ধর্ম ও জীবন ডেস্কঃ
করোনা মহামারীতে গত দুই বছর হজে অংশ নেয়া বন্ধ ছিল। গত এপ্রিল মাসের শুরুর দিকে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় সৌদি সরকার। একইসাথে এ বছর ১০ লাখ হজযাত্রী সৌদিতে প্রবেশের অনুমতি পাবেন বলে জানানো হয়।
তবে এবছর ৬৫ বছরের বেশি বয়সী কেউ হজ করতে পারবেন না। ফলে ১৯৫৭ সালের ১ জুলাইয়ের আগে যাদের জন্ম তারা এ বছর হজে যেতে পারবেন না। এ প্রেক্ষাপটে আগে নিবন্ধন করা এমন কারো এ বয়সের সীমা পেরিয়ে গেলে নিবন্ধিত ব্যক্তির পরিবারের অন্য সদস্য তার পরিবর্তে শূন্য কোটায় হজে যেতে পারবেন।
এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এ জন্য প্রাক-নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। এ অবেদন আগামী ১০ মে’র মধ্যে করতে হবে।
যারা ২০২০ সালের হজে যাওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছিলেন এবং বয়স এরই মধ্যে ৬৫ বছর অতিক্রম করেছে, তাদের পরিবর্তে পরিবারের অন্য একজন সদস্য (৬৫ বছরের কম বয়সী) এ শূন্য কোটায় হজে যাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।
এতে আরো বলা হয়, এমন শূন্য কোটায় হজে যেতে আগ্রহী ব্যক্তিকে বেসরকারি এজেন্সির ক্ষেত্রে নিজ নিজ এজেন্সির মাধ্যমে, সরকারি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সরকারি ব্যবস্থাপনায় দ্রুত প্রাক-নিবন্ধন গ্রহণ করে আগামী ১০ মে’র মধ্যে প্রাক-নিবন্ধনের ট্র্যাকিং নম্বর এবং যার পরিবর্তে হজে যেতে চান তার ট্র্যাকিং নম্বর স্লিপসহ ঢাকার আশকোনায় হজ অফিসের পরিচালকের কাছে সরাসরি বা hajjofficeashkona@gmail.com ই-মেইলের মাধ্যমে লিখিতভাবে আবেদন করতে হবে। ওই সময়ের পর আর কোনো আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।
সৌদি আরবের প্রকাশিত হজ কোটা অনুযায়ী, বিশ্বের সর্ববৃহৎ মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়া থেকে এ বছর সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ হজ করার সুযোগ পাবেন। ইন্দোনেশিয়ার ১ লাখ ৫১ জন হজে অংশ নিতে পারবেন। এর পরই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮১ হাজার ১৩২ জন হজ করতে পারবেন পাকিস্তান থেকে। তৃতীয় স্থানে থাকা ভারতের ৭৯ হাজার ২৩৭ জন হজের সুযোগ পাবেন। এ ছাড়া চতুর্থ স্থানে থাকা বাংলাদেশের ৫৭ হাজার ৫৮৫ জন হজ করতে পারবেন।