ঢাকা ০১:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৩০ মিনিটে পৃথিবী ছাই করে দিতে পারে যে ৫ সাবমেরিন!

তথ্যপ্রযুক্তি :

পৃথিবীর পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো কী পরিমান ভয়ঙ্কর অস্ত্র তৈরি করে রেখেছে তা কল্পনা করাও কঠিন। মানুষের আবাসস্থল এই পৃথিবী ধ্বংস করে দিতে তাদের ৩০ মিনিটের বেশি সময় লাগবে না। আর এই কর্মটি সাধন করতে পারে দুটি দেশের মাত্র ৫টি সাবমেরিন বা ডুবোজাহাজ। 

পরমাণু শক্তি চালিত এই পাঁচ সাবমেরিনের দুটির মালিক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাকি তিনটি রাশিয়ার।

চলুন জেনে নেওয়া যাক সাবমেরিনগুলো সম্পর্কে-

ওহিও-শ্রেণির ডুবোজাহাজ
আমেরিকার তৈরি ওহিও-শ্রেণির ডুবোজাহাজে রয়েছে ২৪টি ট্রাইডেন্ট-২ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। প্রতি ট্রাইডেন্ট-২ ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে পারে ১২টি ডব্লিউ৮৮ ৪৭৫ কিলোটন তাপপারমাণবিক বোমা। এ ধরণের একটি ডুবোজাহাজ ২৮৮টি মহানগর সমতুল্য লক্ষ্যবস্তুকে ৩০ মিনিটের কম সময়ের মধ্যে তেজস্ক্রিয় ছাইভস্মে পরিণত করতে পারে। একটি পিজ্জার অর্ডার দিতে যে সময় লাগে তার চেয়েও কম সময়ে এ ভাবে মানব সভ্যতার ইতি টানা যাবে এ দিয়ে।

মে মাসে দেয়া এক তথ্যে বলা হয়েছে, এরকম নয়টি ডুবোজাহাজ মোতায়েন রয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরে আর পাঁচটি আটলান্টিক মহাসাগরে মিশন সম্পন্ন করছে।

কলাম্বিয়া-শ্রেণির ডুবোজাহাজ
বুড়ো হয়ে যাওয়া ওহিও শ্রেণির ডুবোজাহাজের স্থান করে নেয়ার লক্ষ্য নিয়ে তৈরি  করা হয় কলাম্বিয়া-শ্রেণির ডুবোজাহাজ। কলাম্বিয়ার চেয়ে আকারে একটু বড় এ শ্রেণির ডুবোজাহাজ রয়েছে ১৬টি ট্রাইডেন্ট ২ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। আকারে বড় হলেও কলাম্বিয়া-শ্রেণির ডুবোজাহাজের শব্দ অনেক কম।

রাশিয়ার প্রকল্প ৯৫৫
রুশ নৌবাহিনীর প্রকল্প ৯৫৫ বোরেই-শ্রেণির ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রবাহী ডুবোজাহাজ এ তালিকার তিন নম্বরে রয়েছে। এ শ্রেণির ডুবোজাহাজে রয়েছে ১৬টি আরএসএম-৫৬ বুলভা ক্ষেপণাস্ত্র। এ ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ৮০০০ কিলোমিটার বা ৪৯৭০ মাইল ।

আরএসএম-৫৬ বুলভা ক্ষেপণাস্ত্রের পরমাণু বোমায় শত্রুর বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দেয়ার ব্যবস্থা আছে।

দেলফিন-শ্রেণির ডুবোজাহাজ
রুশ প্রকল্প ৬৬৭বিডিআরএম দেলফিন-শ্রেণির ডুবোজাহাজে রয়েছে ১৬ আর-২৯আরএমইউ সিনেভা তরল-জ্বালানি চালিত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। ডুবোজাহাজ থেকে চক্রাকারে সব দিকেই এ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া যায়। এ ছাড়া, ঘণ্টায় ছয় বা সাত নট গতিতে চলার সময় সাগরের ৫৫ মিটার গভীর থেকে ছুঁড়তে পারে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র।

ইয়াসেন-শ্রেণির ডুবোজাহাজ
রুশ নৌবাহিনীর প্রকল্প ৮৮৫এম ইয়াসেন-শ্রেণির গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্রবাহী ডুবোজাহাজকে আমেরিকার মূল ভূমির জন্য হুমকি বলা হয়। এতে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বহন করা হয় না। এতে রয়েছে পরমাণু বা সাধারণ উভয় ধরণের ৩২টি বোমা বহনের সক্ষমতা সম্পন্ন আড়াই হাজার কিলোমিটার পাল্লার থ্রিএম-১৪কে ক্যালিবার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। দ্রুতগামী খুবই কম শব্দ সৃষ্টিকারী এ ডুবোজাহাজ অনায়াসে মার্কিন পূর্ব উপকুলের দুই হাজার কিলোমিটারের মধ্যে ঢুকে যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরের লক্ষবস্তুতে হামলা করতে পারবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

৩০ মিনিটে পৃথিবী ছাই করে দিতে পারে যে ৫ সাবমেরিন!

আপডেট সময় ০২:৫৪:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ মার্চ ২০২০

তথ্যপ্রযুক্তি :

পৃথিবীর পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো কী পরিমান ভয়ঙ্কর অস্ত্র তৈরি করে রেখেছে তা কল্পনা করাও কঠিন। মানুষের আবাসস্থল এই পৃথিবী ধ্বংস করে দিতে তাদের ৩০ মিনিটের বেশি সময় লাগবে না। আর এই কর্মটি সাধন করতে পারে দুটি দেশের মাত্র ৫টি সাবমেরিন বা ডুবোজাহাজ। 

পরমাণু শক্তি চালিত এই পাঁচ সাবমেরিনের দুটির মালিক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাকি তিনটি রাশিয়ার।

চলুন জেনে নেওয়া যাক সাবমেরিনগুলো সম্পর্কে-

ওহিও-শ্রেণির ডুবোজাহাজ
আমেরিকার তৈরি ওহিও-শ্রেণির ডুবোজাহাজে রয়েছে ২৪টি ট্রাইডেন্ট-২ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। প্রতি ট্রাইডেন্ট-২ ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে পারে ১২টি ডব্লিউ৮৮ ৪৭৫ কিলোটন তাপপারমাণবিক বোমা। এ ধরণের একটি ডুবোজাহাজ ২৮৮টি মহানগর সমতুল্য লক্ষ্যবস্তুকে ৩০ মিনিটের কম সময়ের মধ্যে তেজস্ক্রিয় ছাইভস্মে পরিণত করতে পারে। একটি পিজ্জার অর্ডার দিতে যে সময় লাগে তার চেয়েও কম সময়ে এ ভাবে মানব সভ্যতার ইতি টানা যাবে এ দিয়ে।

মে মাসে দেয়া এক তথ্যে বলা হয়েছে, এরকম নয়টি ডুবোজাহাজ মোতায়েন রয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরে আর পাঁচটি আটলান্টিক মহাসাগরে মিশন সম্পন্ন করছে।

কলাম্বিয়া-শ্রেণির ডুবোজাহাজ
বুড়ো হয়ে যাওয়া ওহিও শ্রেণির ডুবোজাহাজের স্থান করে নেয়ার লক্ষ্য নিয়ে তৈরি  করা হয় কলাম্বিয়া-শ্রেণির ডুবোজাহাজ। কলাম্বিয়ার চেয়ে আকারে একটু বড় এ শ্রেণির ডুবোজাহাজ রয়েছে ১৬টি ট্রাইডেন্ট ২ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। আকারে বড় হলেও কলাম্বিয়া-শ্রেণির ডুবোজাহাজের শব্দ অনেক কম।

রাশিয়ার প্রকল্প ৯৫৫
রুশ নৌবাহিনীর প্রকল্প ৯৫৫ বোরেই-শ্রেণির ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রবাহী ডুবোজাহাজ এ তালিকার তিন নম্বরে রয়েছে। এ শ্রেণির ডুবোজাহাজে রয়েছে ১৬টি আরএসএম-৫৬ বুলভা ক্ষেপণাস্ত্র। এ ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ৮০০০ কিলোমিটার বা ৪৯৭০ মাইল ।

আরএসএম-৫৬ বুলভা ক্ষেপণাস্ত্রের পরমাণু বোমায় শত্রুর বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দেয়ার ব্যবস্থা আছে।

দেলফিন-শ্রেণির ডুবোজাহাজ
রুশ প্রকল্প ৬৬৭বিডিআরএম দেলফিন-শ্রেণির ডুবোজাহাজে রয়েছে ১৬ আর-২৯আরএমইউ সিনেভা তরল-জ্বালানি চালিত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। ডুবোজাহাজ থেকে চক্রাকারে সব দিকেই এ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া যায়। এ ছাড়া, ঘণ্টায় ছয় বা সাত নট গতিতে চলার সময় সাগরের ৫৫ মিটার গভীর থেকে ছুঁড়তে পারে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র।

ইয়াসেন-শ্রেণির ডুবোজাহাজ
রুশ নৌবাহিনীর প্রকল্প ৮৮৫এম ইয়াসেন-শ্রেণির গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্রবাহী ডুবোজাহাজকে আমেরিকার মূল ভূমির জন্য হুমকি বলা হয়। এতে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বহন করা হয় না। এতে রয়েছে পরমাণু বা সাধারণ উভয় ধরণের ৩২টি বোমা বহনের সক্ষমতা সম্পন্ন আড়াই হাজার কিলোমিটার পাল্লার থ্রিএম-১৪কে ক্যালিবার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। দ্রুতগামী খুবই কম শব্দ সৃষ্টিকারী এ ডুবোজাহাজ অনায়াসে মার্কিন পূর্ব উপকুলের দুই হাজার কিলোমিটারের মধ্যে ঢুকে যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরের লক্ষবস্তুতে হামলা করতে পারবে।