মোর্শেদুল ইসলাম শাজু, বিশেষ প্রতিনিধি:
কুমিল্লার হোমনায় গত চার দিনে পাঁচ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে পৌরসভা ও ইউনিয়নগুলোতে কেবল স্বল্প অাকারে সচেতনতা সৃষ্টির উদ্যোগ নেওয়া ছাড়া মশা নিধনে কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
উপজেলার ডায়াগষ্টিক সেন্টারগুলোতেও ডেঙ্গু শনাক্তকরণ পরীক্ষার নীরিক্ষার জন্য বেশী টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, দুই জনকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে, এক জন কিছু না বলেই চলে গেছেন, এক জনকে চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে এবং অারেকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি অন্যান্য সাধারণ রোগীদের মাঝেও কিছুটা আতঙ্ক বিরাজ করছে।
আক্রান্ত রোগীরা হলেন- হরিপুর গ্রামের মোহন মালা (৩০), ঘনিয়ারচরের সোহাগ (১৯), কারারকান্দির তাসলিমাকে (৩০) উন্নত চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে এবং উপজেলা সদর চৌরাস্তা এলাকার আমেনা খাতুন (২২) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন।
ঢাকাসহ সারাদেশে ডেঙ্গু প্রকট আকার ধারণ করায় ইতোমধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তপক্ষও তার আশ-পাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান অব্যাহত রেখে অন্যান্য রোগীদের সচেতনতা সৃষ্টি করে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
রোগীদের প্রতিও রাখছেন সতর্ক দৃষ্টি। ঢাকা লালমাটিয়া কলেজের অর্থনীতি বিষয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ঢাকায় থাকাকালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বাড়ি এসে চতুর্থ দিনে গতকাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। তাকে সার্বক্ষণিক মশারির ভেতরে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন ডাক্তার-নার্স। উপজেলার বিভিন্ন ডায়াগষ্টিক সেন্টারগুলোতে ডেঙ্গু শনাক্তকরণ পরীক্ষা নিরীক্ষায় বেশী টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সরফরাজ হোসেন খান জানান, উপজেলায় এ পর্যন্ত পাঁচ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। তবে একজন উপজেলার কারারকান্দি গ্রামের তাসলিমা খাতুন বাড়িতে থেকেই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন।
সে বর্তমানে মোটামুটি ভালো আছে। তবুও যোগাযোগ রাখছি। আর ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়ে আসা দুই জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করে দিয়েছি। এক জন ছাত্রী সে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন।