ঢাকা ০৯:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগর যুবলীগ আহ্বায়ক সাধন হত্যা মামলার আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

কুমিল্লায় চান্দিনা উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মুরাদনগর উপজেলা যুবলীগ আহ্বায়ক ও জেলা পরিষদ সদস্য খায়রুল আলম সাধন হত্যা মামলার আসামি ডাকাত খোকন (৪৫) নিহত হয়েছেন।

এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় তৈরি পাইপগান, দুই রাউন্ড তাজা কার্তুজ, পাচঁ রাউন্ড গুলির খোসা, দু’টি রামদা, একটি ছুরি, একটা চাপাতি ও একটি লোহার পাইপ উদ্ধার করা হয়।

শুক্রবার (১৩ মার্চ) ভোরে উপজেলার ছয়ঘরিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খোকন বরগুনা সদর উপজেলার ফুলতলা গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে ও চাঞ্চল্যকর মুরাদনগর উপজেলা জেলা পরিষদ সদস্য খায়রুল আলম সাধন হত্যা মামলার পলাতক আসামি। 

পুলিশ জানায়, ভোরে চান্দিনা উপজেলার ছয়ঘরিয়ার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে সশস্ত্র ডাকাত দলের সদস্যরা ডাকাতির প্রস্তুতি নিয়েছেন এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) শাখার সদস্য ও চান্দিনা থানা পুলিশ সদস্যরা যৌথভাবে সেখানে অভিযানে যান। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দলের সদস্যরা গুলি ছুড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ পাল্টা গুলি ছুড়লে কিছু সময় পর পরিস্থিতি শান্ত হলে ঘটনাস্থল থেকে খায়রুল আলম সাধন হত্যা মামলার আসামি ডাকাত খোকনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কুমিল্লা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের বিশেষ শাখার (ডিএসবি) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজিম উল আহসান বাংলানিউজকে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

গত ৮ জানুয়ারি মুরাদনগর উপজেলা যুবলীগ আহ্বায়ক ও জেলা পরিষদ সদস্য খায়রুল আলম সাধন নারায়গঞ্জের চিটগাং রোড থেকে একটি মাইক্রোবাসে কুমিল্লার উদ্দেশ্যে রওনা হন। মাইক্রোবাসটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের হওয়ায় তারা তাকে হত্যা করে তার মালামাল লুট করে। পরে তার মরদেহ কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলাধীন মোস্তফাপুর এলাকায় ফেলে যায়। পরদিন বৃহস্পতিবার মরদেহ উদ্ধার করে সদর দক্ষিণ থানা পুলিশ। পরে মামলাটির তদন্তভার নেন কুমিল্লা ডিবি পুলিশ। ডিবি পুলিশ যুবলীগ নেতা হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে ৪৬তম জাতীয় বিজ্ঞান মেলার পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠিত

মুরাদনগর যুবলীগ আহ্বায়ক সাধন হত্যা মামলার আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

আপডেট সময় ০৫:২১:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ মার্চ ২০২০

কুমিল্লায় চান্দিনা উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মুরাদনগর উপজেলা যুবলীগ আহ্বায়ক ও জেলা পরিষদ সদস্য খায়রুল আলম সাধন হত্যা মামলার আসামি ডাকাত খোকন (৪৫) নিহত হয়েছেন।

এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় তৈরি পাইপগান, দুই রাউন্ড তাজা কার্তুজ, পাচঁ রাউন্ড গুলির খোসা, দু’টি রামদা, একটি ছুরি, একটা চাপাতি ও একটি লোহার পাইপ উদ্ধার করা হয়।

শুক্রবার (১৩ মার্চ) ভোরে উপজেলার ছয়ঘরিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খোকন বরগুনা সদর উপজেলার ফুলতলা গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে ও চাঞ্চল্যকর মুরাদনগর উপজেলা জেলা পরিষদ সদস্য খায়রুল আলম সাধন হত্যা মামলার পলাতক আসামি। 

পুলিশ জানায়, ভোরে চান্দিনা উপজেলার ছয়ঘরিয়ার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে সশস্ত্র ডাকাত দলের সদস্যরা ডাকাতির প্রস্তুতি নিয়েছেন এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) শাখার সদস্য ও চান্দিনা থানা পুলিশ সদস্যরা যৌথভাবে সেখানে অভিযানে যান। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দলের সদস্যরা গুলি ছুড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ পাল্টা গুলি ছুড়লে কিছু সময় পর পরিস্থিতি শান্ত হলে ঘটনাস্থল থেকে খায়রুল আলম সাধন হত্যা মামলার আসামি ডাকাত খোকনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কুমিল্লা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের বিশেষ শাখার (ডিএসবি) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজিম উল আহসান বাংলানিউজকে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

গত ৮ জানুয়ারি মুরাদনগর উপজেলা যুবলীগ আহ্বায়ক ও জেলা পরিষদ সদস্য খায়রুল আলম সাধন নারায়গঞ্জের চিটগাং রোড থেকে একটি মাইক্রোবাসে কুমিল্লার উদ্দেশ্যে রওনা হন। মাইক্রোবাসটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের হওয়ায় তারা তাকে হত্যা করে তার মালামাল লুট করে। পরে তার মরদেহ কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলাধীন মোস্তফাপুর এলাকায় ফেলে যায়। পরদিন বৃহস্পতিবার মরদেহ উদ্ধার করে সদর দক্ষিণ থানা পুলিশ। পরে মামলাটির তদন্তভার নেন কুমিল্লা ডিবি পুলিশ। ডিবি পুলিশ যুবলীগ নেতা হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করে।