ঢাকা ০৭:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে সরকারি জমিতে মালিকানা সাইনবোর্ড দিয়ে দখলের অভিযোগ

শামীম আহম্মেদ, মুরাদনগরঃ

সাইনবোর্ড দিয়ে সরকারি জায়গা দখল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে এ জমি থেকে মূল্যবান গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে ওই জমি মাটি দ্বারা ভরাট করার পঁায়তারা করছে।

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন আকুবপুর ইউনিয়নের ঘোড়াশাল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে ভূমি অফিসে অভিযোগ করলেও রহস্যজনক কারণে কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে। অভিযুক্ত আব্দুর রহিম পাশের মোহাম্মদপুর গ্রামের মৃত হাজী চান মিয়ার ছেলে।

অভিযোগকারী আবু ছায়েদ বলেন, আমার জমির সামনে দিয়ে সরকারি হালট রয়েছে। এ জমিটি আশ-পাশের জমির মালিকরাই ব্যবহার করার কথা। কিন্তুু কয়েকদিন পূর্বে হঠাৎ ঘুম থেকে ওঠে দেখি পাশের মোহাম্মদপুর গ্রামের আশিকুর রহমানের নামে ওই জমির সামনের রাস্তায় একটি সাইনবোর্ড টানিয়ে দেয়। এর ৩/৪ দিন পর ওই সাইনবোর্ডেই তার বাবা আব্দুর রহিমের ক্রয় সূত্রে ৪ শতক জমির মালিকানা দেখায়। একটি চক্র প্রভাব খাটিয়ে একেক সময় একেক সাইন বোর্ড ব্যবহার করে কিছুদিন পূর্বে সরকারি জমি থেকে একটি মেহগনি গাছ কেটে নেয়। বর্তমানে ওই জমিটি মাটি দিয়ে ভরাট করারও পঁায়তারা করছে। এ বিষয়ে গত ২৬ এপ্রিল উপজেলা ভূমি অফিসে অভিযোগ দিলেও তারা কি কারণে ব্যবস্থা নিচ্ছেন না, তা আমি জানি না।

আকুবপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক সোহাগ বলেন, বিষয়টি আমার নজরে আসার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে গিয়ে সাইনবোর্ড সরিয়ে নিতে বলি। কিছুদিন পূর্বে এ জমি ড্রেজার দিয়ে ভরাট করতে চাইলে আমি গিয়ে বঁাধা প্রদান করি। গাছ কেটে নেওয়ার বিষয়ে পরবতর্ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে।

সরেজমিনে গেলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, জমিটি রাস্তার পাশে হওয়ায় বর্তমান বাজার মূল্য অনেক। তাই ঘোড়াশাল গ্রামের মৃত রাহাত মিয়ার ছেলে হোসেন মিয়া, মৃত আব্দুল কাদিরের ছেলে জাকির হোসেন, মৃত সোনা মিয়ার ছেলে সবুর মিয়ার যোগসাজসে একই গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে জালাল মিয়াকে দখল করে দেওয়ার পরিকল্পনা করে। সে মতে প্রভাব খাটিয়ে পাশের মোহাম্মদপুর গ্রামের আশিকুর রহমানের নামে ওই সরকারি জমিতে একটি সাইনবোর্ড লাগায়। এ নিয়ে এলাকায় বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে রাতের অন্ধকারে ওই সাইনবোর্ড সরিয়ে তার বাবা আব্দুর রহিম নামের সাইনবোর্ড লাগিয়ে জমির মালিকানা দাবি করছেন। আরো জানা যায়, ওই সরকারি জমি থেকে মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে জালাল মিয়া একটি মেহগনি গাছ কেটে নেয়। বর্তমানে ওই জমিটি মাটি দিয়ে ভরাট করারও পঁায়তারা করছে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আব্দুর রহিম সাইনবোর্ড দেওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সরকারের প্রয়োজন হলে জমিটি ছেড়ে দেব। অন্য কাউকে ভোগ দখল করতে দিবনা। অপর অভিযুক্ত হোসেন মিয়া, জাকির হোসেন ও সবুর মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জমিটি সরকারি বলে স্বীকার করেন। তবে এ জমিটি যেন পাশের বাড়ির জালাল মিয়া পায় সে ব্যাপারে তারা চেষ্টা করছে বলে জানায়।

মুরাদনগর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম কমল বলেন, বিষয়টা আমি খেঁাজ-খবর নিয়ে দেখছি। যদি জায়গাটি সরকারি হয়, তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে ৪৬তম জাতীয় বিজ্ঞান মেলার পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠিত

মুরাদনগরে সরকারি জমিতে মালিকানা সাইনবোর্ড দিয়ে দখলের অভিযোগ

আপডেট সময় ০৪:০১:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জুলাই ২০২০

শামীম আহম্মেদ, মুরাদনগরঃ

সাইনবোর্ড দিয়ে সরকারি জায়গা দখল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে এ জমি থেকে মূল্যবান গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে ওই জমি মাটি দ্বারা ভরাট করার পঁায়তারা করছে।

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন আকুবপুর ইউনিয়নের ঘোড়াশাল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে ভূমি অফিসে অভিযোগ করলেও রহস্যজনক কারণে কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে। অভিযুক্ত আব্দুর রহিম পাশের মোহাম্মদপুর গ্রামের মৃত হাজী চান মিয়ার ছেলে।

অভিযোগকারী আবু ছায়েদ বলেন, আমার জমির সামনে দিয়ে সরকারি হালট রয়েছে। এ জমিটি আশ-পাশের জমির মালিকরাই ব্যবহার করার কথা। কিন্তুু কয়েকদিন পূর্বে হঠাৎ ঘুম থেকে ওঠে দেখি পাশের মোহাম্মদপুর গ্রামের আশিকুর রহমানের নামে ওই জমির সামনের রাস্তায় একটি সাইনবোর্ড টানিয়ে দেয়। এর ৩/৪ দিন পর ওই সাইনবোর্ডেই তার বাবা আব্দুর রহিমের ক্রয় সূত্রে ৪ শতক জমির মালিকানা দেখায়। একটি চক্র প্রভাব খাটিয়ে একেক সময় একেক সাইন বোর্ড ব্যবহার করে কিছুদিন পূর্বে সরকারি জমি থেকে একটি মেহগনি গাছ কেটে নেয়। বর্তমানে ওই জমিটি মাটি দিয়ে ভরাট করারও পঁায়তারা করছে। এ বিষয়ে গত ২৬ এপ্রিল উপজেলা ভূমি অফিসে অভিযোগ দিলেও তারা কি কারণে ব্যবস্থা নিচ্ছেন না, তা আমি জানি না।

আকুবপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক সোহাগ বলেন, বিষয়টি আমার নজরে আসার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে গিয়ে সাইনবোর্ড সরিয়ে নিতে বলি। কিছুদিন পূর্বে এ জমি ড্রেজার দিয়ে ভরাট করতে চাইলে আমি গিয়ে বঁাধা প্রদান করি। গাছ কেটে নেওয়ার বিষয়ে পরবতর্ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে।

সরেজমিনে গেলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, জমিটি রাস্তার পাশে হওয়ায় বর্তমান বাজার মূল্য অনেক। তাই ঘোড়াশাল গ্রামের মৃত রাহাত মিয়ার ছেলে হোসেন মিয়া, মৃত আব্দুল কাদিরের ছেলে জাকির হোসেন, মৃত সোনা মিয়ার ছেলে সবুর মিয়ার যোগসাজসে একই গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে জালাল মিয়াকে দখল করে দেওয়ার পরিকল্পনা করে। সে মতে প্রভাব খাটিয়ে পাশের মোহাম্মদপুর গ্রামের আশিকুর রহমানের নামে ওই সরকারি জমিতে একটি সাইনবোর্ড লাগায়। এ নিয়ে এলাকায় বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে রাতের অন্ধকারে ওই সাইনবোর্ড সরিয়ে তার বাবা আব্দুর রহিম নামের সাইনবোর্ড লাগিয়ে জমির মালিকানা দাবি করছেন। আরো জানা যায়, ওই সরকারি জমি থেকে মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে জালাল মিয়া একটি মেহগনি গাছ কেটে নেয়। বর্তমানে ওই জমিটি মাটি দিয়ে ভরাট করারও পঁায়তারা করছে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আব্দুর রহিম সাইনবোর্ড দেওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সরকারের প্রয়োজন হলে জমিটি ছেড়ে দেব। অন্য কাউকে ভোগ দখল করতে দিবনা। অপর অভিযুক্ত হোসেন মিয়া, জাকির হোসেন ও সবুর মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জমিটি সরকারি বলে স্বীকার করেন। তবে এ জমিটি যেন পাশের বাড়ির জালাল মিয়া পায় সে ব্যাপারে তারা চেষ্টা করছে বলে জানায়।

মুরাদনগর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম কমল বলেন, বিষয়টা আমি খেঁাজ-খবর নিয়ে দেখছি। যদি জায়গাটি সরকারি হয়, তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।