ঢাকা ০৮:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১৪৬ বছর বয়সে মারা গেলেন বিশ্বের সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি

প্রবাস ডেস্কঃ
ইন্দোনেশিয়ার অধিবাসী বিশ্বের সবচেয়ে বয়জ্যেষ্ঠ ব্যক্তি সাপারাম সোডিমেয়েদজো যিনি ‘মে গোতা’ নামেই বেশি পরিচিত গতকাল রবিবার দেশটির মধ্য জাভার একটি গ্রামে মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ১৪৬।
সোদিমেয়েদজোর, যিনি কখনো জটিল কোন শারীরিকি অসুস্থায় আক্রান্ত হননি তার আবাসিক পরিচয়পত্র ঘেটে জানা যায় তিনি ১৮৭০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। কিন্তু ইন্দোনেশিয়া ১৯০০ সাল থেকেই জন্ম নিবন্ধন করা শুরু করে। এর আগের সময়কার তথ্যে অনেক গরমিল পাওয়া যায়।
তবে দেশটির কর্মকর্তার বিবিসিকে জানিয়েছিল, সোদিমেয়েদজোর কাগজপত্রগুলো বৈধ।
জানা যায়, স্বাস্থ্যের অবনতি হলে গত ১২ এপ্রিল সোদিমেয়েদজোকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কথা জানালেও তিনি হাসপাতালে ভর্তি হতে অস্বীকৃতি জানাতে থাকেন। অবশেষে ছয়দিন পর তাকে বাড়ি ফিরিয়ে আনা হয়। বাড়ি ফিরে আসার পর থেকেই তিনি খাওয়া দাওয়ায় অনিয়ম শুরু করেছিলেন।
তার নাতি সুরিয়ান্তো বিবিসিকে বলেন, ‘হাসপাতাল থেকে ফিরে আসার পর থেকেই নানা দুই চামুচ জাউ (তরল খাবার) ও সামান্য পরিমান পানি পান করত। সেটাও মাত্র দুয়েকদিন। এরপর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি খানা-পিনা থেকে নিজেকে বিরত রেখেছিলেন।’
দীর্ঘ সময় বেঁচে থাকার রহস্য নিয়ে গত বছর বিবিসিকে এক সাক্ষাৎকারে সোডিমেয়েদজো বলেছেন, ধৈর্য্যই মূল। সেই সঙ্গে নিজের দেখাশুনা করার জন্য মানুষদেরও কৃতিত্ব দিয়েছিলেন।
সোদিমেয়দজোর মৃত্যুর আগেই তার চার স্ত্রী ও ৩ সন্তান মারা গিয়েছিলেন। বিবিসি।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির ১৭ বছর পর বিজয় দিবস উদযাপন

১৪৬ বছর বয়সে মারা গেলেন বিশ্বের সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি

আপডেট সময় ০৪:২৬:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ মে ২০১৭
প্রবাস ডেস্কঃ
ইন্দোনেশিয়ার অধিবাসী বিশ্বের সবচেয়ে বয়জ্যেষ্ঠ ব্যক্তি সাপারাম সোডিমেয়েদজো যিনি ‘মে গোতা’ নামেই বেশি পরিচিত গতকাল রবিবার দেশটির মধ্য জাভার একটি গ্রামে মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ১৪৬।
সোদিমেয়েদজোর, যিনি কখনো জটিল কোন শারীরিকি অসুস্থায় আক্রান্ত হননি তার আবাসিক পরিচয়পত্র ঘেটে জানা যায় তিনি ১৮৭০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। কিন্তু ইন্দোনেশিয়া ১৯০০ সাল থেকেই জন্ম নিবন্ধন করা শুরু করে। এর আগের সময়কার তথ্যে অনেক গরমিল পাওয়া যায়।
তবে দেশটির কর্মকর্তার বিবিসিকে জানিয়েছিল, সোদিমেয়েদজোর কাগজপত্রগুলো বৈধ।
জানা যায়, স্বাস্থ্যের অবনতি হলে গত ১২ এপ্রিল সোদিমেয়েদজোকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কথা জানালেও তিনি হাসপাতালে ভর্তি হতে অস্বীকৃতি জানাতে থাকেন। অবশেষে ছয়দিন পর তাকে বাড়ি ফিরিয়ে আনা হয়। বাড়ি ফিরে আসার পর থেকেই তিনি খাওয়া দাওয়ায় অনিয়ম শুরু করেছিলেন।
তার নাতি সুরিয়ান্তো বিবিসিকে বলেন, ‘হাসপাতাল থেকে ফিরে আসার পর থেকেই নানা দুই চামুচ জাউ (তরল খাবার) ও সামান্য পরিমান পানি পান করত। সেটাও মাত্র দুয়েকদিন। এরপর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি খানা-পিনা থেকে নিজেকে বিরত রেখেছিলেন।’
দীর্ঘ সময় বেঁচে থাকার রহস্য নিয়ে গত বছর বিবিসিকে এক সাক্ষাৎকারে সোডিমেয়েদজো বলেছেন, ধৈর্য্যই মূল। সেই সঙ্গে নিজের দেখাশুনা করার জন্য মানুষদেরও কৃতিত্ব দিয়েছিলেন।
সোদিমেয়দজোর মৃত্যুর আগেই তার চার স্ত্রী ও ৩ সন্তান মারা গিয়েছিলেন। বিবিসি।