ঢাকা ০৬:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘূর্ণিঝড়‘ইয়াসের গতিপথ উড়িষ্যার দিকে, বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কা কম

জাতীয় ডেস্কঃ

ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ বাংলাদেশের উপকূলে কোনো ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে না বলে আশা প্রকাশ করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।

তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ উত্তর-পশ্চিম অংশে সরাসরি উড়িষ্যার দিকে। এই গতিপথ একই রকম থাকলে বাংলাদেশে উপকূলে ক্ষতির কোনো প্রভাব পড়বে না বলে আমরা আশা করছি। ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ সেইভাবে বাংলাদেশের ওপর আঘাত হানবে না। বাংলাদেশের ওপর দিয়ে হয়তো মেঘ ও ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

সোমবার (২৪ মে) সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী জানান, ঝড় এখন উড়িষ্যার দিকে ধাবিত হচ্ছে, তাই আপাতত সংকেত বাড়ানোর প্রয়োজন নেই।

তিনি বলেন, আল্লাহ এখনও আমাদের অনেকটা টেনশনমুক্ত রেখেছেন। নিম্নচাপটি সকাল ৬টায় ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। এটি এখনও অতটা শক্তিশালী হতে পারেনি। উড়িষ্যা উপকূল থেকে ৫০০ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশের উপকূল থেকে ৬০৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।

সবকিছু কঠিন পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, উপকূল থেকে না সরে আসা পর্যন্ত পর্যবেক্ষণে রাখব। যদি কোনো কারণে এটা দিক পরিবর্তন করে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে আসে তবে আমরা যেন মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসতে পারি।

আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক ও মাঠপ্রশাসন থেকে সবাইকে এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। বিপদ সংকেত পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যেন তারা আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে পারে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইনশাল্লাহ, আল্লাহ যেভাবে আমাদের বাংলাদেশের প্রতি রহমত করেছেন, দয়া করেছেন সেটা অব্যাহত থাকলে এবার হয়তো ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে পারবো। আমরা প্রতি ৪ বা ৬ ঘণ্টা পর পর মনিটরিং করবো। এরপরে যদি গতিবেগ আরও বাড়ে তারপরে আমরা ঘণ্টায় ঘণ্টায় সংবাদ দিতে পারবো। আপনারা সে সব সংবাদ পরিবেশন করবেন যাতে জনগণ কোনো রকম ভুল বা ঢিলেমি করার সুযোগ না পায়, সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান যে অবস্থা তাতে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেওয়া আছে। এ অবস্থায় থাকলে আর বাংলাদেশের জন্য বাড়ানোর প্রয়োজন হবে না।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দীর্ঘ ১৩ বছর পর দেশে ফিরছেন কায়কোবাদ: স্বাগত জানাতে মুরাদনগরে ব্যাপক প্রস্ততি

ঘূর্ণিঝড়‘ইয়াসের গতিপথ উড়িষ্যার দিকে, বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কা কম

আপডেট সময় ১০:৪৫:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ মে ২০২১

জাতীয় ডেস্কঃ

ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ বাংলাদেশের উপকূলে কোনো ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে না বলে আশা প্রকাশ করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।

তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ উত্তর-পশ্চিম অংশে সরাসরি উড়িষ্যার দিকে। এই গতিপথ একই রকম থাকলে বাংলাদেশে উপকূলে ক্ষতির কোনো প্রভাব পড়বে না বলে আমরা আশা করছি। ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ সেইভাবে বাংলাদেশের ওপর আঘাত হানবে না। বাংলাদেশের ওপর দিয়ে হয়তো মেঘ ও ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

সোমবার (২৪ মে) সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী জানান, ঝড় এখন উড়িষ্যার দিকে ধাবিত হচ্ছে, তাই আপাতত সংকেত বাড়ানোর প্রয়োজন নেই।

তিনি বলেন, আল্লাহ এখনও আমাদের অনেকটা টেনশনমুক্ত রেখেছেন। নিম্নচাপটি সকাল ৬টায় ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। এটি এখনও অতটা শক্তিশালী হতে পারেনি। উড়িষ্যা উপকূল থেকে ৫০০ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশের উপকূল থেকে ৬০৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।

সবকিছু কঠিন পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, উপকূল থেকে না সরে আসা পর্যন্ত পর্যবেক্ষণে রাখব। যদি কোনো কারণে এটা দিক পরিবর্তন করে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে আসে তবে আমরা যেন মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসতে পারি।

আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক ও মাঠপ্রশাসন থেকে সবাইকে এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। বিপদ সংকেত পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যেন তারা আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে পারে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইনশাল্লাহ, আল্লাহ যেভাবে আমাদের বাংলাদেশের প্রতি রহমত করেছেন, দয়া করেছেন সেটা অব্যাহত থাকলে এবার হয়তো ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে পারবো। আমরা প্রতি ৪ বা ৬ ঘণ্টা পর পর মনিটরিং করবো। এরপরে যদি গতিবেগ আরও বাড়ে তারপরে আমরা ঘণ্টায় ঘণ্টায় সংবাদ দিতে পারবো। আপনারা সে সব সংবাদ পরিবেশন করবেন যাতে জনগণ কোনো রকম ভুল বা ঢিলেমি করার সুযোগ না পায়, সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান যে অবস্থা তাতে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেওয়া আছে। এ অবস্থায় থাকলে আর বাংলাদেশের জন্য বাড়ানোর প্রয়োজন হবে না।