ঢাকা ১০:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোস্তাফিজ-দেলপোর্ট নৈপুণ্যে সিলেটকে হারাল রংপুর

খেলাধূলা ডেস্ক:

বঙ্গবন্ধু বিপিএলে সোমবার মোস্তাফিজের দুর্দান্ত বোলিং ও দেলপোর্টের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে সিলেট থান্ডারকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে রংপুর রেঞ্জার্স। এই হারের কারণে বিদায়ের দ্বারপ্রান্তে সিলেট। আট ম্যাচ খেলে ২ পয়েন্ট নিয়ে তারা পয়েন্ট টেবিলে সবার নিচে অবস্থান করছে। অন্যদিকে, এই জয়ের কারণে রংপুর লড়াইয়ে টিকে থাকল। সাত ম্যাচ খেলে ৪ পয়েন্ট নিয়ে তারা এখন ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে।

এদিন মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে সিলেটের দেয়া ১৩৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১৭.২ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় রংপুর। দলের পক্ষে ২৮ বলে ৬টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ৬৩ রান করেন ক্যামেরন দেলপোর্ট। ৩৮ করে অপরাজিত থাকেন নাঈম শেখ।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৩ রান করে সিলেট থান্ডার। রংপুরের পেসার মোস্তাফিজুর রহমান ৪ ওভারে ১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। দারুণ বোলিংয়ের সুবাদে ম্যাচসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও উঠেছে মোস্তাফিজের হাতে।

সিলেটের হয়ে ইনিংস শুরু করতে আসেন দুই ব্যাটসম্যান আন্দ্রে ফ্লেচার ও জনসন চার্লস। তবে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ফ্লেচারকে খালি হাতে ফেরান রংপুরের স্পিনার আরাফাত সানি।

দলীয় ১৬ রানের সময় আরেক ওপেনার চার্লসও মাত্র ৯ রানে আউট হলে বিপদে পড়ে যায় সিলেট। সেখান থেকে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও মোহাম্মদ মিথুন। তৃতীয় উইকেটে দুজনে যোগ করেন ৬০ রান। যেখানে ১৫ রানে থাকা মোসাদ্দেক রান আউটে কাটা পড়লে ভাঙে এই পার্টনারশিপ।

এরপর ক্রিজে এসে নিজ ব্যাটে ঝড়ের আভাস দেন নতুন ব্যাটসম্যান রাদারফোর্ড। তবে তিনিও বেশিক্ষণ ক্রিজে স্থায়ী হতে পারেননি। গ্রেগরিকে উইকেট দওেয়ার আগে ৯ বলে করেন ১৬ রান। এর ফাঁকে নিজের অর্ধশত রান তুলে নেন মিথুন। পরে মোস্তাফিজের বলে আউট হন ৪৭ বলে ৬২ রান করে। শেষ দিকে সোহাগ গাজীর ১২ ও নাঈম হাসানের ৮ রানের কল্যাণে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় সিলেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

ফল: ৭ উইকেটে জয়ী রংপুর রাইডার্স।

সিলেট থান্ডার ইনিংস: ১৩৩/৯ (২০ ওভার)

(ফ্লেচার ০, চার্লস ৯, মিথুন ৬২, মোসাদ্দেক ১৫, রাদারফোর্ড ১৬, মিলন ১, সোহাগ গাজী ১২, নাঈম হাসান ৮, মনির হোসেন ০, নাভিন ০, ইবাদত হোসেন ০; আরাফাত সানি ১/২৪, মোস্তাফিজ ৩/১০, মুকিদুল ১/৪৩, মোহাম্মদ নবী ১/৩১, গ্রেগরি ১/২১)।

রংপুর রেঞ্জার্স ইনিংস: ১৩৪/৩ (১৭.২ ওভার)

(নাঈম শেখ ৩৮, ওয়াটসন ১, দেলপোর্ট ৬৩, গ্রেগরি ৪, মোহাম্মদ নবী ১৮*; নাভিন ২/১৩, ইবাদত হোসেন ১/১২, নাঈম হাসান ০/৪৫, সোহাগ গাজী ০/২২, রাদারফোর্ড ০/২২, মনির হোসেন ০/১৫)।

ম্যাচ সেরা: মোস্তাফিজুর রহমান (রংপুর রেঞ্জার্স)।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

মোস্তাফিজ-দেলপোর্ট নৈপুণ্যে সিলেটকে হারাল রংপুর

আপডেট সময় ০৪:০৭:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯

খেলাধূলা ডেস্ক:

বঙ্গবন্ধু বিপিএলে সোমবার মোস্তাফিজের দুর্দান্ত বোলিং ও দেলপোর্টের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে সিলেট থান্ডারকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে রংপুর রেঞ্জার্স। এই হারের কারণে বিদায়ের দ্বারপ্রান্তে সিলেট। আট ম্যাচ খেলে ২ পয়েন্ট নিয়ে তারা পয়েন্ট টেবিলে সবার নিচে অবস্থান করছে। অন্যদিকে, এই জয়ের কারণে রংপুর লড়াইয়ে টিকে থাকল। সাত ম্যাচ খেলে ৪ পয়েন্ট নিয়ে তারা এখন ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে।

এদিন মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে সিলেটের দেয়া ১৩৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১৭.২ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় রংপুর। দলের পক্ষে ২৮ বলে ৬টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ৬৩ রান করেন ক্যামেরন দেলপোর্ট। ৩৮ করে অপরাজিত থাকেন নাঈম শেখ।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৩ রান করে সিলেট থান্ডার। রংপুরের পেসার মোস্তাফিজুর রহমান ৪ ওভারে ১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। দারুণ বোলিংয়ের সুবাদে ম্যাচসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও উঠেছে মোস্তাফিজের হাতে।

সিলেটের হয়ে ইনিংস শুরু করতে আসেন দুই ব্যাটসম্যান আন্দ্রে ফ্লেচার ও জনসন চার্লস। তবে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ফ্লেচারকে খালি হাতে ফেরান রংপুরের স্পিনার আরাফাত সানি।

দলীয় ১৬ রানের সময় আরেক ওপেনার চার্লসও মাত্র ৯ রানে আউট হলে বিপদে পড়ে যায় সিলেট। সেখান থেকে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও মোহাম্মদ মিথুন। তৃতীয় উইকেটে দুজনে যোগ করেন ৬০ রান। যেখানে ১৫ রানে থাকা মোসাদ্দেক রান আউটে কাটা পড়লে ভাঙে এই পার্টনারশিপ।

এরপর ক্রিজে এসে নিজ ব্যাটে ঝড়ের আভাস দেন নতুন ব্যাটসম্যান রাদারফোর্ড। তবে তিনিও বেশিক্ষণ ক্রিজে স্থায়ী হতে পারেননি। গ্রেগরিকে উইকেট দওেয়ার আগে ৯ বলে করেন ১৬ রান। এর ফাঁকে নিজের অর্ধশত রান তুলে নেন মিথুন। পরে মোস্তাফিজের বলে আউট হন ৪৭ বলে ৬২ রান করে। শেষ দিকে সোহাগ গাজীর ১২ ও নাঈম হাসানের ৮ রানের কল্যাণে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় সিলেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

ফল: ৭ উইকেটে জয়ী রংপুর রাইডার্স।

সিলেট থান্ডার ইনিংস: ১৩৩/৯ (২০ ওভার)

(ফ্লেচার ০, চার্লস ৯, মিথুন ৬২, মোসাদ্দেক ১৫, রাদারফোর্ড ১৬, মিলন ১, সোহাগ গাজী ১২, নাঈম হাসান ৮, মনির হোসেন ০, নাভিন ০, ইবাদত হোসেন ০; আরাফাত সানি ১/২৪, মোস্তাফিজ ৩/১০, মুকিদুল ১/৪৩, মোহাম্মদ নবী ১/৩১, গ্রেগরি ১/২১)।

রংপুর রেঞ্জার্স ইনিংস: ১৩৪/৩ (১৭.২ ওভার)

(নাঈম শেখ ৩৮, ওয়াটসন ১, দেলপোর্ট ৬৩, গ্রেগরি ৪, মোহাম্মদ নবী ১৮*; নাভিন ২/১৩, ইবাদত হোসেন ১/১২, নাঈম হাসান ০/৪৫, সোহাগ গাজী ০/২২, রাদারফোর্ড ০/২২, মনির হোসেন ০/১৫)।

ম্যাচ সেরা: মোস্তাফিজুর রহমান (রংপুর রেঞ্জার্স)।