ঢাকা ১১:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চৌদ্দগ্রামে পরীক্ষা না দিয়ে পাস ২ শিক্ষার্থী

কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা না দিয়ে দুই শিক্ষার্থী পাস করার ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় চলছে। কর্তৃপক্ষের দুর্নীতির কারণে এ ফলাফলে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
পরীক্ষা না দিয়ে পাস করা শিক্ষার্থীরা হচ্ছে- জগন্নাথদীঘি ইউনিয়নের বেতিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র এবায়দুল হোসেন (রোল-৭৬৮২) ও মুন্সিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী মোসা. সাথি আক্তার (রোল-৪৪৭০)। এবায়দুল পেয়েছে জিপিএ-৩ দশমিক ৫৮। তার মোট নম্বর ৩৭৮। সাথি আক্তার পেয়েছে জিপিএ-২ দশমিক ৫০। তার মোট নম্বর ৩০৫।
জানা গেছে, সারাদেশে শনিবার একযোগে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা ২০১৭ এর ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এরমধ্যে চৌদ্দগ্রামের বেতিয়ারা ও মুন্সিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী পরীক্ষা না দিয়েও পাস করায় শিক্ষকরা হতভম্ব হয়ে পড়েন। অবাক হন দুই শিক্ষার্থীরা পিতা-মাতাও। পুরো এলাকায় আলোচনা-সমালোচনা চলছে শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে। তথ্যটি স্বীকার করেছেন বেতিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হামিদা আক্তার ও মুন্সিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুশিউর রহমান।
ভুলের ঘটনাটি জানাজানি হওয়ায় অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘মিথ্যা তথ্যে ভাগ্য খুলেছে এয়াদুল ও সাথি আক্তারের’। এ যদি শিক্ষার অবস্থা তাহলে কোমলমতি শিশুরা আর কি শিখবে?
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফাতেমা নাসরিন বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে জেনেছি। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে ভুল সংশোধনের চেষ্টা চলছে। অপরদিকে কুমিল্লা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে শিক্ষকদের জাতীয়করণ ও শিক্ষা কমিশন গঠনের দাবিতে মানববন্ধন

চৌদ্দগ্রামে পরীক্ষা না দিয়ে পাস ২ শিক্ষার্থী

আপডেট সময় ১২:৪৩:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জানুয়ারী ২০১৮
কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা না দিয়ে দুই শিক্ষার্থী পাস করার ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় চলছে। কর্তৃপক্ষের দুর্নীতির কারণে এ ফলাফলে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
পরীক্ষা না দিয়ে পাস করা শিক্ষার্থীরা হচ্ছে- জগন্নাথদীঘি ইউনিয়নের বেতিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র এবায়দুল হোসেন (রোল-৭৬৮২) ও মুন্সিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী মোসা. সাথি আক্তার (রোল-৪৪৭০)। এবায়দুল পেয়েছে জিপিএ-৩ দশমিক ৫৮। তার মোট নম্বর ৩৭৮। সাথি আক্তার পেয়েছে জিপিএ-২ দশমিক ৫০। তার মোট নম্বর ৩০৫।
জানা গেছে, সারাদেশে শনিবার একযোগে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা ২০১৭ এর ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এরমধ্যে চৌদ্দগ্রামের বেতিয়ারা ও মুন্সিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী পরীক্ষা না দিয়েও পাস করায় শিক্ষকরা হতভম্ব হয়ে পড়েন। অবাক হন দুই শিক্ষার্থীরা পিতা-মাতাও। পুরো এলাকায় আলোচনা-সমালোচনা চলছে শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে। তথ্যটি স্বীকার করেছেন বেতিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হামিদা আক্তার ও মুন্সিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুশিউর রহমান।
ভুলের ঘটনাটি জানাজানি হওয়ায় অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘মিথ্যা তথ্যে ভাগ্য খুলেছে এয়াদুল ও সাথি আক্তারের’। এ যদি শিক্ষার অবস্থা তাহলে কোমলমতি শিশুরা আর কি শিখবে?
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফাতেমা নাসরিন বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে জেনেছি। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে ভুল সংশোধনের চেষ্টা চলছে। অপরদিকে কুমিল্লা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।