ঢাকা ০৫:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের বাইরে মিললো ব্যাকটেরিয়া, ভিনগ্রহী বলে দাবি

 তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্কঃ
পৃথিবীকে প্রদক্ষিণরত আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের (আইএসএস) বাইরে জীবিত ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছেন এক রুশ নভোচারী। সম্প্রতি রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা তাস’কে দেয়া সাক্ষাৎকারে নভোচারী অ্যান্তন শ্কাপলেরভ বলেন, স্পেস স্টেশনের বাইরের দিকে পাওয়া গেছে ওই ব্যাকটেরিয়াগুলি।
তার মতে, ‘এগুলি বাইরের দুনিয়া থেকে এসেছে এবং স্পেস স্টেশনের বাইরে বাসা বেঁধেছে।’ অ্যান্তনের এই মন্তব্যের পরই বেশ হইচই পড়ে যায়। ডিসেম্বর মাসে এই অ্যান্তন শ্কাপলেরভের নেতৃত্বেই একটি রুশ মহাকাশচারী টিম যাবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে।
মহাকাশ স্টেশনের বাইরে প্রায়শই ‘স্পেসওয়াক’ করেন নভোচারীরা। স্পেসওয়াকের সময়ে নানা রকম নমুনা সংগ্রহ করে স্পেস স্টেশনে জড়ো করা হয়। পরে সেগুলি পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় পৃথিবীতে। অ্যান্তন জানিয়েছেন, এমনই এক স্পেসওয়াকের সময় নভোচারীরা যে নমুনা সংগ্রহ করেন, তার মধ্যে চলে আসে ব্যাকটেরিয়াগুলি।
তবে আদৌ কি ব্যাকটেরিয়াগুলি ভিনগ্রহের বাসিন্দা? বিষয়টি নিয়ে কয়েকটি সম্ভাব্য ব্যাখ্যা দিয়েছে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক। তাদের মতে, পৃথিবী থেকেই কোনোভাবে ব্যাকটেরিয়াগুলি পৌঁছে গেছে স্পেস স্টেশনে। তাই এখনই তাদের ভিনগ্রহের বাসিন্দা বলে দাবি করাটা ঠিক নয়। গবেষণার জন্য মাঝে মাঝেই পৃথিবী থেকে ব্যাকটেরিয়া বা মাইক্রোঅরগ্যানিজমের ‘স্যাম্পল’ নভোচারীরা নিয়ে যান স্পেস স্টেশনে। পৃথিবীর চেনা পরিবেশের বাইরে মহাকাশে ওই প্রাণিগুলির আচরণ কেমন সেটা বোঝার চেষ্টা করা হয়।
পরীক্ষা করে দেখা গেছে, স্পেস স্টেশনে পাওয়া ব্যাকটেরিয়াগুলি মাইনাস ১৫০ ডিগ্রি থেকে ১৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাতেও বহাল তবিয়তে বেঁচে থাকতে পারে। তাই মনে করা হচ্ছে, পৃথিবী থেকে নিয়ে যাওয়া কোনো স্যাম্পলের সঙ্গেই স্পেস স্টেশনে পাড়ি জমিয়েছে তারা। আবার অন্য একটি সম্ভাবনার কথাও উড়িয়ে দেয়া যায় না। সেটি হল, কোনোভাবে নভোচারীদের থেকেই সংক্রমণ ছড়িয়েছে স্পেস স্টেশনে। তাই শেষ পর্যন্ত একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। তবে এই বিষয়ে আরও খোঁজাখুঁজি চলবে বলেই জানিয়েছে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক।

পৃথিবীকে প্রদক্ষিণরত আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের (আইএসএস) বাইরে জীবিত ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছেন এক রুশ নভোচারী। সম্প্রতি রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা তাস’কে দেয়া সাক্ষাৎকারে নভোচারী অ্যান্তন শ্কাপলেরভ বলেন, স্পেস স্টেশনের বাইরের দিকে পাওয়া গেছে ওই ব্যাকটেরিয়াগুলি।
তার মতে, ‘এগুলি বাইরের দুনিয়া থেকে এসেছে এবং স্পেস স্টেশনের বাইরে বাসা বেঁধেছে।’ অ্যান্তনের এই মন্তব্যের পরই বেশ হইচই পড়ে যায়। ডিসেম্বর মাসে এই অ্যান্তন শ্কাপলেরভের নেতৃত্বেই একটি রুশ মহাকাশচারী টিম যাবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে।
মহাকাশ স্টেশনের বাইরে প্রায়শই ‘স্পেসওয়াক’ করেন নভোচারীরা। স্পেসওয়াকের সময়ে নানা রকম নমুনা সংগ্রহ করে স্পেস স্টেশনে জড়ো করা হয়। পরে সেগুলি পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় পৃথিবীতে। অ্যান্তন জানিয়েছেন, এমনই এক স্পেসওয়াকের সময় নভোচারীরা যে নমুনা সংগ্রহ করেন, তার মধ্যে চলে আসে ব্যাকটেরিয়াগুলি।
তবে আদৌ কি ব্যাকটেরিয়াগুলি ভিনগ্রহের বাসিন্দা? বিষয়টি নিয়ে কয়েকটি সম্ভাব্য ব্যাখ্যা দিয়েছে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক। তাদের মতে, পৃথিবী থেকেই কোনোভাবে ব্যাকটেরিয়াগুলি পৌঁছে গেছে স্পেস স্টেশনে। তাই এখনই তাদের ভিনগ্রহের বাসিন্দা বলে দাবি করাটা ঠিক নয়। গবেষণার জন্য মাঝে মাঝেই পৃথিবী থেকে ব্যাকটেরিয়া বা মাইক্রোঅরগ্যানিজমের ‘স্যাম্পল’ নভোচারীরা নিয়ে যান স্পেস স্টেশনে। পৃথিবীর চেনা পরিবেশের বাইরে মহাকাশে ওই প্রাণিগুলির আচরণ কেমন সেটা বোঝার চেষ্টা করা হয়।
পরীক্ষা করে দেখা গেছে, স্পেস স্টেশনে পাওয়া ব্যাকটেরিয়াগুলি মাইনাস ১৫০ ডিগ্রি থেকে ১৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাতেও বহাল তবিয়তে বেঁচে থাকতে পারে। তাই মনে করা হচ্ছে, পৃথিবী থেকে নিয়ে যাওয়া কোনো স্যাম্পলের সঙ্গেই স্পেস স্টেশনে পাড়ি জমিয়েছে তারা। আবার অন্য একটি সম্ভাবনার কথাও উড়িয়ে দেয়া যায় না। সেটি হল, কোনোভাবে নভোচারীদের থেকেই সংক্রমণ ছড়িয়েছে স্পেস স্টেশনে। তাই শেষ পর্যন্ত একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। তবে এই বিষয়ে আরও খোঁজাখুঁজি চলবে বলেই জানিয়েছে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে ব্যবসায়ীর নামে মিথ্যা খবর প্রচার করে হয়রানির অভিযোগ

আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের বাইরে মিললো ব্যাকটেরিয়া, ভিনগ্রহী বলে দাবি

আপডেট সময় ১২:৪৯:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০১৭
 তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্কঃ
পৃথিবীকে প্রদক্ষিণরত আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের (আইএসএস) বাইরে জীবিত ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছেন এক রুশ নভোচারী। সম্প্রতি রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা তাস’কে দেয়া সাক্ষাৎকারে নভোচারী অ্যান্তন শ্কাপলেরভ বলেন, স্পেস স্টেশনের বাইরের দিকে পাওয়া গেছে ওই ব্যাকটেরিয়াগুলি।
তার মতে, ‘এগুলি বাইরের দুনিয়া থেকে এসেছে এবং স্পেস স্টেশনের বাইরে বাসা বেঁধেছে।’ অ্যান্তনের এই মন্তব্যের পরই বেশ হইচই পড়ে যায়। ডিসেম্বর মাসে এই অ্যান্তন শ্কাপলেরভের নেতৃত্বেই একটি রুশ মহাকাশচারী টিম যাবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে।
মহাকাশ স্টেশনের বাইরে প্রায়শই ‘স্পেসওয়াক’ করেন নভোচারীরা। স্পেসওয়াকের সময়ে নানা রকম নমুনা সংগ্রহ করে স্পেস স্টেশনে জড়ো করা হয়। পরে সেগুলি পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় পৃথিবীতে। অ্যান্তন জানিয়েছেন, এমনই এক স্পেসওয়াকের সময় নভোচারীরা যে নমুনা সংগ্রহ করেন, তার মধ্যে চলে আসে ব্যাকটেরিয়াগুলি।
তবে আদৌ কি ব্যাকটেরিয়াগুলি ভিনগ্রহের বাসিন্দা? বিষয়টি নিয়ে কয়েকটি সম্ভাব্য ব্যাখ্যা দিয়েছে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক। তাদের মতে, পৃথিবী থেকেই কোনোভাবে ব্যাকটেরিয়াগুলি পৌঁছে গেছে স্পেস স্টেশনে। তাই এখনই তাদের ভিনগ্রহের বাসিন্দা বলে দাবি করাটা ঠিক নয়। গবেষণার জন্য মাঝে মাঝেই পৃথিবী থেকে ব্যাকটেরিয়া বা মাইক্রোঅরগ্যানিজমের ‘স্যাম্পল’ নভোচারীরা নিয়ে যান স্পেস স্টেশনে। পৃথিবীর চেনা পরিবেশের বাইরে মহাকাশে ওই প্রাণিগুলির আচরণ কেমন সেটা বোঝার চেষ্টা করা হয়।
পরীক্ষা করে দেখা গেছে, স্পেস স্টেশনে পাওয়া ব্যাকটেরিয়াগুলি মাইনাস ১৫০ ডিগ্রি থেকে ১৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাতেও বহাল তবিয়তে বেঁচে থাকতে পারে। তাই মনে করা হচ্ছে, পৃথিবী থেকে নিয়ে যাওয়া কোনো স্যাম্পলের সঙ্গেই স্পেস স্টেশনে পাড়ি জমিয়েছে তারা। আবার অন্য একটি সম্ভাবনার কথাও উড়িয়ে দেয়া যায় না। সেটি হল, কোনোভাবে নভোচারীদের থেকেই সংক্রমণ ছড়িয়েছে স্পেস স্টেশনে। তাই শেষ পর্যন্ত একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। তবে এই বিষয়ে আরও খোঁজাখুঁজি চলবে বলেই জানিয়েছে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক।

পৃথিবীকে প্রদক্ষিণরত আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের (আইএসএস) বাইরে জীবিত ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছেন এক রুশ নভোচারী। সম্প্রতি রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা তাস’কে দেয়া সাক্ষাৎকারে নভোচারী অ্যান্তন শ্কাপলেরভ বলেন, স্পেস স্টেশনের বাইরের দিকে পাওয়া গেছে ওই ব্যাকটেরিয়াগুলি।
তার মতে, ‘এগুলি বাইরের দুনিয়া থেকে এসেছে এবং স্পেস স্টেশনের বাইরে বাসা বেঁধেছে।’ অ্যান্তনের এই মন্তব্যের পরই বেশ হইচই পড়ে যায়। ডিসেম্বর মাসে এই অ্যান্তন শ্কাপলেরভের নেতৃত্বেই একটি রুশ মহাকাশচারী টিম যাবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে।
মহাকাশ স্টেশনের বাইরে প্রায়শই ‘স্পেসওয়াক’ করেন নভোচারীরা। স্পেসওয়াকের সময়ে নানা রকম নমুনা সংগ্রহ করে স্পেস স্টেশনে জড়ো করা হয়। পরে সেগুলি পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় পৃথিবীতে। অ্যান্তন জানিয়েছেন, এমনই এক স্পেসওয়াকের সময় নভোচারীরা যে নমুনা সংগ্রহ করেন, তার মধ্যে চলে আসে ব্যাকটেরিয়াগুলি।
তবে আদৌ কি ব্যাকটেরিয়াগুলি ভিনগ্রহের বাসিন্দা? বিষয়টি নিয়ে কয়েকটি সম্ভাব্য ব্যাখ্যা দিয়েছে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক। তাদের মতে, পৃথিবী থেকেই কোনোভাবে ব্যাকটেরিয়াগুলি পৌঁছে গেছে স্পেস স্টেশনে। তাই এখনই তাদের ভিনগ্রহের বাসিন্দা বলে দাবি করাটা ঠিক নয়। গবেষণার জন্য মাঝে মাঝেই পৃথিবী থেকে ব্যাকটেরিয়া বা মাইক্রোঅরগ্যানিজমের ‘স্যাম্পল’ নভোচারীরা নিয়ে যান স্পেস স্টেশনে। পৃথিবীর চেনা পরিবেশের বাইরে মহাকাশে ওই প্রাণিগুলির আচরণ কেমন সেটা বোঝার চেষ্টা করা হয়।
পরীক্ষা করে দেখা গেছে, স্পেস স্টেশনে পাওয়া ব্যাকটেরিয়াগুলি মাইনাস ১৫০ ডিগ্রি থেকে ১৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাতেও বহাল তবিয়তে বেঁচে থাকতে পারে। তাই মনে করা হচ্ছে, পৃথিবী থেকে নিয়ে যাওয়া কোনো স্যাম্পলের সঙ্গেই স্পেস স্টেশনে পাড়ি জমিয়েছে তারা। আবার অন্য একটি সম্ভাবনার কথাও উড়িয়ে দেয়া যায় না। সেটি হল, কোনোভাবে নভোচারীদের থেকেই সংক্রমণ ছড়িয়েছে স্পেস স্টেশনে। তাই শেষ পর্যন্ত একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। তবে এই বিষয়ে আরও খোঁজাখুঁজি চলবে বলেই জানিয়েছে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক।