ঢাকা ০৭:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লায় শিশু হত্যা মামলায় দুই আসামির যাবজ্জীবন

কুমিল্লা প্রতিনিধি:

কুমিল্লায় শিশু শিক্ষার্থী জারিন নুসাইবা ফুল (৮) হত্যা মামলায় আদালত রুবেল (১৯) ও আবদুল্লাহ আল মামুন প্রিয় (১৯) নামে দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছে।

 

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছে- জেলার চান্দিনা উপজেলার কঙ্গাই গ্রামের রমিজ উদ্দিনের পুত্র রুবেল ও কোতয়ালী মডেল থানার পশ্চিম বাগিচাগাঁও এলাকার সেলিম চৌধুরীর পুত্র আবদুল্লাহ আল মামুন প্রিয়। নিহত শিশু জারিন নুসাইবা ফুল কুমিল্লা নগরীর নুরপুর পূর্বপাড়া কাজী বাড়ির জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে এবং সে হাউজিং এস্টেটস্থ বুলবুল প্রি-ক্যাডেট কিন্ডার গার্টেনের কেজি শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৪ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ফুলকে তার বাড়ির সামনে থেকে অপহরণ করা হয়। এরপর অপহরণকারীরা তার নানা সামছুল আলমের মোবাইল ফোনে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এ ঘটনায় ফুলের বাবা বাদী হয়ে ৫ জানুয়ারি কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় কুমিল্লা জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণের নাইট গার্ড ও জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার ভোলাকোট গ্রামের আবু মিয়ার পুত্র মো. শাহাদাৎ হোসেনকে (৩০) একমাত্র এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনকে আসামি করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সামছুদ্দিন চৌধুরী মোবাইল ট্রেকিংয়ের মাধ্যমে প্রথমে রুবেলকে আটক করেন। তার দেয়া স্বীকারোক্তি মতে ঘটনার ৫দিন পর ৯ জানুয়ারি নুরপুর কাজী বাড়ি পুকুর থেকে ফুলের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয় এবং আবদুল্লাহ আল মামুন প্রিয় নামে অপর এক আসামিকে গ্রেফতার করে।

এছাড়া পুলিশ এ ঘটনার সঙ্গে নিহত ফুলের সম্পর্কীয় মামা নুরপুর কাজী বাড়ির কাজী জহিরুল আলমের ছেলে দিদারুল আলম ইমতিয়াজের (১৮) সম্পৃক্ততা খুঁজে পায় এবং পরবর্তীতে সে অপর একটি সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত হয়। পুলিশ ওই বছরের ২৬ জুন মামলার এজাহারনামীয় আসামি মো. শাহাদাৎ হোসেন ও নিহত হওয়ার কারণে দিদারুল আলম ইমতিয়াজকে মামলার অভিযোগের দায় থেকে বাদ দেয়ার আবেদন জানিয়ে রুবেল ও আবদুল্লাহ আল মামুন প্রিয় এর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। আদালত দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে সোমবার দুপুরে চার্জশিটভুক্ত দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন। এসময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিল। সরকারপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আদালতের পিপি প্রদীপ কুমার দত্ত।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে ৪৬তম জাতীয় বিজ্ঞান মেলার পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠিত

কুমিল্লায় শিশু হত্যা মামলায় দুই আসামির যাবজ্জীবন

আপডেট সময় ০১:০৫:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ জুলাই ২০১৯
কুমিল্লা প্রতিনিধি:

কুমিল্লায় শিশু শিক্ষার্থী জারিন নুসাইবা ফুল (৮) হত্যা মামলায় আদালত রুবেল (১৯) ও আবদুল্লাহ আল মামুন প্রিয় (১৯) নামে দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছে।

 

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছে- জেলার চান্দিনা উপজেলার কঙ্গাই গ্রামের রমিজ উদ্দিনের পুত্র রুবেল ও কোতয়ালী মডেল থানার পশ্চিম বাগিচাগাঁও এলাকার সেলিম চৌধুরীর পুত্র আবদুল্লাহ আল মামুন প্রিয়। নিহত শিশু জারিন নুসাইবা ফুল কুমিল্লা নগরীর নুরপুর পূর্বপাড়া কাজী বাড়ির জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে এবং সে হাউজিং এস্টেটস্থ বুলবুল প্রি-ক্যাডেট কিন্ডার গার্টেনের কেজি শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৪ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ফুলকে তার বাড়ির সামনে থেকে অপহরণ করা হয়। এরপর অপহরণকারীরা তার নানা সামছুল আলমের মোবাইল ফোনে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এ ঘটনায় ফুলের বাবা বাদী হয়ে ৫ জানুয়ারি কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় কুমিল্লা জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণের নাইট গার্ড ও জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার ভোলাকোট গ্রামের আবু মিয়ার পুত্র মো. শাহাদাৎ হোসেনকে (৩০) একমাত্র এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনকে আসামি করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সামছুদ্দিন চৌধুরী মোবাইল ট্রেকিংয়ের মাধ্যমে প্রথমে রুবেলকে আটক করেন। তার দেয়া স্বীকারোক্তি মতে ঘটনার ৫দিন পর ৯ জানুয়ারি নুরপুর কাজী বাড়ি পুকুর থেকে ফুলের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয় এবং আবদুল্লাহ আল মামুন প্রিয় নামে অপর এক আসামিকে গ্রেফতার করে।

এছাড়া পুলিশ এ ঘটনার সঙ্গে নিহত ফুলের সম্পর্কীয় মামা নুরপুর কাজী বাড়ির কাজী জহিরুল আলমের ছেলে দিদারুল আলম ইমতিয়াজের (১৮) সম্পৃক্ততা খুঁজে পায় এবং পরবর্তীতে সে অপর একটি সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত হয়। পুলিশ ওই বছরের ২৬ জুন মামলার এজাহারনামীয় আসামি মো. শাহাদাৎ হোসেন ও নিহত হওয়ার কারণে দিদারুল আলম ইমতিয়াজকে মামলার অভিযোগের দায় থেকে বাদ দেয়ার আবেদন জানিয়ে রুবেল ও আবদুল্লাহ আল মামুন প্রিয় এর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। আদালত দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে সোমবার দুপুরে চার্জশিটভুক্ত দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন। এসময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিল। সরকারপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আদালতের পিপি প্রদীপ কুমার দত্ত।