ঢাকা ০৬:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে শিক্ষকের উপর হামলার ঘটনায় ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

মো. হাবিবুর রহমান, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন আকবপুর ইয়াকুব আলী ভুইয়া পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের হিন্দু ধর্মীয় শিক্ষক কৃঞ্চপদ চক্রবর্তীসহ (৪৫) তার পরিবার-পরিজনের উপর হামলার ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে নামধারী পাঁচ জনসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলা করায় ক্ষীপ্ত হয়ে মোবাইল ফোনে প্রাণনাশের হুমকি-ধমকি দেওয়ার ওই শিক্ষক পরিবারটি চরম নিরাপত্ত্বাহীনতায় ভূগছে বলে জানা গেছে।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল অনুমান পৌনে ৯টায় স্কুলে যাওয়ার প্রস্তুতিকালে ওই গ্রামের মনির হোসেনের নেতৃত্বে ৯/১০ জন লোক এসে কৃঞ্চপদ চক্রবর্তীর মোবাইল ফোনটি দিতে বলে। চার্জ থেকে মোবাইল ফোনটি খুলে আনতে দেরি হওয়ায় পরিকল্পিত ভাবে তার উপর হামলা চালায়। চিৎকার শুনে তার বৃদ্ধ মা উমা রানী চক্রবর্তী (৯২), স্ত্রী অর্পনা চক্রবর্তী (৩৫), মেয়ে অর্পিতা চক্রবর্তী (১৪) ও ছেলে রাতুল চক্রবর্তী (১৪) এগিয়ে আসলে তাদেরকেও তারা মারধর করে। ঘটনার সময় স্থানীয় মেম্বার মজিবুর রহমানসহ এলাকার লোকজন এগিয়ে এলে চক্রটি হুমকি-ধমকি দিয়ে চলে যায়। বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি মনোয়ার হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে এলাকার উত্তেজিত পরিবেশ শান্ত হয়। পরে উক্ত ঘটনায় আহত কৃঞ্চপদ চক্রবর্তীকে চিকিৎসার জন্য মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। উক্ত বিষয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনার শিকার কৃঞ্চপদ চক্রবর্তী বাদী হয়ে একই গ্রামের ফুল মিয়ার ছেলে মনির হোসেন (৩০), মৃত অহেদ ব্যাপারীর ছেলে আবুল বাশার (৩৫), মোতাহার আলী ব্যাপারীর ছেলে ওয়াসিম মিয়া (২৫), আব্দুল হান্নানের ছেলে পলাশ মিয়া (৩৫) ও আব্দুল হাকিমের ছেলে মানিক মিয়াসহ (৩০) অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে বাঙ্গরা বাজার থানায় একটি মামলা রুজু করেছে।
মুরাদনগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত স্কুল শিক্ষক কৃঞ্চপদ চক্রবর্তী সাংবাদিকদের জানান, গত ৭/৮ মাস পূর্বে ওই চক্রটি তার নিকট এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিল। বিষয়টি এলাকার লোকজনকে জানালে চক্রটি পিছু হটে। চাঁদার ঘটনাটি এলাকাবাসীকে জানালে ক্ষীপ্ত হয়ে পরিকল্পিত ভাবে এ হামলা চালায়। এলাকার একটি মহল প্রকৃত ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে। বর্তমানে মামলা তুলে নিতে মোবাইল ফোনে একাধীকবার প্রাণনাশের হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। আসামীরা বুক ফুলিয়ে এলাকায় ঘুরাফেরা করলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রহস্যজনক কারণে পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করছে না। আসামীসহ তাদের লোকজনের হুমকিতে আমিসহ আমার পরিবারবর্গ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগিতেছি।

বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি মনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, আসামীরা পলাতক থাকায় গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি, তবে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। মামলা তুলে নেওয়ার বিষয়ে বাদীকে হুমকি-ধমকির বিষয়টি আমাদের নলেজে নেই। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে হুমকি দাতাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের মামলা প্রত্যাহারের দাবি ছাত্রদলের

মুরাদনগরে শিক্ষকের উপর হামলার ঘটনায় ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

আপডেট সময় ০৫:২২:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৭
মো. হাবিবুর রহমান, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন আকবপুর ইয়াকুব আলী ভুইয়া পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের হিন্দু ধর্মীয় শিক্ষক কৃঞ্চপদ চক্রবর্তীসহ (৪৫) তার পরিবার-পরিজনের উপর হামলার ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে নামধারী পাঁচ জনসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলা করায় ক্ষীপ্ত হয়ে মোবাইল ফোনে প্রাণনাশের হুমকি-ধমকি দেওয়ার ওই শিক্ষক পরিবারটি চরম নিরাপত্ত্বাহীনতায় ভূগছে বলে জানা গেছে।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল অনুমান পৌনে ৯টায় স্কুলে যাওয়ার প্রস্তুতিকালে ওই গ্রামের মনির হোসেনের নেতৃত্বে ৯/১০ জন লোক এসে কৃঞ্চপদ চক্রবর্তীর মোবাইল ফোনটি দিতে বলে। চার্জ থেকে মোবাইল ফোনটি খুলে আনতে দেরি হওয়ায় পরিকল্পিত ভাবে তার উপর হামলা চালায়। চিৎকার শুনে তার বৃদ্ধ মা উমা রানী চক্রবর্তী (৯২), স্ত্রী অর্পনা চক্রবর্তী (৩৫), মেয়ে অর্পিতা চক্রবর্তী (১৪) ও ছেলে রাতুল চক্রবর্তী (১৪) এগিয়ে আসলে তাদেরকেও তারা মারধর করে। ঘটনার সময় স্থানীয় মেম্বার মজিবুর রহমানসহ এলাকার লোকজন এগিয়ে এলে চক্রটি হুমকি-ধমকি দিয়ে চলে যায়। বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি মনোয়ার হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে এলাকার উত্তেজিত পরিবেশ শান্ত হয়। পরে উক্ত ঘটনায় আহত কৃঞ্চপদ চক্রবর্তীকে চিকিৎসার জন্য মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। উক্ত বিষয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনার শিকার কৃঞ্চপদ চক্রবর্তী বাদী হয়ে একই গ্রামের ফুল মিয়ার ছেলে মনির হোসেন (৩০), মৃত অহেদ ব্যাপারীর ছেলে আবুল বাশার (৩৫), মোতাহার আলী ব্যাপারীর ছেলে ওয়াসিম মিয়া (২৫), আব্দুল হান্নানের ছেলে পলাশ মিয়া (৩৫) ও আব্দুল হাকিমের ছেলে মানিক মিয়াসহ (৩০) অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে বাঙ্গরা বাজার থানায় একটি মামলা রুজু করেছে।
মুরাদনগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত স্কুল শিক্ষক কৃঞ্চপদ চক্রবর্তী সাংবাদিকদের জানান, গত ৭/৮ মাস পূর্বে ওই চক্রটি তার নিকট এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিল। বিষয়টি এলাকার লোকজনকে জানালে চক্রটি পিছু হটে। চাঁদার ঘটনাটি এলাকাবাসীকে জানালে ক্ষীপ্ত হয়ে পরিকল্পিত ভাবে এ হামলা চালায়। এলাকার একটি মহল প্রকৃত ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে। বর্তমানে মামলা তুলে নিতে মোবাইল ফোনে একাধীকবার প্রাণনাশের হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। আসামীরা বুক ফুলিয়ে এলাকায় ঘুরাফেরা করলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রহস্যজনক কারণে পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করছে না। আসামীসহ তাদের লোকজনের হুমকিতে আমিসহ আমার পরিবারবর্গ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগিতেছি।

বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি মনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, আসামীরা পলাতক থাকায় গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি, তবে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। মামলা তুলে নেওয়ার বিষয়ে বাদীকে হুমকি-ধমকির বিষয়টি আমাদের নলেজে নেই। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে হুমকি দাতাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।