ঢাকা ০৫:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘প্রতিবেশীদের সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক চায় বাংলাদেশ’

জাতীয় ডেস্কঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন বলেন, দক্ষিণ এশিয়াকে একটি শান্তিপূর্ণ অঞ্চল গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমরা ভারত ও অন্যান্য নিকট প্রতিবেশীর সঙ্গে সহযোগিতা করতে চাই। যাতে আমরা সুপ্রতিবেশী হিসেবে পাশাপাশি বাস করতে এবং জনগণের কল্যাণ আমরা করতে পারি।
আজ বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে যৌথভাবে খুলনা-কলকাতা ট্রেন সার্ভিস উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন তিনি।পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীও কলকাতা থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে সবুজ পতাকা নেড়ে এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তার নয়াদিল্লীর কার্যালয় থেকে সবুজ পতাকা নেড়ে প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।
তারা একই সঙ্গে ঢাকার সঙ্গে সিলেট এবং চট্টগ্রামের মধ্যে সংযোগকারী দুইটি রেল সেতু এবং ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের উভয় প্রান্তের বহিরাগমন ও কাস্টমস কার্যক্রমও উদ্বোধন করেন।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এবং ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীর- এমপি, গণভবন প্রান্তে এবং দ্বিতীয় ভৈরব সেতু এলাকায় অবস্থানরত রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধণ শ্রীংলা, এনবিআর-এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নজিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
নতুন দুইটি রেলসেতু হচ্ছে দ্বিতীয় ভৈরব এবং দ্বিতীয় তিতাস সেতু। এই দুইটি সেতু ভারতের লাইন অব ক্রেডিটে (এলওসি) ভৈরব এবং তিতাস নদীর ওপর নির্মিত হয়েছে।
দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী এই সম্পর্ক বজায় থাকা দুই দেশের উন্নয়নের জন্য জরুরি বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ক এ অঞ্চলে এবং অঞ্চল ছাড়িয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় পৌঁছানোর নতুন উদাহারণ সৃষ্টি করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি নিশ্চিত যে, আমাদের দুই দেশের জনগণের কল্যাণের জন্য আগামীতে এ ধরনের আরো অনেক আনন্দঘন মুহূর্ত অপেক্ষা করছে। আমাদের অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে আমি সবসময় আপনাদের সঙ্গে কাজ করায় অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় থাকবো।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের এই বন্ধন শুধু রেলের বন্ধন নয়, এর মাধ্যমে যাতে দুই দেশের জনগণের মাঝে একটি বন্ধন সৃষ্টি করে দেশের সার্বিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি, সেটাই আমাদের কাম্য।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, সুষমা স্বরাজ এবং মমতা ব্যানার্জীসহ ভারতের জনগণকে বিজয়া এবং দিওয়ালীর শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য শুরু করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যকার সম্পর্কের আরেকটি অনন্য দিন আজকে। আজ ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের উভয় প্রান্তের বহিরাগমন ও কাষ্টমস কার্যক্রম চালু, খুলনা-কলকাতা বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনের ফ্লাগিং আমরা করলাম, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এসব কার্যক্রম উদ্বোধন করতে পেরেছি এবং মমতাজি এখানে উপস্থিত আছেন, এটা যে আমরা সফলভাবে করতে পারলাম এজন্য সকলকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, উভয় কার্যক্রমের মাধ্যমে আমাদের দুই দেশের জনগণেরই একটি দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হলো। কলকাতার চিতপুরে নতুন আন্তর্জাতিক যাত্রী টার্মিনালসহ এসব উদ্যোগ ঢাকা-কলকাতা এবং খুলনা-কলকাতার মধ্যে আরামদায়ক ভ্রমণে সহায়ক হবে। বিশেষকরে যাত্রীরা খুবই সুবিধা পাবেন। বাসস
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে সাংবাদিকদের সাথে নবাগত ওসি’র মত বিনিময়

‘প্রতিবেশীদের সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক চায় বাংলাদেশ’

আপডেট সময় ১২:৪৭:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০১৭
জাতীয় ডেস্কঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন বলেন, দক্ষিণ এশিয়াকে একটি শান্তিপূর্ণ অঞ্চল গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমরা ভারত ও অন্যান্য নিকট প্রতিবেশীর সঙ্গে সহযোগিতা করতে চাই। যাতে আমরা সুপ্রতিবেশী হিসেবে পাশাপাশি বাস করতে এবং জনগণের কল্যাণ আমরা করতে পারি।
আজ বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে যৌথভাবে খুলনা-কলকাতা ট্রেন সার্ভিস উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন তিনি।পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীও কলকাতা থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে সবুজ পতাকা নেড়ে এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তার নয়াদিল্লীর কার্যালয় থেকে সবুজ পতাকা নেড়ে প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।
তারা একই সঙ্গে ঢাকার সঙ্গে সিলেট এবং চট্টগ্রামের মধ্যে সংযোগকারী দুইটি রেল সেতু এবং ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের উভয় প্রান্তের বহিরাগমন ও কাস্টমস কার্যক্রমও উদ্বোধন করেন।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এবং ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীর- এমপি, গণভবন প্রান্তে এবং দ্বিতীয় ভৈরব সেতু এলাকায় অবস্থানরত রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধণ শ্রীংলা, এনবিআর-এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নজিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
নতুন দুইটি রেলসেতু হচ্ছে দ্বিতীয় ভৈরব এবং দ্বিতীয় তিতাস সেতু। এই দুইটি সেতু ভারতের লাইন অব ক্রেডিটে (এলওসি) ভৈরব এবং তিতাস নদীর ওপর নির্মিত হয়েছে।
দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী এই সম্পর্ক বজায় থাকা দুই দেশের উন্নয়নের জন্য জরুরি বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ক এ অঞ্চলে এবং অঞ্চল ছাড়িয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় পৌঁছানোর নতুন উদাহারণ সৃষ্টি করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি নিশ্চিত যে, আমাদের দুই দেশের জনগণের কল্যাণের জন্য আগামীতে এ ধরনের আরো অনেক আনন্দঘন মুহূর্ত অপেক্ষা করছে। আমাদের অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে আমি সবসময় আপনাদের সঙ্গে কাজ করায় অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় থাকবো।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের এই বন্ধন শুধু রেলের বন্ধন নয়, এর মাধ্যমে যাতে দুই দেশের জনগণের মাঝে একটি বন্ধন সৃষ্টি করে দেশের সার্বিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি, সেটাই আমাদের কাম্য।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, সুষমা স্বরাজ এবং মমতা ব্যানার্জীসহ ভারতের জনগণকে বিজয়া এবং দিওয়ালীর শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য শুরু করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যকার সম্পর্কের আরেকটি অনন্য দিন আজকে। আজ ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের উভয় প্রান্তের বহিরাগমন ও কাষ্টমস কার্যক্রম চালু, খুলনা-কলকাতা বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনের ফ্লাগিং আমরা করলাম, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এসব কার্যক্রম উদ্বোধন করতে পেরেছি এবং মমতাজি এখানে উপস্থিত আছেন, এটা যে আমরা সফলভাবে করতে পারলাম এজন্য সকলকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, উভয় কার্যক্রমের মাধ্যমে আমাদের দুই দেশের জনগণেরই একটি দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হলো। কলকাতার চিতপুরে নতুন আন্তর্জাতিক যাত্রী টার্মিনালসহ এসব উদ্যোগ ঢাকা-কলকাতা এবং খুলনা-কলকাতার মধ্যে আরামদায়ক ভ্রমণে সহায়ক হবে। বিশেষকরে যাত্রীরা খুবই সুবিধা পাবেন। বাসস