মো: মোশাররফ হোসেন মনির:
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে সরকারি খাল দখল করে স্থায়ী স্থাপনা নির্মান করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ব্যাক্তি মালিককে খালের উপর স্থাপনা নির্মানে প্রশাসনের অনুমতি থাকায় স্থানীয়দের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার তৈরী হয়েছে। তবে উপজেলা প্রশাসন বলছে কোন ব্যাক্তি স্বার্থে নয়, স্থানীয়দের যাতায়তের সুবিধার্থে নিজস্ব অর্থায়নে কালভার্ট নির্মানের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা সদরের গোলকশাহর বাড়ীর পাশে মুরাদনগর-হোমনা সড়কের সাথে ১নং খাস ক্ষতিয়ানের মুরাদনগর মৌজার ৯৬৪৩ নং দাগের একটি সরকারি খাল রয়েছে। সেই খালের চারি দিকে টিনের বেষ্টনী নির্মাণ করে খালটি ভরাট করে নামে মাত্র প্রায় ৫০ ফুট লম্বা খালের অংশ দখল করে ড্রেন নির্মান করছেন প্রণবেশ রায় নামের এক ব্যাক্তি। তবে তাঁর দাবি যাতায়তের জন্য উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই আমরা খালের উপর ড্রেন নির্মাণ করছি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এটি সরকারি খাল। একসময় প্রবহমানও ছিল। তবে অব্যাহত দখল ও দূষণে খালটি আজ অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। আর দখলদকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় এ ব্যবস্থা নিচ্ছেনা সংশ্লিষ্ঠরা। একটু বৃষ্টি হলেরই মাস্টার পাড়া এলাকার প্রায় সহস্্রাধীক পরিবার পানি বন্দি হয়ে থাকতে হয়। খালের এই অংশটিও যদি দখলদারদের দখলে চলে যায় তখন মাস্টার পাড়া এলাকাটি স্থায়ী জলাবদ্ধতার তৈরী হবে।
প্রণবেশ রায় দখলের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, এটি সরকারি খাল, আমরা কেন খাল দখল করব! বাড়িতে যাতায়তের সুবিধার্থে আমরা উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই খালের উপর ড্রেন নির্মাণ করছি।
মুরাদনগর উপজেলা প্রকৌশলী রায়হান চৌধুরী বলেন, জনস্বার্থেই সরকারি খালের উপরে কালভার্ট নির্মাণের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। আমাদের শর্তের বাহিরে ব্যক্তি স্বার্থে ড্রেন নির্মাণ করলে সরেজমিনে তদন্ত করে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আলাউদ্দিন ভূঁইয়া জনী বলেন, ওই এলাকায় খালের উপর দিয়ে একটি সড়ক রয়েছে। যা সরকারি আইডি ভূক্ত নয়। জনস্বার্থে চলাচলের সুবিধার্থে ওই সড়কটি দিয়ে যাতায়তের জন্য কিছু শর্থ সাপেক্ষে নিজস্ব অর্থায়নে খালের ওপরে কালভার্ট নির্মাণের অনুমতি প্রদান করা হয়। কিন্তু ব্যক্তি স্বার্থে খাল দখল করে ড্রেন নির্মাণের অনুমতি প্রদান করা হয়নি। তিনি আরো বলেন ব্যক্তি স্বার্থে খাল দখল করে ড্রেন নির্মাণের বিষয়টি সরেজমিনে গিয়ে দেখে খালের উপরে চারি পাশের টিনের বেষ্টনী খুলে ফেলা ও ড্রেন নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।