ঢাকা ০১:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে শরীফ হত্যা মামলায় এক আসামীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

মাহবুবুল আলম আরিফঃ

কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলা সদরের আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর সিএনজি চালক শরিফুল ইসলাম হত্যায় জড়িত সন্দেহে আবু হানিফ(৩৫) নামের এক আসামীকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে জেলার হোমনা থানা পুলিশের সহায়তায় হোমনা উপজেলার দুর্গাপুর গ্রাম থেকে মুরাদনগর থানা পুলিশ তাকে আটক করে বৃহস্পতিবার বিকেলে কুমিল্লা আদালতে প্রেরন করা হলে হত্যার ঘটনার সাথে তার জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করেছে বলে নিশ্চিত করেছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবুল কাশেম।

আটককৃত আবু হানিফ দুর্গাপুর গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে।

জানা যায়, চাঞ্চল্যকর শরীফ হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে বাসযাত্রী আবু হানিফকে বুধবার রাতে হোমনার দুর্গাপুর থেকে গ্রেফতার করে মুরাদনগর থানায় এনে প্রাথমিক ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা
জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে হত্যার ঘটনার সাথে তার জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেয়। সে জানায় ১৯মে রাতে তারা সিলেট থেকে হোমনা সুপার (নারায়নগঞ্জ-জ-০৪-০১৮৮) নাম্বারের একটি বাস নিয়ে হোমনা যাওয়ার পথে মুরাদনগর সদর সিএনজি স্টেশনে সিএনজিতে ধাক্কা লাগা নিয়ে শরীফের সাথে বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে বাসের হেলপার ও কয়েকজন যাত্রী মিলে শরীফকে টেনে বাসে উঠিয়ে নিয়ে তাকে বেদড়ক মারধর করে এবং বাসে রক্ষিত বিভিন্ন যন্ত্রাংশ দিয়ে তাকে উপর্যুপুরি আঘাত করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে ঘোড়াশাল এলাকায় এসে শরীফকে বাস থেকে ফেলে দেয় এবং শরীফের দেহকে বাসের চাকায় পিষে দিয়ে তারা বাস নিয়ে পালিয়ে যায়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবুল কাশেম বলেন আটককৃত আসামী আবু হানিফকে বৃহস্পতিবার বিকেলে কুমিল্লার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ফাহাদ বিন আমিনের ৮নং আমলী আদালতে হাজির করলে সে বিজ্ঞ আদালতে কাছে দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করেন।

এব্যাপারে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম বদিউজ্জামান বলেন শরীফ হত্যা মামলায় বাস চালককে আগেই গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আটককৃত আসামী আবু হানিফ ঘটনার দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। ঘটনার সাথে জড়িত অন্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যহত রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৯মে রাতে মুরাদনগর সদর সিএনজি স্টেশনে তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে হোমনা সুপার নামের একটি বাসে উঠিয়ে নিয়ে বাসের হেলপার ও কয়েকজন যাত্রী সিএনজি চালক শরীফুল ইসলামকে নির্মম ভাবে হত্যা করে ৪কিলোমিটার দুরে লাশ ফেলে রেখে যায়। পরে নিহতের পিতা মালু মিয়া মুরাদনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

 

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে সাংবাদিকদের সাথে নবাগত ওসি’র মত বিনিময়

মুরাদনগরে শরীফ হত্যা মামলায় এক আসামীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

আপডেট সময় ০৫:২৬:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুলাই ২০১৭
মাহবুবুল আলম আরিফঃ

কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলা সদরের আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর সিএনজি চালক শরিফুল ইসলাম হত্যায় জড়িত সন্দেহে আবু হানিফ(৩৫) নামের এক আসামীকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে জেলার হোমনা থানা পুলিশের সহায়তায় হোমনা উপজেলার দুর্গাপুর গ্রাম থেকে মুরাদনগর থানা পুলিশ তাকে আটক করে বৃহস্পতিবার বিকেলে কুমিল্লা আদালতে প্রেরন করা হলে হত্যার ঘটনার সাথে তার জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করেছে বলে নিশ্চিত করেছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবুল কাশেম।

আটককৃত আবু হানিফ দুর্গাপুর গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে।

জানা যায়, চাঞ্চল্যকর শরীফ হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে বাসযাত্রী আবু হানিফকে বুধবার রাতে হোমনার দুর্গাপুর থেকে গ্রেফতার করে মুরাদনগর থানায় এনে প্রাথমিক ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা
জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে হত্যার ঘটনার সাথে তার জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেয়। সে জানায় ১৯মে রাতে তারা সিলেট থেকে হোমনা সুপার (নারায়নগঞ্জ-জ-০৪-০১৮৮) নাম্বারের একটি বাস নিয়ে হোমনা যাওয়ার পথে মুরাদনগর সদর সিএনজি স্টেশনে সিএনজিতে ধাক্কা লাগা নিয়ে শরীফের সাথে বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে বাসের হেলপার ও কয়েকজন যাত্রী মিলে শরীফকে টেনে বাসে উঠিয়ে নিয়ে তাকে বেদড়ক মারধর করে এবং বাসে রক্ষিত বিভিন্ন যন্ত্রাংশ দিয়ে তাকে উপর্যুপুরি আঘাত করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে ঘোড়াশাল এলাকায় এসে শরীফকে বাস থেকে ফেলে দেয় এবং শরীফের দেহকে বাসের চাকায় পিষে দিয়ে তারা বাস নিয়ে পালিয়ে যায়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবুল কাশেম বলেন আটককৃত আসামী আবু হানিফকে বৃহস্পতিবার বিকেলে কুমিল্লার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ফাহাদ বিন আমিনের ৮নং আমলী আদালতে হাজির করলে সে বিজ্ঞ আদালতে কাছে দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করেন।

এব্যাপারে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম বদিউজ্জামান বলেন শরীফ হত্যা মামলায় বাস চালককে আগেই গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আটককৃত আসামী আবু হানিফ ঘটনার দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। ঘটনার সাথে জড়িত অন্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যহত রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৯মে রাতে মুরাদনগর সদর সিএনজি স্টেশনে তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে হোমনা সুপার নামের একটি বাসে উঠিয়ে নিয়ে বাসের হেলপার ও কয়েকজন যাত্রী সিএনজি চালক শরীফুল ইসলামকে নির্মম ভাবে হত্যা করে ৪কিলোমিটার দুরে লাশ ফেলে রেখে যায়। পরে নিহতের পিতা মালু মিয়া মুরাদনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।