তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক:
হাজারো ব্যস্ততার মধ্যে হঠাৎ ফোন বেজে উঠল, আপনি সব কাজ ছেড়ে ফোনটি ধরলেন, কিন্তু সেই ফোনটি আসলে ধরার কোনো প্রয়োজনই ছিল না, তখন মেজাজটা কেমন খারাপ হয় বলুন? দিনভর একাধিক স্প্যাম কল বিরক্ত করতে থাকে। কাস্টমার কেয়ার সার্ভিস, জীবনবিমা, ক্রেডিট কার্ড পরিষেবা প্রভৃতি জায়গা থেকে ফোন আসে, যা সাধারণত কাজের থেকে অকাজেরই বেশি হয়। এর থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় আছে।
সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সহজ পদ্ধতি। ডু নট ডিসটার্ব সার্ভিস। কীভাবে অ্যাকটিভেট করবেন? খুব সহজ। ‘Start 0’ টাইপ করে একই নম্বরে এসএমএস পাঠান। ব্যস, আপনার কাজ শেষ। ভয়েস কল অথবা এসএমএসের কয়েক ঘণ্টা পরই স্প্যাম কল আসা বন্ধ হয়ে যাবে।
অবাঞ্ছিত কলটির নম্বর দেখে সেটিকে ব্লক লিস্টে ফেলে দিন। তাছাড়া ট্রু কলারের মতো কোনো অ্যাপ ব্যবহার করলে ফোন রিসিভ করার আগেই দেখিয়ে দেয় সেটি স্প্যাম কল কি না। ফোন বাজলে কলটি কেটে নম্বরটি ব্লক করে দিলেই সমস্যা শেষ।
আপনার স্মার্টফোনেই রিপোর্ট স্প্যাম অপশনটি পাবেন। যদি কোনো নম্বর থেকে লাগাতার ফোন আসে তবে সরকারের কাছে অনলাইনে অভিযোগও জানাতে পারেন।
নানা অনলাইন সাইটে সার্ফিং করতে গেলে আপনার মোবাইল নম্বরটি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে বলে। আপনিও নানা তথ্য পেতে তা করেও দেন। কিন্তু সমস্ত ওয়েবসাইটে মোবাইল নম্বর দেওয়া মানে নিজের বিপদই বাড়ানো। কারণ অনেক ওয়েবসাইটই স্প্যামারদের মোবাইল নম্বর বিক্রি করে।
গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে সার্চ করলেই একাধিক স্প্যাম কল ব্লকার অ্যাপ পাওয়া যাবে। সেটি ডাউনলোড করে ইনস্টল করে নিন। তাহলে আর অবাঞ্ছিত কল নিয়ে সমস্যায় পড়তে হবে না।