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে কোম্পানীগঞ্জ সোনালী ব্যাংকে যাওয়ার পথে ছেলেকে চাচাতো দেবর কবির হোসেনের মোটর সাইকেলে বসে থাকতে দেখে যান। ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে বাড়ী ফেরার পথে কবির হোসেনের স্ত্রী ফোন করে তানিয়া আক্তারকে জানায় শিশু তাফসিরকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। ঘটনার পর অপরিচিত নাম্বার থেকে ফোন করে ৪ লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবি করে। টাকা না দিলে শিশুটিকে খুন করে ফেলা হবে বলে জানায়। পরে তানিয়া আক্তার তার ছেলে অপহরণ ও মুক্তিপনের বিষয়টি আত্বীয় আশ্রাফ মিয়া মেম্বারের মাধ্যমে ওইদিন বিকেলে পুলিশকে জানায়।

পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নাহিদ আহম্মেদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে শিশু তাসফিরের চাচা কবির হোসেন (৩৩), দাদী জোহরা বেগম (৬০), রায়তলা গ্রামের শাহ আলমের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (২৬) ও নাগেরকান্দি গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে রাসেল মিয়াকে (২২) গ্রেফতার করে। তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক সন্ধ্যা ৬টার দিকে শুশুন্ডা কবরস্থান এলাকা থেকে অপহৃত শিশু তাফসিরকে উদ্ধার করে। মুক্তিপণের জন্য তাকে দাদী জোহরা বেগমের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অপহরণ করেছিল বলে জানা গেছে।

বুধবার সকালে ধৃত আসামী অপহৃতা তাফসির ইসলামের দাদী জোহরা বেগম, চাচা কবির হোসেন, দেলোয়ার হোসেন ও রাসেল মিয়াকে ৮নং আমলী আদালতে সোপর্দ করে। এর মধ্যে তিনজন আসামী ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা শিকার করে জবানবন্ধী দেয়।

মুরাদনগর থানার ওসি একেএম মনজুর আলম ঘটনার সত্যতা শিকার করে জানান, এ বিষয়ে মঙ্গলবার রাতে অপহৃত তাফসিরের মা তানিয়া আক্তার বাদী হয়ে দাদী ও চাচাসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু করেছে। অপর আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।