ঢাকা ১০:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নির্মানের প্রায় ৩ বছরেও চালু হয়নি বাঞ্ছারামপুরে ৫০ শয্যা হাসপাতালটি

সালমা আহমেদ, বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ৩ বছর আগে ২০১৫ সালের জুনে ৫০ শয্যার হাসপাতালটি নির্মানকাজ শেষ হলেও কেবল জনবল, চিকিৎসা সামগ্রী ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারনে চালু করা যাচ্ছে না। ফলে সরকারের মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হচ্ছে। সে সাথে সাড়ে ৪ লাখ এলাকার জনগন সরকারি চিকিৎসা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।বর্তমান ৩১ শয্যার হাসপাতালে বেড়েছে রোগীদের ভোগান্তি।

খোজ নিয়ে ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ৯ কোটি টাকা ব্যায়ে ৪ দফা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করে ৮ বছর সময় নিয়ে গড়ে উঠে ৩ তালা বিশিষ্ট ৫০ শয্যার হাসপাতালটি। কিন্তু নির্মান কাজে ব্যাপক ক্রুটি, নিন্ম মানের কাজ করায় ২০১৬ সাল থেকেই দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়ছে।

প্রশাসন ও চিকিৎসক সংশ্লিষ্ট মহল দাবী করেন-উদ্ধোধনের আগেই ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে লেবার রুম, ওটি, গাইনী রুমগুলো। অব্যাহতভাবে প্রতিদিন দেয়াল থেকে পলেস্তারা খসে পড়ায় যে কোন সময় ঘটতে পারে মারাত্বক দূর্ঘটনা। বিষয়টি কয়েকদফা সরেজমিনে তদন্ত করে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা প্রশাসন সিভিল সার্জনকে জানানোর পর এখানে ৫০ শয্যা হাসপাতালের ডায়াগ্রাম অনুযায়ী লোকবল, চিকিৎসা সামগ্রী প্রদান স্থগিত করেন বলেন জানান জেলা সিভিল সার্জন ডা.নিশিত কুমার নন্দী।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন আরো বলেন, ‘‘র্নিমান ত্রুটির কথা আমি মন্ত্রণালয়ে জানিয়েছি। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা বাসা বেধেছে। সেই জট খুললে তারপর চালু হবে ৫০ শয্যার হাসপাতাল।’’

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির ১৭ বছর পর বিজয় দিবস উদযাপন

নির্মানের প্রায় ৩ বছরেও চালু হয়নি বাঞ্ছারামপুরে ৫০ শয্যা হাসপাতালটি

আপডেট সময় ১২:৪৯:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুলাই ২০১৮
সালমা আহমেদ, বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ৩ বছর আগে ২০১৫ সালের জুনে ৫০ শয্যার হাসপাতালটি নির্মানকাজ শেষ হলেও কেবল জনবল, চিকিৎসা সামগ্রী ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারনে চালু করা যাচ্ছে না। ফলে সরকারের মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হচ্ছে। সে সাথে সাড়ে ৪ লাখ এলাকার জনগন সরকারি চিকিৎসা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।বর্তমান ৩১ শয্যার হাসপাতালে বেড়েছে রোগীদের ভোগান্তি।

খোজ নিয়ে ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ৯ কোটি টাকা ব্যায়ে ৪ দফা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করে ৮ বছর সময় নিয়ে গড়ে উঠে ৩ তালা বিশিষ্ট ৫০ শয্যার হাসপাতালটি। কিন্তু নির্মান কাজে ব্যাপক ক্রুটি, নিন্ম মানের কাজ করায় ২০১৬ সাল থেকেই দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়ছে।

প্রশাসন ও চিকিৎসক সংশ্লিষ্ট মহল দাবী করেন-উদ্ধোধনের আগেই ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে লেবার রুম, ওটি, গাইনী রুমগুলো। অব্যাহতভাবে প্রতিদিন দেয়াল থেকে পলেস্তারা খসে পড়ায় যে কোন সময় ঘটতে পারে মারাত্বক দূর্ঘটনা। বিষয়টি কয়েকদফা সরেজমিনে তদন্ত করে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা প্রশাসন সিভিল সার্জনকে জানানোর পর এখানে ৫০ শয্যা হাসপাতালের ডায়াগ্রাম অনুযায়ী লোকবল, চিকিৎসা সামগ্রী প্রদান স্থগিত করেন বলেন জানান জেলা সিভিল সার্জন ডা.নিশিত কুমার নন্দী।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন আরো বলেন, ‘‘র্নিমান ত্রুটির কথা আমি মন্ত্রণালয়ে জানিয়েছি। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা বাসা বেধেছে। সেই জট খুললে তারপর চালু হবে ৫০ শয্যার হাসপাতাল।’’