ঢাকা ১১:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গুলশানের বাসার পথে খালেদা জিয়া

জাতীয় ডেস্কঃ

হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গুলশানের বাসার পথে রয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বহর করা গাড়ি। নেত্রীকে দেখার জন্য সাধারণ মানুষ ও হাজার হাজার নেতাকর্মীদের ঢল নামায় সড়কে স্বাভাবিকভাবে গাড়ি চলতে পারছে না। দুপুর থেকে সড়ক স্বাভাবিক থাকলেও বিকেল থেকে অনেকটা যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে খালেদা জিয়ার বাসায় ফিরতে স্বাভাবিকের চাইতে সময় বেশি লাগতে পারে।

এদিকে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পরই নেতাকর্মী ও সর্বোস্তরের মানুষের ফুলেল শুভেচ্ছা ও ভালোবাসায় সিক্ত হন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
বিকেলে পাঁচটা ৫ মিনিটে বিমানবন্দনে অবতরণের পর অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শেষে তিনি যখন সড়কে বের হন তখন হাজার হাজার নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। বিভিন্ন স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে উঠে বিমানবন্দর এলাকা। দুপুর থেকেই বিমানবন্দর এলাকায় হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে। নেতাকর্মীরা ফুল ও ব্যানার নিয়ে রাস্তার দু’পাশে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে প্রিয় নেত্রীকে একনজর দেখার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। খালেদা জিয়া তাঁর গাড়ি উঠে গুলশানের পথে যাত্রা শুরু করার পর নেতাকর্মীরা তাঁর গাড়িকে ঘিরে রাখে ফলে থেমে থেমে এগোচ্ছে তাঁর গাড়ি। এসময় বেগম খালেদা জিয়া হাত নেড়ে নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জানাতে থাকেন।

বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, বিকেল ৫টা ৩৭ মিনিটে তিনি বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে গুলশানের বাসার উদ্দেশে রওনা দেন।

বিমানবন্দরে বিএনপির চেয়ারপারসনকে স্বাগত জানাতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদসহ বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা হাজির হন।

বিমানবন্দরে মওদুদ আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের নেত্রীর বিরুদ্ধে সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করিয়েছে। কিন্তু তিনি গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে ভয় পান না। তিনি আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। শিগগিরই জামিনের জন্য তিনি আদালতে হাজির হবেন।’ মওদুদ অভিযোগ করেন, নেত্রীকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দর এলাকায় হাজার হাজার নেতা-কর্মী আসছিলেন। কিন্তু পুলিশ তাঁদের বাধা দিয়েছে। নেতা-কর্মীদের বিমানবন্দরে যাওয়া ঠেকাতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে গণপরিবহনও নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।

প্রায় তিন মাস পর যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরলেন খালেদা জিয়া। তাঁর বিরুদ্ধে গত সপ্তাহে ঢাকা ও কুমিল্লার আদালত থেকে পাঁচটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়।

খালেদা জিয়া গত ১৫ জুলাই যুক্তরাজ্যে যান। প্রায় তিন মাস তিনি সেখানে সপরিবারে থাকা বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসায় ছিলেন। এ সময় তিনি চোখ ও পায়ের চিকিৎসা নেন বলে দলের নেতারা জানান।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে সাংবাদিকদের সাথে নবাগত ওসি’র মত বিনিময়

গুলশানের বাসার পথে খালেদা জিয়া

আপডেট সময় ০১:৪৭:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ অক্টোবর ২০১৭
জাতীয় ডেস্কঃ

হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গুলশানের বাসার পথে রয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বহর করা গাড়ি। নেত্রীকে দেখার জন্য সাধারণ মানুষ ও হাজার হাজার নেতাকর্মীদের ঢল নামায় সড়কে স্বাভাবিকভাবে গাড়ি চলতে পারছে না। দুপুর থেকে সড়ক স্বাভাবিক থাকলেও বিকেল থেকে অনেকটা যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে খালেদা জিয়ার বাসায় ফিরতে স্বাভাবিকের চাইতে সময় বেশি লাগতে পারে।

এদিকে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পরই নেতাকর্মী ও সর্বোস্তরের মানুষের ফুলেল শুভেচ্ছা ও ভালোবাসায় সিক্ত হন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
বিকেলে পাঁচটা ৫ মিনিটে বিমানবন্দনে অবতরণের পর অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শেষে তিনি যখন সড়কে বের হন তখন হাজার হাজার নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। বিভিন্ন স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে উঠে বিমানবন্দর এলাকা। দুপুর থেকেই বিমানবন্দর এলাকায় হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে। নেতাকর্মীরা ফুল ও ব্যানার নিয়ে রাস্তার দু’পাশে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে প্রিয় নেত্রীকে একনজর দেখার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। খালেদা জিয়া তাঁর গাড়ি উঠে গুলশানের পথে যাত্রা শুরু করার পর নেতাকর্মীরা তাঁর গাড়িকে ঘিরে রাখে ফলে থেমে থেমে এগোচ্ছে তাঁর গাড়ি। এসময় বেগম খালেদা জিয়া হাত নেড়ে নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জানাতে থাকেন।

বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, বিকেল ৫টা ৩৭ মিনিটে তিনি বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে গুলশানের বাসার উদ্দেশে রওনা দেন।

বিমানবন্দরে বিএনপির চেয়ারপারসনকে স্বাগত জানাতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদসহ বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা হাজির হন।

বিমানবন্দরে মওদুদ আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের নেত্রীর বিরুদ্ধে সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করিয়েছে। কিন্তু তিনি গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে ভয় পান না। তিনি আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। শিগগিরই জামিনের জন্য তিনি আদালতে হাজির হবেন।’ মওদুদ অভিযোগ করেন, নেত্রীকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দর এলাকায় হাজার হাজার নেতা-কর্মী আসছিলেন। কিন্তু পুলিশ তাঁদের বাধা দিয়েছে। নেতা-কর্মীদের বিমানবন্দরে যাওয়া ঠেকাতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে গণপরিবহনও নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।

প্রায় তিন মাস পর যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরলেন খালেদা জিয়া। তাঁর বিরুদ্ধে গত সপ্তাহে ঢাকা ও কুমিল্লার আদালত থেকে পাঁচটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়।

খালেদা জিয়া গত ১৫ জুলাই যুক্তরাজ্যে যান। প্রায় তিন মাস তিনি সেখানে সপরিবারে থাকা বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসায় ছিলেন। এ সময় তিনি চোখ ও পায়ের চিকিৎসা নেন বলে দলের নেতারা জানান।