মোর্শেদুল ইসলাম সাজু, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার হোমনায় এক শিশুকে অপহরণের ১২ ঘণ্টা পর জেলার তিতাস উপজেলা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। অপহরণের অভিযোগে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
রবিববার দুপুরে ২১ মাস বয়সী শিশু তামিমকে উদ্ধার এবং নালাদক্ষিণ গ্রামের রবিউলের ছেলে জিলানীকে (২২) আটক করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত শিশুটি উপজেলার আলীপুর গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে।
থানা ও পরিবার সূত্রে জনা যায়,শনিবার সন্ধ্যায় সম্পর্কীয় চাচা জিলানী শিশু তামিমকে তার বাড়ি থেকে অপহরণ করে শিশুটির ফুফাতো ভাই ফয়সালের নিকট রাখে। পরে ফয়সাল তার বন্ধু তিতাস উপজেলার ঐচারচর গ্রামের আনোয়ারের কাছে শিশুটিকে নিজের ছেলে পরিচয় দিয়ে রেখে পালিয়ে যায়।
অপহরণের পর ফয়সাল রাতে শিশুটির মায়ের কাছে ফোনে একটি বিকাশ নম্বর দিয়ে আড়াই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। বিষয়টি ওই দিনই শিশুটির পরিবার মৌখিকভাবে থানায় অবহিত করেন। পুলিশ প্রযুক্তির মাধ্যমে অপহরণকারী জিলানী ও ফয়সালের অবস্থান নিশ্চিত করে। তাদের ফোনালাপের সূত্র ধরে জিলানীকে আটক করে পুলিশ।
এ দিকে বাবা পরিচয় দেয়া ফয়সাল শিশুটিকে নিতে না আসায় বন্ধু আনোয়ারের সন্দেহ হলে বিষয়টি হোমনা থানাকে জানায়। পরে হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রসুল আহমেদ নিজামী ও ওসি (তদন্ত) আনোয়রুল হকের নেতৃত্বে সঙ্গীয় পুলিশ রবিবার দুপুরে তিতাস উপজেলার আনোয়ারের সহায়তায় তার বাড়ি থেকে শিশু তামিমকে উদ্ধার করে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেন।
মা রুমি আক্তার জানায়, ‘আমি আমার ছেলেকে আমার ভাতিজার ছেলে আলমগীরের কাছে রাখি। আলমগীর তার মার কাছে রেখে যায়। পরে জিলানী আলমগীরের মায়ের কাছ থেকে চাচা আসো বলেই নিয়ে যায়। ঘণ্টা,দেড় ঘণ্টা ছেলেকে খুঁজতে থাকি। এ সময় জিলানী পাশের দোকানে বসা ছিল।’
এ ব্যাপারে হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রসুল আহমেদ নিজামী বলেন, ‘ভিকটিমের পরিবার মৌখিকভাবে আমাদের জানায়। পরে আমরা প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামীদের অবস্থান নির্ণয় করে জিলানীকে আটক করি।
ফয়সালের বন্ধু আনোয়ারের সহায়তায় শিশুটিকে উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে তুলে দেই। দুই জনকে আসামী করে শিশুটির মা বাদি হয়ে হোমনা থানায় মামলা দায়ের করেন।