ঢাকা ১০:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে জোড়া হত্যা মামলায় ২ জনের রিমান্ড

মুরাদনগর বার্তা ডেস্ক:

মুরাদনগর উপজেলার নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের রহিমপুর গ্রামে দুই যুবক খুনের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ১০ জনের মধ্যে ৯ আসামীকে বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লার আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। এর মধ্যে দুই আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। একই সাথে বাকী ৭ আসামীকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

পুুলিশ জানায়, রহিমপুর গ্রামে মঙ্গলবার রাতে প্রতিপক্ষের হাতে ফারুক মিয়া ও সাইদুল হোসেন নামে দুই যুবক খুনের ঘটনায় পুলিশ বিভিন্ন স্থানে সাড়াশি অভিযান চালিয়ে বুধবার রাত পর্যন্ত ১০ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে। এরা হলেন- রহিমপুর গ্রামের আলেক মিয়ার ছেলে আনিস মিয়া (২৯), কুদ্দুস মিয়ার ছেলে খোকন মিয়া (৪৫), বজলু মিয়ার ছেলে কনু মিয়া (৩২), হাবিল মিয়ার ছেলে দুর্ভাজ ওরফে খোকন মিয়া (৩৬), জয়নাল আবেদীনের ছেলে মোমেন মিয়া (২৩), মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে আমজাদ  হোসেন মোল্লা (৩৬), হোসেন মিয়ার ছেলে সুজন ওরফে সুমন মিয়া (২৩) মৃত রুক্কু মিয়ার ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২৪), জয়নাল আবেদীনের ছেলে কামরুল হাসান (২২) ও বজলু মিয়ার ছেলে ফারুক মিয়া (২২)।

এদের মধ্যে বজলু মিয়ার ছেলে ফারুক মিয়া পুলিশী প্রহরায় কুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছে। বাকী ৯ জন আসামীকে বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লার ৮নং আমলী আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। একই সাথে আলেক মিয়ার ছেলে আনিস মিয়া, কুদ্দুস মিয়ার ছেলে খোকন মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। শুনানী শেষে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ফাহাদ বিন আমিন চৌধুরী তাদের প্রত্যেককে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বাকী ৭ আসামীকে জেল-হাজতে প্রেরণ করার নির্দেশ দিলে তাদেরকে কুমিল্লার কেন্দ্রিয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুরাদনগর থানার ওসি (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান। তিনি জানান, অপর আসামীদের গ্রেফতার না করা পর্যন্ত আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। তবে কেউ যেন বিনা অপরাধে হয়রানির শিকার না হন সে দিকেও নজর রয়েছে বলে তিনি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।

এ দিকে ফারুক মিয়া ও সাইদুল হোসেনের লাশ কুমেক হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে রহিমপুর গ্রামে আনা হলে স্বজনদের মধ্যে কান্নার রোল পড়ে যায়। বুধবার বাদ আছর রামধনীমুড়া ঈদগাঁহ মাঠে জানাযা শেষে তাদেরকে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির ১৭ বছর পর বিজয় দিবস উদযাপন

মুরাদনগরে জোড়া হত্যা মামলায় ২ জনের রিমান্ড

আপডেট সময় ০৪:১৭:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ এপ্রিল ২০১৭
মুরাদনগর বার্তা ডেস্ক:

মুরাদনগর উপজেলার নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের রহিমপুর গ্রামে দুই যুবক খুনের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ১০ জনের মধ্যে ৯ আসামীকে বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লার আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। এর মধ্যে দুই আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। একই সাথে বাকী ৭ আসামীকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

পুুলিশ জানায়, রহিমপুর গ্রামে মঙ্গলবার রাতে প্রতিপক্ষের হাতে ফারুক মিয়া ও সাইদুল হোসেন নামে দুই যুবক খুনের ঘটনায় পুলিশ বিভিন্ন স্থানে সাড়াশি অভিযান চালিয়ে বুধবার রাত পর্যন্ত ১০ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে। এরা হলেন- রহিমপুর গ্রামের আলেক মিয়ার ছেলে আনিস মিয়া (২৯), কুদ্দুস মিয়ার ছেলে খোকন মিয়া (৪৫), বজলু মিয়ার ছেলে কনু মিয়া (৩২), হাবিল মিয়ার ছেলে দুর্ভাজ ওরফে খোকন মিয়া (৩৬), জয়নাল আবেদীনের ছেলে মোমেন মিয়া (২৩), মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে আমজাদ  হোসেন মোল্লা (৩৬), হোসেন মিয়ার ছেলে সুজন ওরফে সুমন মিয়া (২৩) মৃত রুক্কু মিয়ার ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২৪), জয়নাল আবেদীনের ছেলে কামরুল হাসান (২২) ও বজলু মিয়ার ছেলে ফারুক মিয়া (২২)।

এদের মধ্যে বজলু মিয়ার ছেলে ফারুক মিয়া পুলিশী প্রহরায় কুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছে। বাকী ৯ জন আসামীকে বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লার ৮নং আমলী আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। একই সাথে আলেক মিয়ার ছেলে আনিস মিয়া, কুদ্দুস মিয়ার ছেলে খোকন মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। শুনানী শেষে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ফাহাদ বিন আমিন চৌধুরী তাদের প্রত্যেককে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বাকী ৭ আসামীকে জেল-হাজতে প্রেরণ করার নির্দেশ দিলে তাদেরকে কুমিল্লার কেন্দ্রিয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুরাদনগর থানার ওসি (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান। তিনি জানান, অপর আসামীদের গ্রেফতার না করা পর্যন্ত আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। তবে কেউ যেন বিনা অপরাধে হয়রানির শিকার না হন সে দিকেও নজর রয়েছে বলে তিনি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।

এ দিকে ফারুক মিয়া ও সাইদুল হোসেনের লাশ কুমেক হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে রহিমপুর গ্রামে আনা হলে স্বজনদের মধ্যে কান্নার রোল পড়ে যায়। বুধবার বাদ আছর রামধনীমুড়া ঈদগাঁহ মাঠে জানাযা শেষে তাদেরকে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।