জাতীয় ডেস্কঃ
বাংলাদেশ সরকারের কূটনৈতিক দক্ষতার কারণে বিশ্বসম্প্রদায় রোহিঙ্গা ইস্যুতে সোচ্ছার হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং দলের অন্যতম মুখপাত্র ড. হাছান মাহমুদ।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে ন্যাপ ভাসানীর জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি ছোট জনবহুল দেশ। বাংলাদেশ সরকারের মহানুভবতার কারণে মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে পেরেছে। কিন্তু আমাদের মত ছোট দেশের পক্ষে লাখ লাখ লোকের ভার বহন করা সম্ভব নয়। মিয়ানমার সরকারের নৈতিক দায়িত্ব তাদের দেশের লোকদের ফিরিয়ে নিয়ে নাগরিকত্ব প্রদান করা। মিয়ানমারে যা ঘটছে এটা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। আর বাংলাদেশ সরকারের কূটনৈতিক দক্ষতার কারণে বিশ্বনেতারা এখন রোহিঙ্গা ইস্যুতে সোচ্ছার হয়েছেন। জাতিসংঘের মহাসচিব, তুরস্কের প্রেসিডন্ট এরদোগানসহ অনেক বিশ্ব নেতারা রোহিঙ্গা ইস্যুতে জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করছেন। কিন্তু প্রশংসা করতে পারছে না শুধু বিএনপি । সুতরাং বিএনপির নেতারা আপনারা- দয়াকরে মানবিক বিষয়কে ইস্যু করে নোংরা রাজনীতি করার চেষ্টা করবেন না।
তিনি আরো বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপর যে অমানবিক অত্যাচার হচ্ছে এতে করে শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী অংসাং সুচির পুরস্কারের উপর কালিমা লেপন করা হচ্ছে।
‘বিএনপি রাজনীতির কাকদের সমন্বয়ে গঠিত একটি দল’ উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী কখনো ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করেননি। ক্ষমতার মোহ কখনো তাকে গ্রাস করেনি। কিন্তু মির্জা ফকরুলসহ অনেকেই মাওলানা ভাসানীর আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়ে বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, রাজনীতিতে দুষ্ট চক্র প্রবেশ করেছে। দুষ্ট চক্র হলো বিএনপি। দুষ্ট চক্রের হাত থেকে রাজনীতিকে রক্ষা করতে হবে।
মুসতাক আহমেদ ভাসানীর সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব সাদেক সিদ্দিকী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম এ জলিল, আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম, বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের সভাপতি জিন্নাত আলী খান জিন্নাহ, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন টয়েল প্রমুখ