ঢাকা ০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেবিদ্বারে এসএসসি পরীক্ষায় নকল সরবরাহের দায়ে শিক্ষককে ২মাসের জেল

কুমিল্লা প্রতিনিধি :

কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলায় এস,এস,সি পরীক্ষায় নকল সরবরাহের দায়ে এক শিক্ষককে ২মাসের কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।

রবিবার সকালে উপজেলার খলিলপুর উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে এস,এস,সি’র ইংরেজী দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা চলাকালে খলিলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের খন্ডকালীন শিক্ষক মোঃ নজরুল ইসলামকে নকলসহ আটক করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও দেবিদ্বার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাহিদা আক্তার।

এ সময় বিদ্যালয়ের একটি পকেট গেইট থেকে তার সাথে থাকা ২টা ইংরেজী দ্বিতীয় পত্রের গাইড বই, ১নং প্রশ্নের প্রশ্নের উত্তর লিখা একটি চিরকুট ও একটি মোবইল ফোন সেট উদ্ধার করেন। মোবাইল ফোন সেটে দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্ন সরবরাহের কপি এবং ইংরেজী প্রথম পত্রের প্রশ্নও পাওয়া যায়। আটক শিক্ষক উক্ত বিদ্যালয়ের খন্ডকালীন শিক্ষক ছিলেন। তিনি উপজেলার হেতিমপুর গ্রামের আলহাজ নসু মিয়ার পুত্র।

ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করার পর জিজ্ঞাসাবাদে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও দেবিদ্বার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাহিদা আক্তারের নিকট ঘটনার সত্যতা স্বীকার করায় তাকে ১৪৪ ধারা ভঙ্গের অপরাধে ১৭৮ দন্ড বিধিতে ২ মাসের বিনাশ্রমে কারাদন্ডাদেশ দিয়ে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করেন।

উল্লেখ্য গত ৩ ফেব্রুয়ারী উক্ত কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষা চলাকালে এমসিকিউ প্রশ্নপত্র বিরণের সময় ৭নং কক্ষে ২ অনিয়মিত শিক্ষার্থীর স্থলে ২০২০ সালের নিয়মিত ২০ পরীক্ষার্থীর হাতে ২০১৮ সালের অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হয়। পরীক্ষার ১৫মিনিট পর বিষয়টি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের নজরে আসলেও পুরনো প্রশ্নপত্র উদ্ধার করে সময় বাড়িয়ে নতুন প্রশ্নের উত্তর গ্রহণ করেন। তার পরও ৩ নিয়মিত শিক্ষার্থী অনিয়মিত এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আসেন। ওই ঘটনায় কেন্দ্র সচিব ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ নজরুল ইসলামকে অব্যাহতি দিয়ে বুড়িরপাড় উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বশির আহমেদ সরকারকে কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব দেয়া হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও দেবিদ্বার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাহিদা আক্তার জানান, পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনকালে বিদ্যালয়ের মেইন ফটকে না ঢুকে পেছন দিয়ে যাই। এসময় বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর ঘেসে আরো তিনটি পকেট গেইট দেখতে পাই। ওই ৩টি গেইটের একটি দিয়ে ভেতরে যাওয়ার পথে হাতে গাইড বইসহ এক লোককে দাড়িয়ে থাকতে দেখি, সে এখানে কেন জানতে চাইলে দৌড়ে পালাবার চেষ্টা করে। আমি ও আমার গাড়ির চালক দৌড়ে যেয়ে তাকে আটক করি। এরই মধ্যে ৩বার পালাবার চেষ্টা করেছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে ৪৬তম জাতীয় বিজ্ঞান মেলার পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠিত

দেবিদ্বারে এসএসসি পরীক্ষায় নকল সরবরাহের দায়ে শিক্ষককে ২মাসের জেল

আপডেট সময় ০৩:১৮:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২০

কুমিল্লা প্রতিনিধি :

কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলায় এস,এস,সি পরীক্ষায় নকল সরবরাহের দায়ে এক শিক্ষককে ২মাসের কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।

রবিবার সকালে উপজেলার খলিলপুর উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে এস,এস,সি’র ইংরেজী দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা চলাকালে খলিলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের খন্ডকালীন শিক্ষক মোঃ নজরুল ইসলামকে নকলসহ আটক করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও দেবিদ্বার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাহিদা আক্তার।

এ সময় বিদ্যালয়ের একটি পকেট গেইট থেকে তার সাথে থাকা ২টা ইংরেজী দ্বিতীয় পত্রের গাইড বই, ১নং প্রশ্নের প্রশ্নের উত্তর লিখা একটি চিরকুট ও একটি মোবইল ফোন সেট উদ্ধার করেন। মোবাইল ফোন সেটে দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্ন সরবরাহের কপি এবং ইংরেজী প্রথম পত্রের প্রশ্নও পাওয়া যায়। আটক শিক্ষক উক্ত বিদ্যালয়ের খন্ডকালীন শিক্ষক ছিলেন। তিনি উপজেলার হেতিমপুর গ্রামের আলহাজ নসু মিয়ার পুত্র।

ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করার পর জিজ্ঞাসাবাদে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও দেবিদ্বার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাহিদা আক্তারের নিকট ঘটনার সত্যতা স্বীকার করায় তাকে ১৪৪ ধারা ভঙ্গের অপরাধে ১৭৮ দন্ড বিধিতে ২ মাসের বিনাশ্রমে কারাদন্ডাদেশ দিয়ে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করেন।

উল্লেখ্য গত ৩ ফেব্রুয়ারী উক্ত কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষা চলাকালে এমসিকিউ প্রশ্নপত্র বিরণের সময় ৭নং কক্ষে ২ অনিয়মিত শিক্ষার্থীর স্থলে ২০২০ সালের নিয়মিত ২০ পরীক্ষার্থীর হাতে ২০১৮ সালের অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হয়। পরীক্ষার ১৫মিনিট পর বিষয়টি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের নজরে আসলেও পুরনো প্রশ্নপত্র উদ্ধার করে সময় বাড়িয়ে নতুন প্রশ্নের উত্তর গ্রহণ করেন। তার পরও ৩ নিয়মিত শিক্ষার্থী অনিয়মিত এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আসেন। ওই ঘটনায় কেন্দ্র সচিব ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ নজরুল ইসলামকে অব্যাহতি দিয়ে বুড়িরপাড় উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বশির আহমেদ সরকারকে কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব দেয়া হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও দেবিদ্বার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাহিদা আক্তার জানান, পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনকালে বিদ্যালয়ের মেইন ফটকে না ঢুকে পেছন দিয়ে যাই। এসময় বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর ঘেসে আরো তিনটি পকেট গেইট দেখতে পাই। ওই ৩টি গেইটের একটি দিয়ে ভেতরে যাওয়ার পথে হাতে গাইড বইসহ এক লোককে দাড়িয়ে থাকতে দেখি, সে এখানে কেন জানতে চাইলে দৌড়ে পালাবার চেষ্টা করে। আমি ও আমার গাড়ির চালক দৌড়ে যেয়ে তাকে আটক করি। এরই মধ্যে ৩বার পালাবার চেষ্টা করেছে।