মুরাদনগর বার্তা ডেস্কঃ
কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক মোল্লা মজিবুল হক, কুমিল্লা উত্তর জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি নজরুল ইসলামসহ মুরাদনগর উপজেলার ২৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে মুরাদনগর থানা পুলিশ। সরকারী গুরুত্ব পূর্ণ স্থাপনা, সড়ক-মহাসড়কে প্রতিবন্ধকতা ও নাশকতার করার চেষ্ঠার অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে এ মামলাটি দায়ের করা হয়। নাশকতার অভিযোগে এক জনকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মনজুর আলম।
আটককৃত ওমর ফারুক বাদসা উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ও রামধনী মোড়া গ্রামের আব্দুল হালিমের ছেলে।
মামলায় অন্যতম আসামিরা হলেন, উপজেলা বিএনপির নেতা তকদির হোসেন, ওমর আলী, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাহমুদুল হাছান, মাসুদ রানা, মাসুম মুন্সি, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক হেদায়েত হোসেন, কায়কোবাদ ফোরামের যুগ্ম-আহ্বায়ক এনামুল হক, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা জুবায়ের হোসেন, মনির হোসেন, জুয়েল প্রমুখ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলা সদরের উত্তর পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে বিএনপির কিছু নেতাকর্মী সরকার উৎক্ষাতের ষড়যন্ত্র ও বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে বিস্ফোরক দ্রব্য দিয়ে হামলার ষড়যন্ত্র করছিল। এমন সংবাদের ভিত্তিতে মুরাদনগর থানা পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা পালিয়ে যায়। এসময় বাদশাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক মোল্লা মজিবুল হক বলেন, কোন ঘটনা ছাড়াই বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ভূতুরে মামলা দায়ের করছে পুলিশ। সম্প্রতি ওই এলাকায় কোন মিটিং-মিছিলের কোন ঘটনা ঘটেনি। এলাকা টার্গেট করে পুলিশ একের পর এক বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করছেন।
এবিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মনজুর আলম বলেন, নাশকতার অভিযোগে ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনা আরো ১২ জনের নামে এসআই রিপন কুমার দাস বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা হয়েছে। আটককৃত বাদশা একাধিক মমলার আসামী। তাকে মঙ্গলবার বিকেলে কুমিল্লা জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।