ঢাকা ১১:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে কোনো নির্বাচন হতে পারবে না’

জাতীয় ডেস্কঃ
খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে কোনো নির্বাচন হতে পারবে না মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, নির্বাচনে আস্থাশীল ও বিশ্বাসী একটি সংগঠন বিএনপি। এই দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। যিনি বারবার অবরুদ্ধ গণতন্ত্রকে অর্গলমুক্ত করেছেন। তাকে ও তার দলকে বাদ দিয়ে কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারবে না।
আজ শুক্রবার সকালে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, খালেদা জিয়ার জন্য সংবিধান ও নির্বাচন বসে থাকবে না। তার প্রত্যুত্তরে রিজভী বলেন, ওবায়দুল কাদের এ ধরণের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীকে ইন্ধন দিতে পারে, কিন্তু জনগণের মধ্যে তা বড় ধরণের আশঙ্কার সৃষ্টি করেছে। তার বক্তব্যে যে ষড়যন্ত্র ও অশুভ পরিকল্পনার সুস্পষ্ট ইঙ্গিত আছে তা কারো হৃদয়াঙ্গম করতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
বিএনপির এই নেতা বলেন, সংবিধানের দোহাই দিয়ে একতরফা ও বিতর্কিত নির্বাচন করার যেকোনো অপচেষ্টা এদেশের জনগণ সর্বশক্তি দিয়ে রুখে দিবে। সংবিধান কোনো ধর্মীয় গ্রন্থ নয় যে, এটি সংশোধিত হতে পারবে না। যারা মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করে ভোটাধিকারকে কেড়ে নিয়ে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করে তারাই শুধু দেশের বড় দল ও দলের নেতাকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে বাধা দেয়ার চেষ্টা করে, যাতে তারা একচেটিয়া বিনা ভোটে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকতে পারে।
রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ হাট, ঘাট, মাঠ, টার্মিনাল, সাধারণ মানুষের জোত-জমি দখলের মতো ভোট ও নির্বাচনকেও দখল করে নিয়েছে। সংবিধানকে নিজেদের মতো করে সাজিয়েছে। সুতরাং নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য সেই দখলেরই প্রতিধ্বনি। আওয়ামী লীগ ও ভোট সন্ত্রাস একে অপরের পরিপূরক। বারবার জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে পার পাওয়া যাবে না। ভোটাধিকার মানুষের সহজাত অধিকার, তা কখনোই দাবিয়ে রাখা যায় না। ভোট সন্ত্রাস বনাম সুষ্ঠু নির্বাচনের দ্বন্দ্বেই মানুষের ভোটাধিকার বিজয়ী হবে, এটাই হচ্ছে ইতিহাসের নিয়ম।
তিনি বলেন, অবশ্যই বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়া আগামী কোনো জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারবে না। আগামী জাতীয় নির্বাচন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। সরকারের অশুভ কোনো পরিকল্পনা বাস্তবায়ন আর সম্ভব হবে না।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

‘খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে কোনো নির্বাচন হতে পারবে না’

আপডেট সময় ০৩:৪৭:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
জাতীয় ডেস্কঃ
খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে কোনো নির্বাচন হতে পারবে না মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, নির্বাচনে আস্থাশীল ও বিশ্বাসী একটি সংগঠন বিএনপি। এই দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। যিনি বারবার অবরুদ্ধ গণতন্ত্রকে অর্গলমুক্ত করেছেন। তাকে ও তার দলকে বাদ দিয়ে কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারবে না।
আজ শুক্রবার সকালে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, খালেদা জিয়ার জন্য সংবিধান ও নির্বাচন বসে থাকবে না। তার প্রত্যুত্তরে রিজভী বলেন, ওবায়দুল কাদের এ ধরণের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীকে ইন্ধন দিতে পারে, কিন্তু জনগণের মধ্যে তা বড় ধরণের আশঙ্কার সৃষ্টি করেছে। তার বক্তব্যে যে ষড়যন্ত্র ও অশুভ পরিকল্পনার সুস্পষ্ট ইঙ্গিত আছে তা কারো হৃদয়াঙ্গম করতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
বিএনপির এই নেতা বলেন, সংবিধানের দোহাই দিয়ে একতরফা ও বিতর্কিত নির্বাচন করার যেকোনো অপচেষ্টা এদেশের জনগণ সর্বশক্তি দিয়ে রুখে দিবে। সংবিধান কোনো ধর্মীয় গ্রন্থ নয় যে, এটি সংশোধিত হতে পারবে না। যারা মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করে ভোটাধিকারকে কেড়ে নিয়ে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করে তারাই শুধু দেশের বড় দল ও দলের নেতাকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে বাধা দেয়ার চেষ্টা করে, যাতে তারা একচেটিয়া বিনা ভোটে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকতে পারে।
রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ হাট, ঘাট, মাঠ, টার্মিনাল, সাধারণ মানুষের জোত-জমি দখলের মতো ভোট ও নির্বাচনকেও দখল করে নিয়েছে। সংবিধানকে নিজেদের মতো করে সাজিয়েছে। সুতরাং নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য সেই দখলেরই প্রতিধ্বনি। আওয়ামী লীগ ও ভোট সন্ত্রাস একে অপরের পরিপূরক। বারবার জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে পার পাওয়া যাবে না। ভোটাধিকার মানুষের সহজাত অধিকার, তা কখনোই দাবিয়ে রাখা যায় না। ভোট সন্ত্রাস বনাম সুষ্ঠু নির্বাচনের দ্বন্দ্বেই মানুষের ভোটাধিকার বিজয়ী হবে, এটাই হচ্ছে ইতিহাসের নিয়ম।
তিনি বলেন, অবশ্যই বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়া আগামী কোনো জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারবে না। আগামী জাতীয় নির্বাচন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। সরকারের অশুভ কোনো পরিকল্পনা বাস্তবায়ন আর সম্ভব হবে না।