ঢাকা ০৯:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হোমনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪০ বছর পর সিজারিয়ান অপারেশন

হোমনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:

প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ চল্লিশ বছর পর কুমিল্লার হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রথম সিজারিয়ান অপারেশন হয়েছে। অপারেশন থিয়েটারের অভাবে দীর্ঘদিন এ সরকারি হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়নি।

মঙ্গলবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন জোবেদা আক্তার। তিন ঘণ্টা পর চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফদের সহযোগিতায় সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে একটি কন্যা সন্তান প্রসব করেন জোবেদা। এতে সবার মুখেই ফুটে ওঠে খুশির ঝিলিক।

 

জানা গেছে, প্রসূতির শারীরিক অবস্থা তেমন ভালো ছিল না। ফ্লুইডের পরিমাণ অনেক কমে গিয়েছিল, বেবির মুভমেন্ট এবং অবস্থা স্বাভাবিক প্রসবের পর্যায় থেকে কিছুটা জটিল ছিল। এমন পরিস্থিতিতে রোগীর স্বজনরা বাইরের ক্লিনিকে নিয়ে সিজারিয়ান অপারেশন করার কথা ভাবেন। রোগীর আর্থিক স্বচ্ছলতাও তেমন নেই। বেসরকারি ক্লিনিকগুলোতে অনেক খরচের ব্যাপার নিয়ে চিন্তায় পড়েন তারা। জোবেদার স্বজনদের সম্মতি নিয়ে সরকারি হাসপাতালেই সিজারিয়ান অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।  এতদিন কোনো ধরনের অপারেশন হতো না ৫০ শয্যার এ সরকারি হাসপাতালটিতে। ১০ থেকে ১৫ দিন আগেই হাসপাতালে একটি  অপারেশন থিয়েটার সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সরফরাজ হোসেন খান (এনেসিওলজিস্ট), ডা. আখতার আলম (সার্জন), ডা. সুব্রত, সিনিয়র স্টাফ নার্স জাহানারা, জেসমিন, রুমি আক্তার, ওটি বয় মনির হোসেন ও রুহুল আমিনের সহযোগিতায় প্রসূতির সিজারিয়ান অপারেশনের থিয়েটারটি চালু হয়। এর মাধ্যমে উপজেলাবাসীর দীর্ঘ চল্লিশ বছরের প্রত্যাশা পূরণ হলো।

এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সরফরাজ হোসেন খান বলেন, নানা জটিলতা নিয়ে প্রসূতি জোবেদা ভর্তি হন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। পরে তারা প্রাইভেট ক্লিনিকে সিজারিয়ান অপারেশন করানোর পরিকল্পনা করছিলেন। সরকারি হাসপাতালে বিনা খরচে প্রশিক্ষিত চিকিৎসক ও নার্সদের সহযোগিতায় দীর্ঘ চল্লিশ বছর পর হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রথম সিজারিয়ান অপারেশন করেছি। বর্তমানে মা ও শিশু দুজনেই ভালো আছেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে ৪৬তম জাতীয় বিজ্ঞান মেলার পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠিত

হোমনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪০ বছর পর সিজারিয়ান অপারেশন

আপডেট সময় ০৭:১৩:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ অগাস্ট ২০১৯
হোমনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:

প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ চল্লিশ বছর পর কুমিল্লার হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রথম সিজারিয়ান অপারেশন হয়েছে। অপারেশন থিয়েটারের অভাবে দীর্ঘদিন এ সরকারি হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়নি।

মঙ্গলবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন জোবেদা আক্তার। তিন ঘণ্টা পর চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফদের সহযোগিতায় সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে একটি কন্যা সন্তান প্রসব করেন জোবেদা। এতে সবার মুখেই ফুটে ওঠে খুশির ঝিলিক।

 

জানা গেছে, প্রসূতির শারীরিক অবস্থা তেমন ভালো ছিল না। ফ্লুইডের পরিমাণ অনেক কমে গিয়েছিল, বেবির মুভমেন্ট এবং অবস্থা স্বাভাবিক প্রসবের পর্যায় থেকে কিছুটা জটিল ছিল। এমন পরিস্থিতিতে রোগীর স্বজনরা বাইরের ক্লিনিকে নিয়ে সিজারিয়ান অপারেশন করার কথা ভাবেন। রোগীর আর্থিক স্বচ্ছলতাও তেমন নেই। বেসরকারি ক্লিনিকগুলোতে অনেক খরচের ব্যাপার নিয়ে চিন্তায় পড়েন তারা। জোবেদার স্বজনদের সম্মতি নিয়ে সরকারি হাসপাতালেই সিজারিয়ান অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।  এতদিন কোনো ধরনের অপারেশন হতো না ৫০ শয্যার এ সরকারি হাসপাতালটিতে। ১০ থেকে ১৫ দিন আগেই হাসপাতালে একটি  অপারেশন থিয়েটার সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সরফরাজ হোসেন খান (এনেসিওলজিস্ট), ডা. আখতার আলম (সার্জন), ডা. সুব্রত, সিনিয়র স্টাফ নার্স জাহানারা, জেসমিন, রুমি আক্তার, ওটি বয় মনির হোসেন ও রুহুল আমিনের সহযোগিতায় প্রসূতির সিজারিয়ান অপারেশনের থিয়েটারটি চালু হয়। এর মাধ্যমে উপজেলাবাসীর দীর্ঘ চল্লিশ বছরের প্রত্যাশা পূরণ হলো।

এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সরফরাজ হোসেন খান বলেন, নানা জটিলতা নিয়ে প্রসূতি জোবেদা ভর্তি হন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। পরে তারা প্রাইভেট ক্লিনিকে সিজারিয়ান অপারেশন করানোর পরিকল্পনা করছিলেন। সরকারি হাসপাতালে বিনা খরচে প্রশিক্ষিত চিকিৎসক ও নার্সদের সহযোগিতায় দীর্ঘ চল্লিশ বছর পর হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রথম সিজারিয়ান অপারেশন করেছি। বর্তমানে মা ও শিশু দুজনেই ভালো আছেন।