প্রবাস ডেস্কঃ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশতে দেয়া এক ভাষণে বলেছেন, পাশ্চাত্য সভ্যতার ভবিষ্যত হুমকির সম্মুখীন। কঠোর অভিবাসন নীতির জন্য আলোচিত পোল্যান্ডকে উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করে ট্রাম্প, জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদের হুমকির বিষয়ে সচেতন করেন।
এছাড়া ভাষণে রাশিয়ারও সমালোচনা করেন, মস্কো নেতৃত্বকে উদ্দেশ্য করে বলেন দায়িত্বশীল রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে যোগ দিতে। জার্মানির হামবুর্গে জি-২০ সম্মেলনকে সামনে রেখে পোল্যান্ড সফরে গেছেন ট্রাম্প। ওয়ারশতে ১৯৪৪ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পোলিশ বিদ্রোহের স্মৃতিবিজড়িত ক্রাসিন্সকি স্কয়ারে উৎফুল্ল জনতার সমাবেশে বক্তব্য প্রদান করেন।
পোল্যান্ডের রক্ষণশীল সরকার ট্রাম্পের মতোই কঠোর অভিবাসন নীতি ও সার্বভৌমত্বের নীতিতে বিশ্বাসী। ট্রাম্প তার ভাষণে বলেন, পোল্যান্ডের অভিজ্ঞতা আমাদের এটাই স্মরণ করায় যে পাশ্চাত্যের নিরাপত্তা শুধু পদক্ষেপ গ্রহণে নয় জনগণের ইচ্ছার উপরে নির্ভরশীল। আমাদের সময়ের মৌলিক প্রশ্ন হচ্ছে পাশ্চাত্যের টিকে থাকার ইচ্ছে আছে কী না?
ইউক্রেনে রাশিয়ার অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী কর্মকাণ্ড বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে ট্রাম্প বলেন, সিরিয়া ও ইরানের মতো প্রতিহিংসাপরায়ণ দেশগুলোকে সমর্থন দেয়া বন্ধ করতে হবে। এর পরিবর্তে রাশিয়া দায়িত্বশীল দেশগুলোর সঙ্গে যোগ দিয়ে সবার শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। হামবুর্গে প্রথমবারের মতো ট্রাম্প ও পুতিন মুখোমুখি হবেন। ট্রাম্পের বক্তব্য প্রতাখ্যান করে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, রাশিয়া ইউক্রেনকে অস্থিতিশীল করছে এমন বক্তব্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট মেনে নিতে পারবেন না। এই জন্যই আমরা দুই প্রেসিডেন্টের সাক্ষাতের মুহুর্তের অপেক্ষা করছি।
ভাষণ দেয়ার আগে একটি সংবাদ সম্মেলনে উত্তর কোরিয়ার ‘খুব খারাপ আচরণের’ বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এই বিষয়ে কিছু করতে হবে। বিবিসি।